বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ মানেই কি ෴বিতর্ক? দুই দলের মধ্যে টি-😼টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পরিষ্কার আউট হওয়া সত্ত্বেও, আল্ট্রা এজকে গুরুত্ব না দিয়ে তৃতীয় আম্পায়ান নটআউট দিয়েছেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে তীব্র ঝামেলা।
বুধবারের ম্যাচে ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। শ্রীলঙ্কার পেসার বিনুরা ফার্নান্দোর বল পুল করতে গিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। মনে হয়েছিল, ব্যাটের কোণায় বল লেগেছে। এবং সেটি উইকেটকিপারের তালুবন্দি হয়। ফিল্ড আম্পায়ার গাজি সোহেল শ্রীলঙ্কার আবেদনে সাড়া দিয়ে আউট দেন। সৌম্য এর পর রিভিউ নেꦜন।
আলট্রা-এজে স্পাইক দেখার পর ড্রেসিংরুমের দিকღে হাঁটতেও শুরু করেছিলেন সৌম্য। তবে তৃতীয় আম্পায়ার মাসুদুর রহমানের ব্যাখ্যা ছিল, আলট্রা-এজে স্পাইক থাকার পরেও, বল এবং ব্যাটের মাঝে ‘ফাঁক’ ছিল। যে কারণে তৃতীয় আম্পায় নটআউট দেন। তবে স্পাইক দেখা যাওয়ার পরেও, কেন তৃতীয় আম্পায়ার নটআউট দিলেন, তা নিয়ে বি𝓡তর্কের ঝড় বয়ে চলেছে।
টিভি আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্তে মাঠেই তীব্র আপত্তি তোলেন শ্রীলঙ্কার প্লেয়াররা। মাঠে আম্পায়ার শরফুদ্দৌলাকে ঘিরে ধরে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। কোচ ক্রিস সিলভারউড ঘটনা বুঝতে চতুর্থ আম্পায়ার তানভির আহমেদের কাছে গিয়েছিলেন। এমন কী ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাও ড্রেসিংরুমের সামনে দাঁড়িয়ে অসন্তোষ প༒্রকাশ করেন।
মাঠের আম্পায়ার আউট দিলে সেই সিদ্ধান্ত বদলানোর জন্য তৃতীয় আম্🅠পায়ারের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ থাকতে হয়। ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে 🐼এসে শ্রীলঙ্কার সহকারী কোচ নাভেদ নওয়াজ বলেন, ‘মাঠের আম্পায়ার আউট দিয়েছেন। টিভি আম্পায়ারের কাছে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য চূড়ান্ত প্রমাণ থাকতে হয়।’
তিনি যোগ করেন,🌄 ‘এটা স্পষ্ট, একটা স্পাইক ছিল। আমরা বড় পর্দায় তা দেখেছি। সেখানে কী ঘটেছিল, তা বোঝার জন্য আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ম্যাচ রেফারির পর্যন্ত যেতে♛ হতে পারে। পর্দায় যা দেখা গিয়েছে, মন্তব্য করার জন্য সেটা যথেষ্ট ছিল না। আমি নিশ্চিত, টিভি আম্পায়ারের কাছে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলের পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকবে।’
বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য এই নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নয়।💜 তিনি বলে দেন, ‘ওটা তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ছিল। মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ছিল না। আমার মনে হ🦩য় না যে, কোনও মন্তব্য করার প্রয়োজন আছে।’