আরও একবার আইনি জটিলতায় জড়ালেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর। মোটের ওপর সময়টা ভালো যাচ্ছে না তাঁর। সম্প্রতি নিউজিল্য🦩ান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হারে ভারত। তা ൩নিয়ে সমালোচনায় বিদ্ধ গৌতি। সামনে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ সফর। তার আগে আরও বিপাকে গৌতম গম্ভীর। তাঁর বিরুদ্ধে একটি পুরোনো প্রতারণার অভিযোগের নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির আদালত। অভিযোগ, ফ্ল্যাট কেনাবেচা সংক্রান্ত প্রতারণার সঙ্গে জড়িত গম্ভীর।
খবর অনুযায়ী, ২০১১ সালে গাজিয়াবাদে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে রুদ্র বিল্ডওয়েল রিয়েলটি প্রাইভেট লিমিটেড, এইচ আর ইনফ্রাসিটি প্রাইভেট লিমিটেড এবং ইউ এম আর্কিটেকচার্স অ্যান্ড কন্ট্রাক্টর্স লিমিটেড কয়েক কোটি টাকা তোলে। কিন্তু, আজও ক্রয় করা ফ্ল্যাটের চাবি হাতে পাননি ক্রেতারা। এরপরে প্রতারিতরা প্রকল্পের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই সময় এই আবাসন প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ও একজন ডিরেক্টর ছিলেন ভারতীয় দলের বর্তমান হেড কোচ। শুধু তাই নয়, গম্ভীর তাঁর ইমেজকে ব্যবহার করে ক্রেতাদের প্রলুব্ধ করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এবার সেই আগের করা মামলাতে বিশেষ আদালতের বিচারক বিশাল গগনে নতুন করে তদন্তের নি♑র্দেশ দিয়েছেন।
গৌতম গম্ভীর এই প্রকল্পে প্রায় ৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন সেই সময়। যা থেকে রিটার্ন হিসেবে পেয়েছিলেন ৪ কোটি ৮৫ লক্ষ্য টাকা। অভিযোগ, এই বিষয়টি আগে মামলায় উল্লেখ করা হয়নি। বিচারক তাঁর পর্যবেক্ষণে বলে🎃ছেন, ‘রুদ্র বিল্ডওয়েল রিয়েলটি প্রাইভেট লিমিটেড গম্ভীরকে যেই অর্থ ফেরত দিয়েছে, সেই ব্যাপারে তাঁর কোনও আগের যোগসাজশ ছিল কি না তা স্পষ্ট নয়। অথবা বিতর্কিত এই প্রকল্পে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে পাওয়া তহবিল থেকে সেই অর্থ দেওয়া হয়েছে কি না তাও উল্লেখ করা হয়নি, যেহেতু মূল অভিযোগটি প্রতারণার অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই প্রতারণা করা অর্থের কোনও অংশ গম্ভীরের কাছে গিয়েছিল কি না, তা চার্জশিটে স্পষ্ট করা দরকার ছিল।’
২০১১ সাল থেকে ২০১৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত রুদ্র বিল্ডওয়েল রিয়েলটি প্রাইভেট লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর ছিলেন গম্ভীর। তখন এই কোম্পানির সঙ্গে গম্ভীরের কী কী আর্থিক লেনদেন হয়েছে, তার বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করতে বলেছেন বিচারক। সংস্থার এক জন সক্রিয়⛎ পদাধিকারী হয়ে গম্ভীর কী ভাবে বিজ্ঞাপনের মুখ হলেন, সেই বিষয়টিও স্পষ্ট করতে বলেছেন বিচারক। ডিরেক্টরের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরও কেন তাঁকে দফায় দফায় বিপুল টাকা দিয়েছিল রুদ্র বিল্ডও꧑য়েল, সেই প্রশ্নের জবাবও চেয়েছেন বিচারক।