গাজিয়াবাদ জেলা আদালতে বিচারপতি ও আইনজীবীদের মধ্যে তুমুল হট্টগোল। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায় যে আইনজীবীরা বিচারপতিদের চেম্বারের সামনে চলে যান। সেই সময় সেখানে গিয়ে তাঁরা রীতিমতো হট্টগোল শ🔥ুরু করে দেন। একসময় পুলিশ ডাকতে হয় পরিস্থিতি সামলানোর জন্য। এদিকে ভিডিয়োতে দেখা যায় যে পুলিশ চেয়ার তুলে আইনজীবীদের তাড়া করছেন। এমনকী আধা সামরিক বাহিনীকেও ডাকতে হয়। এদিকে আইনজীবীদের দাবি তাঁদের মধ্য়ে কয়েকজন আহত হয়েছেন। লাঠি চার্জের জেরে আহত হয়েছেন তাঁরা।
এদিকে ঘটনার পরে বার♊ অ্যাসোসিয়েশন দ্রুত মিটিংয়ে বসে। এদিকে পুলিশ বিচারপতির চেম্বার থেকে বের করে দেয় আইনজীবীদের। এরপর তারা বাইরে বের হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সুরক্ষা বাহিনীর বিরুদ্ধে তারা সরব হয়েছিলেন।
কী নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত?
সূত্রের খবর, বিচারপতি ও আইনজীবীদের মধ্য়ে একটি জামিন স♚ংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে কিছু উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। সূত্রের খবর, বিচারপতির চেম্বারে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন সংক্রান্ত একটা ব্যাপারে কথা হচ্ছিল। একাধিক আইনজীবী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা পিটিশনটা ট্রান্সফারের দাবি করছিলেন। কিন্তু সেটা মানা হয়নি। এরপরই তাঁরা 🔯কার্যত মারমুখী হয়ে যান। এরপরই পুলিশ আইনজীবীদের বিচারপতির চেম্বার থেকে বের করে দেন। এদিকে ততক্ষণে আইনজীবীরা আসবাবপত্রে ভাঙচুর করেছেন বলে খবর। পুলিশ ইতমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে নানা বিষয় নিয়ে একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের সতর্ক করেছিলেন আগে। তার একাধিক ন🌠জির রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীকে কার্যত বকাঝকা করেছিলেন। কোর্ট রুমে যে নিয়ꦆম মেনে চলতে হয় সেটা বার বার মনে করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করেছিলেন এক আবেদনকারী🌊। আর সেই আবেদনের সময় সুপ্রিম কোর্টের তরফে যখন কথা বলা হচ্ছিল, তখন ওই আইনজীবী বার বার ‘ইয়া ইয়া’ বলছিলেন।
কার্যত সম্মতিসূচক অর্থে তিনি এভাবে ইয়া ইয়া বলছিলেন। তখন দেশের প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, 𝐆এটা কোনও কফি শপ নয়। এটা আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, একদম ♑এভাবে ইয়া! ইয়া! বলবেন না। বলবেন ইয়েস!। এটা আদালত। এই যে সমস্ত মানুষরা ইয়া ইয়া🏅 বলেন তাঁদের প্রতি আমার কিছুটা অ্যালার্জি রয়েছে।
তবে এবারই প্রথম নয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এর আগেও আদালতের যে রীতি নীতি সেটা সম্পর্কে বার বার শিক্ষা দিয়েছেন সাধারণ আইಌনজীবীদের। গত মার্চ মাসে নিট-ইউজি শুনানির সময়তেও প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সিনিয়র অ্যাডভোকেট ম্যাথিউজ নেদামপুরাকে বের করে দেওয়ার জন্য নিরাপত্তারক্ষীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আসলে ওই আইনজীবী নরেন্দ্র হুডাকে বার বার বাধা দিচ্ছিলেন। নরেন্দ্র ওই মামলার অন্যতম আইনজীবী ছিলেন। এদিকে ম্যাথিউজ বার বারই দাবি করতে থাকেন যে তিনি এই মামলার অন্যতম আইনজীবী। তিনি সিনিয়র আইনজীবী। আর তখনই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনিয়ে অসন্তোষ প༺্রকাশ করেছিলেন।