শুভব্রত মুখার্জি: বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম দুই সুপারস্টার শাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল। গত বছরের ওডিআই বিশ্বকাপের সময় থেকে দুই তারকার সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। ওডিআই বিশ্বকাপের আগে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন তামিম ইকবাল। কারণ হিসেবে তাঁর চোটকে দেখানো হয়।এরপরে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্সও করতে পারেনি। ফলে দুই তারকার মধ্যে সম্পর্কের শীতলতা তৈরি হয়। যা চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ অর্থাৎ বিপিএলে দেখা গিয়েছে বারবার। ফলে কোয়ালিফায়ারে যখন মুখোমুখি হয়েছিল শাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্স এবং তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল তখন চড়েছিল উত্তেজনার পারদ। লিগ পর্যায🍸়ে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে ছিল রংপুর। ফলে এই ম্যাচে খাতায় কলমে এগিয়ে ছিল শাকিবরা। তবে তাদেরকে হারিয়ে দিয়ে ফাইনালের টিকি༒ট নিশ্চিত করল তামিমরা। ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের।
কোয়ালিফায়ার ম্যাচে শাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল দুজনেই ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে ব্যর্থ। তবে এই লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন তামিমরা । শাকিবের দলকে হারিয়ে তাঁরা পৌঁছে গেল বিপিএলের ফাইনালে। রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারাল ফরচুন বরিশাল। বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শামিম হোসেনের মারকাটারি ইনিংসে ভর করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ 𝔉রান করে রংপুর। সেই রান বরিশাল করে ফেলে ৯ বল বাকি থাকতেই।
বরিশালের রান তাড়ার সময়ে সাবধানী ব্যাটিং করে শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মেহেদি হাসান মিরাজ। চতুর্থ ওভারে আউট হয়ে যান দুজন। তাদের সাজঘরে ফেরান আবু হায়দার। ৮ বলে ১০ রান করেন তামিম। মিরাজ ১৪ বলে ৮ রান করে আউট হয়ে যান। তৃতীয় উইকেটে ৩৭ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম। দলকে লড়াইতে ফেরান তাঁরা। দশম ওভারে এ জ🀅ুটি ভাঙেন নবি। ১৮ বলে ২২ রান করে সৌম্য সরকার স্টাম্প আউট হন। বরিশালের শেষ ১০ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৮১ রান। এরপরেই ম্যাচের রঙ বদলে দেন মুশফিকুর ও কাইল মেয়ার্সের জুটিতে। ঝোড়ো ব্যাট করেন দুজনেই। তাঁরা মাত্র ২৭ বলে ৫০ রান করে। মুশফিক ৩৮ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থেকে যান। ডেভিড মিলার ১৮ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন। এছাড়াও কাইল মেয়ার্স ১৫ বলে ২৮ রান করেছিলেন।
আরও পড়ুন… রেফারির ভুলেই তো ইস্টবেঙ্গল সুপার কাপ ফাইনাল জিতেছিল- কুয়াদ্রাতকে আক্রমণ করলেন 🐽লোবেরা
এ দিন টস জিতে বোলিং নেয় বরিশাল। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই দুটি উইকেট নেন মহম্মদ সাইফউদ্দিন। ওপেনিংয়ে নামা শেখ মেহেদি হাসান (২) এবং শাকিব আল হাসান (১) কম রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। রনি তালুকদার ১২ বলে ৮ রান করে আউট হন। পাওয়ার প্লেতে রংপুর ৩ উ♔ইকেটে ২৬ রান তোলে। অফ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ প্রথম ওভারেই নিকোলাস পুরানকে আউট করেন। ১২ বলে ৩ রান ক🍎রে আউট হন তিনি। পরের ওভারেই জেমস ফুলারের বলে জিমি নিশাম ২২ বলে ২৮ করে আউট হয়ে যান। শামিম হোসেন মাত্র ২৪ বলে ৫৯ রান একটি মারকাটারি ইনিংস খেলে রংপুরকে লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছে দেন। তাঁর অপরাজিত ইনিংসে তিনি হাঁকান ৫ টি করে চার এবং ছয়। ফলে ২০ ওভারে তারা ৭ উইকেটে ১৪৯ রান করে। যদিও এই রান করেও শেষ পর্যন্ত হার স্বীকার করতে হয়েছে তাদের।