ইডেনে প্রথম ডিভিশন ওয়ানডে-তে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে বড়িশাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নহল ভবানীপুর ক্লাব🗹। লিগ জয়ের 🐽পর আরও একটি পালক ভবানীপুরের মুকুটে। এবার ওয়ানডে খেতাব জিতে উচ্ছ্বাসে ভাসল ভবানীপুর। প্রথম ডিভিশন ওয়ানডে-র ফাইনালে উত্তেজনার অভাব ছিল না। প্রতি মুহূর্তে রুদ্ধশ্বাস অবস্থা হয়েছিল। বারবার বদলেছে ম্যাচের রং। তবে শেষ হাসি হেসেছে ভবানীপুর ক্লাব।
আরও পড়ুন: আমেরিকার পর এবার কানাডার চমক, আয়ারল꧟্যান্ডের বিরুদ্ধে জিতে পল স্টার্লিংরা লিখলেন ইতিহাস
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য দুরন্ত শুরু করেছিল বড়িশা ক্লাব। আইপিএলে বেশ ভালো পারফর্ম থাকা অভিষেক পোড়েল এদিন আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু থেকে ব্যাট করেন। অভিষেকের ৮২ বলে ১১৬ রানের দুরন্ত ইনিংসটি বড়় অক্সিজেন হয়ে যায় বড়িশা ক্লাবের। ত🦩াঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১টি চার আর পাঁচটা ছয়ে। মূলত অভিষেকের ব্যাটিং দাপটেই তিরিশ ওভারের মধ্যে স্কোরবোর্ডে ২০০ রান যোগ করে ফেলে বড়িশা। প্রিয়াঙ্ক প্যাটেল ৫৩ করেন। বড়িশা ৩১৩ অলআউট হয়ে যায়। ভবানীপুরের হয়ে আমির গোনি তিন উইকেট༒ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: একেই 🅘অপ্রত্যাশিত হার, তার উপর রউফের বিরুদ্ধে বল ট্যাম্পারিংয়ের অভিযোগ আনলেন আমেরিকার ꦰপেসার
রান তাড়া♛ করতে নেমে ভবানীপুরও আগ্রাসী মেজাজে শুরুটা করেছিল। ভবানীপুরের দুই ওপেনার উভেস আহমেদ আর বিবেক সিং মিলে ১৪ ওভারে ১৪১ রান করে ফেলে। সেই সময়ে মনে হচ্ছিল, ম্যাচটি অনায়াসেই বের করে নেবে ভবানীপুরয তবে উভেস আউট হওয়ার পর ম্যাচের রং একেবারে বদলে যায়। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে ভবানীপুরের। একটা সময় ২১৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছিল তারা। এখান থেকে যে ফের ম্য়াচ ঘুরে যেতে প🎶ারে, তা হয়তো ভাবেননি অনেককেই। চাপের পরিস্থিতিতেও মাথা ঠাণ্ডা রেখে ব্যাট করে যান গোনি আর জেসল কারিয়া। তাঁরাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: রোহিতের চোট নিয়ে জল্পনা বাড়ালেন বুমরাহ পত্নী
সেমিফাইনালে মোহনবাগানের বিরুদ্ধেও একই রকম চাপের পরিস্꧟থিতি দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন জেসল। এদিনও তাই। সঙ্গে গোনিও দুরন্ত ইনিংস উপহার দিয়ে যান। তবে জেসল ৪৯ করে এবং গোনি ৩৭ করে যখন আউট হয়ে যান, তখন ফের নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই সময়ে ভবানীপুরের জয়ের জন্য নয় বলে ১১ রান দরকার ছিল। শেষটা করলেন রাজকুমার (৯ বলে অপরাজিত ১৬)। সেমিফাইনালেও রাজকুমার খুব গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন। এদিনের তাঁর ইনিংসও মহামূল্যবান। সব মিলিয়ে লিগের পর ওয়ান ডে-তে জিতে ত্রিমুকুটের আশা জাগিয়ে রাখল ভবানীপুর। আগেও ভবানীপুর ট্রফি পেয়েছে। তবে একই মরশুম দু'টি ট্রফি জয় এই প্রথম। স্বাভাবিক ভাবেই যেন অকাল বসন্ত নেমে আসে ভবানীপুর ক্লꦿাবে।