নওশাদ খান নস্টালজিক হয়ে যাওয়া থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন🐓নি। ২০১৪ সালে, তাঁর বড় ছেলে সরফরাজ খানের ভারত অনুর্ধ্ব-১৯ অভিষেক দেখার জন্য তিনি তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র মুশির খানের সঙ্গে দুবাই গিয়েছিলেন। নয় বছর পরে নওশাদ আবার দুবাইতে গিয়েছেন, এবার তিনি যুব এশিয়া কাপে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ এর হয়ে মুশির খেলা দেখতে গিয়েছেন। দুবাইতে অবতরণ করার সময় নওশাদ বলেন, ‘আমি যখন ফ্লাইটে ছিলাম, তখন আমার নয় বছর আগের সেই দিনের কথা মনে পড়েছিল। আমার কাছে এখনও সরফরাজ এবং তারপর দলের কোচ ভরত অরুণের সঙ্গে তার এ💙কটি ছবি আছে। জীবন আমার জন্য সেই দিনটা যেন আবার ফিরে এসেছে এবং আমি অনেক গর্ব এবং সুখের সঙ্গে আবার দুবাইতে উড়ে যাচ্ছি।’
সরফরাজ খানের ছোট ভাই মুশির খান, একজন প্রতিশ্রুতিশীল টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং একজন বাঁহাতি স্পিনার। সে তাঁর ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ অভিষেক হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। তার বড় ভাই সরফরাজ ভারত A দলের অংশ হতে একদিন আগে দক্ষিণ ꦰআফ্রিকায় উড়ে গিয়েছিলেন যেটি একটি চার দিনের খেলা এবং একটি আন্ত💯ঃস্কোয়াড খেলা খেলবে। সরফরাজ খানের জন্য আগামী কয়েক সপ্তাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
সরফরাজ বলেছেন যে তিনি তার শিক্ষা তার ছোট ভাইকে দিয়েছেন। সরফরাজ বলেন, ‘আমি আমার অভিজ্ঞতা ভাইয়ের সঙ্গে শেয়ার করি, যাতে সেও আমার ভুল থেকে শিখতে পারে। তার আমার মতো একই কাজের নীতি আছে 🦄এবং আমরা দুজনেই পর্দার আড়ালে কঠোর পরিশ্রম করি। আমি তাঁকে একটা কথা বলেছি যে জীবনে কোনও শর্টকাট নেই এবং প্রতিদিনই নতুন দিন। তাই আমাদের কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে।’ ১৮ বছর বয়সি মুশির ইতিমধ্যেই গত মরশুমে মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে খেলেছেন। তিনি ৪২ এর সর্বোচ্চ স্কোর সহ তিনটি প্রথম শ্রেণির খেলা খেলেছিলেন। তিনি দলে তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে অভꦫিষেক করেছিলেন।
𒁃একটি সদ্য সমাপ্ত সিরিজ চলাকালীন, মুশির ভারত A-এর হয়ে ৪৭ বলে ১২৭ রান করেন এবং ৫৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে তার দলকে শিরোপা জয়ী করেছিলেন। অনূর্ধ্ব-১৯ ভিনু মানকড় ট্রফিতে, তিনি ২২ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছিলেন এবং এই মরশুমে রান অর্জনকারীদের তালিকায় চতুর্থꦚ স্থানে ছিলেন এবং তিনি ৪৩৮ রান করেছিলেন। মুশির ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তার উত্তেজনা প্রকাশ করেছিলেন।
ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দলে নির্বাচিত হওয়ার পরে মুশির বলেছিলেন, ‘আমি খুব ছোট ছিলাম য🦋খন আমার বাবা আমাকে দুবাইয়ে একটি খেলা দেখতে নিয়ে গিয়েছিলেন। তখন ক্রিকেট সম্পর্কে আমার তেমন জ্ঞান ছিল না, আমি শুধু আমার ভাইকে খেলতে দেখে খুশি হতাম। আমি যখন বড় হয়েছি এবং ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিলাম তখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম এর মানেটা কী। এখনও অনেক দূর যেতে হবে তবে আমি মুম্বই ক্রিক🎃েট অ্যাসোসিয়েশন এবং জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমার যত্ন নিয়েছে। আর আমার বাবাকে ভুলে যাবেন না, এটা তার স্বপ্ন যে আমরা সবাই ভালো ক্রিকেট খেলব। গুরুত্বপূর্ণ হল বর্তমান থাকা এবং প্রতিটি দিন উপভোগ করা।’