পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অভিযান শুরু হয়েছে দুঃস্বপ্নের মধ্যে দিয়েই। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের কাছে ৬০ রানে বিধ্বস্ত হয়েছে মেন ইন গ্রিন। আর ম্যাচের পরেই বাবর আজমকে নিয়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় বয়ে চলেছে। বাবর আজমের স্লো ইনিংস খেলা নিয়ে সকলেই ক্ষিপ্ত। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার বসিত আলি তো রীতিমতো রেগে লা▨ল। তিনি বাবরকে একেবারে ধুইয়ে দিয়েছেন এবং দ🉐লের কথা না ভেবে, স্বার্থপরের মতো নিজের জন্য খেলেছেন বলে অভিযুক্ত করেছেন বসিত।
আরও পড়ুন: খেলা শুরু হতেই বিকট শব্দ, ভীত🔯ি স্টেডিয়ামে, ডাক করেই সাজঘরে ফিরলেন ডেভন কনওয়ে- ভিডিয়ꦺো
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমেছিলেন সাউদ শাকিল এবং বাবর আজম। পাকিস্তানের সামনে ৩২১ রানের বিশাল বড় লক্ষ্য ছিল। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাবর একেবারে ঠুকেঠুকে খেলতে থাকেন। ৬৪ রানে তিনি আউট হন। আর এই ৬৪ রান করতে ৯০ বল লাগিয়ে দেন। মহম্মদ রিজওয়ꦕান (১৪ বলে ৩) এবং সাউদ শাকিলরা (১৯ বলে ৬) দ্রুত সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর যেন আরও বেশি রক্ষণাত্মক হয়ে পড়েন বাবর। আর শুরুতেই বাবর পাকিস্তানের ইনিংস এতটাই স্লো করে দিয়েছিলেন যে, সেটা আর কখনও গতিই পাইনি।
আরও পড়ুন: ব্যাটে-বলে হতশ্রী দশা, ঘরের মাঠে লজ্জার হার দিয়ে অভিযান শুরু করল পাকিস্ত🌄ান
লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান খুশদিল শাহ (৪৯ বলে ৬৯) এবং সলমান আগা (২৮ বলে ৪২) কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ততক্ষণ অনেকটাই দেরী হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের ইনিংস ধরে রাখার মไতো তখন আর কোনও ব্যাটার বেঁচে ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ২৬০ রানে গুটিয়ে যায়।
বসিত এআরওয়াই নিউজকে বলেছেন, ‘ও কি নিজের জন্য খেলতে নেমেছিল? ও হাফসেঞ্চুরি করতে ৮১ বল নেয়। ও কি শুধুই নিজের জন্য খেলছিল? দেশের জন্য ন🔯য়? দেশ আগে নাকি বাবর? ওর পরে কি দেশ আসবে? ও মাত্র পাঁচটি চার মেরেছিল, সলমন আলি আগা ওর চেয়ে বেশি চার মেরেছে।’
বাবরের যাঁরা সমালোচনা করেন, তাঁদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা দেওয়া হয়। এর তীব্র নিন্দা করেছেন বসিত। তাঁর দাবি, ‘বাবর আজমের সমালোচনা করলে মানুষ আপনাকে বিশ্বাসঘাতক 💙বলে। আমরা যখন ওর সম্পর্কে সুন্দর ভাবে কথা বলি, ও কি শোনে? না।’
পাকিস্তানের বোলিংও অত্যন্ত হতাশাজনক ছিল। উইল ইয়ং (১০৭) এবং টম লাথাম (অপরাজিত ১১৮) পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণকে একেবারে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে। যার নিটফল, প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪৮ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। সেখান থেকে তারা রানের পাহাড় গড়ে। নাসিম শাহ চিত্তাকর্ষক ভাবে শুরুটা করলেও, সেই গতিকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। ডেথ ওভারে তিনি প্রচুর রান গলান। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নাসিম শাহ এবং হ্যারিস রউফ। আব্রার আহমেদ নিয়েছেন একটি উইকেট। পাকিস্তানের সেরা বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদি উইকেটহীন ছিলেন। এই পরাজয়টি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের🐼 কাছে পাকিস্তানের চতুর্থ পরাজয়।