শুভব্রত মুখার্জি- ভারতে অনুষ্ঠিত ওডিআই বিশ্বকাপের আবহেই বাংলাদেশে হয়ে গেল বাংলাদেশ বনাম প🍌াকিস্তানের মহিলা দলের ওডিআই সিরিজ। সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ জয় ছিনিয়ে নিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। হরমনপ্রীত কৌরের ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ দল। সিরিজ ১-১ ড্র হয়েছিল। সেই সিরিজ জিততে না পারার হতাশা নিদা ডারদের বিরুদ্ধে মিটিয়ে নিলেন জ্যোতিরা। শুক্রবারেই নিজেদের জয় নিশ্চিত করেন তারা। জ্যোতির স্বপ্ন পূরণে নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খানরা অনুঘটকের কাজ করেছেন। বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন তারা। 𒊎এছাড়াও সিদরা আমিন ৮৪ রানের অনবদ্য একটি ইনিংস খেলেছেন।
আমিনের ইনিংসের পরও ১৬৬ রানের বেশি তুলতে পারেনিꦍ পাকিস্তানের মেয়েরা। সিরিজ জিততে ভালো ব্যাটিংয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশ দলের সামনে। ফারজানা হক এবং মুর্শিদা খাতুন জুটিতে বাংলাদেশের হয়ে শুরুটা খুব ভালো করেছিল। দুজনেই অর্ধশতরান করেন। দুজনে মিলে শতরানের জুটি গড়েন। ফলে জয়ের দোড়গোড়ায় পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এই সময়ে হঠাৎ করেই দ্রুত তিন উইকেট হারায় আয়োজকরা। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন জ্যোতি এবং শোবহানা মোস্তারি।
প্রসঙ্গত মিরপুরে জয়ের জন্য ১৬৭ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে দারুণ শুরু করেন ফারজানা ও মুর্শিদা। পাওয়ার প্লেতে কোনও উইকেট না হারিয়ে দলের হয়ে ৪০ রান যোগ করেন দুজনে। ফারজানা ৯০ বলে অর্ধশতরান করেন তিনি। অপর ওপেনার মুর্শিদা অর্𝓰ধশতরান করেন ৮৮ বলে। ফারজানা এলবিডব্লিউ হয়ে যান। মুর্শিদার সঙ্গে তিনি গড়েন ১২৫ রানের জুটি। ফারজানা আউট হয়েছেন ৬২ রান করে।🧜 মুর্শিদা ৫৪ রান করে আউট হন।
এরপর দ্রুত তিন উইকেট হারায় পাকিস্তান। সোবহানাকে সঙ্গী করে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন জ্যোতি। জ্যোতি ১৮ এবং সোবহানা অপরাজিত ছিলেন ১৯🐓 রানে। এদিন টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেছিল পাকিস্তান। প্রথম উইকেট জুটিতে সাদাফ সামস এবং সিদরা ৬৫ রান যোগ করেন। সামস ফিরলে ভাঙে তাদের এই জুটি। সামস করেন ৩১ রান। সিদরা ৮৪ রানের ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে ১৬৬ রানের স্কোর গড়তে সাহায্য করেন। বাংলাদেশের হয়ে নাহিদা তিনটি এবং রাবেয়া দুটি উইকেট নিয়েছেন। ফলে ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ দল।