মহম্মদ শামি যে বড় মঞ্চের খেলোয়াড়, সেটা তাঁর আইসিসি টুর্নামেন্টের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায়। আইসিসি ইভেন্টে মহম্মদ শা𓆉মির মতো ধারাবাহিকতা বিশ্বের আর কেউ দেখাতে পারেননি। ২০২৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে সব ম্যাচে মাঠে না নেমেও টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হন শামি।
বিশ্বকাপের পরেই চোটের জন্য মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় শামিকে। দীর্ঘদিন পরে অবশ🐼েষে জাতীয় দলে ফিরে আসেন শামি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ইংল্যান্☂ডের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ম্যাচ প্র্যাক্টিসও পেয়ে যান তিনি। শেষমেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চমকে দেওয়া পারফর্ম্যান্স উপহার দেন শামি।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নেওয়ার সুবাদে একাধিক ব্যক্তিগত নজির গড়েন শামি। ওয়ান ডে কেরিয়ারে๊ ২০০ উইকেটের মাইলস্টোন টপকানো ছাড়াও সীমিত ওভারের আইসিসি ইভেন্টে ভারতের হয়ে সব থেকে বেশি উইকেট নেওয়ার সর্বকালীন রেকর্ড গড়েন তিনি। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় ম্যাচের শুরুতেই হতাশাজনক এক নজিরের সঙ্গে নাম জড়িয়ে যায় শামির।
রবꦺিবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে টস হারে ভারত। ট☂স হেরে শুরুতে ফিল্ডিং করতে নামে টিম ইন্ডিয়া। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা প্রত্যাশা মতো শুরুতেই নতুন বল তুলে দেন মহম্মদ শামির হাতে। পাকিস্তানের হয়ে ওপেন করতে নামেন বাবর আজম ও ইমাম উল হক।
শামি নিজের প্রথম ওভারে এমন এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন, যা তাঁকে সারা কেরিয়ারে করতে দেখা যায়নি। আসলে মহম্মদ শামি অতিরিক্ত মিলিয়ে প্রথম ওভারে ৬ রান খরচ করেন। তবে তিনি সেই💛 ওভারে মোট ১১টি বল করেন। শামি প্রথম ওভারেই ৫টি ওয়াইড বল করে বসেন।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মহম্মদ শামির প্রথম ওভার
০.১ ওভার- কোনও রান ওঠেনি।
০.২ ওভার- ওয়াইড বল করেন শামি।
০.২ ওভার- কোনও রান ওঠেনি।
০.৩ ওভার- ওয়াইড বল করেন শামি।
০.৩ ওভার- ওয়াইড বল করেন শামি।
০.৩ ওভার- কোনও রান ওঠেনি।
০.৪ ওভার- ১ রান নেন ইমাম উল হক।
০.৫ ওভার- কোনও রান ওঠেনি।
০.৬ ওভার- ওয়াইড বল করেন শামি।
০.৬ ওভার- ওয়াইড বল করেন শামি।
০.৬ ওভার- কোনও রান ওঠেনি।
হতাশার নজিরে নাম লেখান শামি
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নো-ওয়াইড মিলিয়ে এক ওভারে সব থেকে বেশি বল করার যুগ্ম রেকর্ড গড়ে বসেন শামি। মহম্মদ শামি ছাড়া এমন হতাশাজনক নজির রয়েছে জাহির খান ও ইরফান পাঠানের। জাহির ২০০৩ সালে ওয়াংখেড়েতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইনিংসের প্রথম ওভারেই নো-ওয়াইড মিলিয়ে ১১টি বল ক꧂রেন। ইরফান ২০০৬ সালে কিংস্টোনে ♉ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ইনিংসের প্রথম ওভারে নো-ওয়াইড মিলিয়ে ১১টি বল করেন। অর্থাৎ, তিনটি ক্ষেত্রেই ইনিংসের প্রথম ওভারে তিন ভারতীয় বোলার এমন লজ্জাজনক নজির গড়েন।
আরও পড়ুন:- IML 2025 Fixtures: মাস্টার্স লিগে কবে-কোথায়-কা🍌দের꧒ বিরুদ্ধে খেলবেন সচিনরা?- সূচি
ভারতের হয়ে ওয়ান ডে ক্রিকেটে নো-ওয়াইড মিলিয়ে এক ওভারে সব থেকে বেশি বল
১. জাহির খান- বনাম অস্ট্রেলিয়া (২০০৩, ওয়াংখেড়ে)।
২. ইরফান পাঠান- 👍বনাম ওয়েস্ট ইন্ডি🦹জ (২০০৬, কিংস্টোন)।
৩. মহম্মদ শামি- বনাম পাকিস্তান (২০২৫, দুবাই)
শামি মাঠ ছাড়তেই আশঙ্কায় সমর্থকরা
শামি নিজের প্রথম স্পেলে ৩ ওভার বল করেন। উইকেট না পেলেও মাত্র ১৩ রান খরচ করেন তিনি। যদিও ভারতীয় সমর্থকদের আশঙ্কায় রেখে শামি ইনিংসের ৫ ওভারের পরেই মাঠ ছাড়েন। মাঠ ছাড়ার আগে ফিজিওর 💫শুশ্রুষাও নেন শামি। তাই শামি বড়সড় চোট পেয়েছিল কিনা, সেই বিষয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের দুশ্চিন্তায় পড়া স্বাভাবিক। যদিও প্রথমিক সেই দুশ্চিন্তা দূর হয় শামি কিছুক্ষণ পরেই মাঠে ফেরায়।