আইপিএলে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে মঙ্গলবার ঘরের মাঠ অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। এই ম্যাচে রাজস্থানকে ২০ রানে হারিয়ে নিঃসন্দেহে বড় অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছে দিল্লি। কিন্তু এই জয়ের আনন্দের মাঝে একফোঁটা চোনা ফেলে দিয়েছে তৃতীয় আম্পায়ারের নেওয়া বিতর্কিত একটি সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্তের জেরেই রাজস্থানকে হারের মুখ দেখতে হয়। রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের ক্যাচ আউট নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত।
আসলে এদিন দিল্লির জয়ের মাঝে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়েছিলেন রাজস্থানের 💦অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ১৫.৪ ওভারে সঞ্জু ক্যাচ আউট হয়ে যান। বাউন্ডারি লাইনের কাছে তাঁর ক্যাচ ধরেন শাই হোপ। আর এই ক্যাচ নিয়েই যত গণ্ডগোল। প্রশ্ন উঠেছে, আদৌ কি সঞ্জু আউট ছিলেন?
আসল ঘটনাটা কী?
১৬তম ওভারের চতুর্থ বলে মুকেশ কুমারের ডেলিভারিতꦡে লম্বা শট খেলেন সঞ্জু। ছক্কা মারারই চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেটা ক্যাচ ওঠে। বাউন্ডারি লাইনের সামনে ক্যাচটি নির্ভুল ভাবে ধরেও ফেলেন শাই হোপ। কিন্তু ক্যাচ ধরার পর শরীরের ভারসাম্য রাখতে না পেরে, বাউন্ডারি লাইনের সামনে চলে গিয়েছিলেন হোপ। তাঁর পা বাউন্ডারি লাইনে লেগেছে কিনা, তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই সিদ্ধান্তের জন্য ফিল্ড আম্পায়ার দ্বারস্থ হন তৃতীয় আম্পায়ারের।
রিপ্লে-তে একটি অ্যাঙ্গেল থেকে মনে হয়েছে, শাই হোপের পা বাউন্ডারি লাইন স্পর্শ করেছে। কিন্তু এর পরেও টিভি আ🐟ম্পায়ার মাইকেল গফ ক্যাচটি ক্লিন ঘোষণা করেন এবং স্যামসনকে আউট দিয়ে দেন। বড় পর্দায় রিপ্লে দেখে বিভ্রান্ত এবং ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্যামসন। তিনি এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেন। মাঠের আম্পায়ারদের সঙ্গেও তাঁকে উত্তেজিত হয়ে কথা বলতে দেখা যায়। সঞ্জু স্যামসন রিভিউ নিতেও চেয়েছিলেন। ততক্ষণে অবশ্য সময় পেরিয়ে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েই মাঠ ছাড়তে হয় সঞ্জুকে। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে নেটপꦡাড়াও। আইপিএলে আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে আরও একবার উঠে গিয়েছে প্রশ্ন।
সেঞ্চুরি মিস সঞ্জুর
সঞ্জু যখন আউট হয়ে সাজঘরে ফিরছেন, তখন তিনি সেঞ্চুরির থেকে আর মাꦐত্র ১৪ রান দূরে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৪৬ বলে ৮৬ করে তাঁকে সাজঘরে ফিরতে হয়। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল হাফডজন ছক্কা এবং আটটি চারে। সঞ্জু এদিন তিনে নেমে অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন, তবে বিতর্কিত আউট হয়ে আর শেষরক্ষা 🍃করতে পারেননি।
সঞ্জুর আউট টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যায়
১৫.৪ ওভারের মাথায় সঞ্জু যখন সাজঘরে ফিরছেܫন, তখন দলের রান ১৬২। ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছে। এর পরেই বদলে যায় ম্যাচের রং। দিল্লির বোলাররা আত্মবিশ্বাস ফিরে পান। এদিকে ৩২ রানের মধ্যে আরও চার উইকেট হারিয়ে রাজস্থান জয়ের থেকে ক্রমশ দূরে সরে আসে। শেষ পর্যন্ত ২২২ রান তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে রাজস্থান। ২০ রানে তারা ম্যাচটি হেরে যায়। সঞ্জু ক্রিজে থাকলে, হয়তো খেলার ফল অন্য রকম হলেও, হতে পারত।