আর্শদীপ সিংকে নিয়ে 'বর্ণবিদ্বেষী' মন্তব্য করে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন কামরান আকমল। শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ এবং ভারতের প্রাক্তন তারকা অফস্পিনার হরভজন সিংয়ের কাছেও ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার। সোমবার রাতে (ইংরেজি মতে মঙ্গলবার) তিনি বলেন, 'আমি সম্প্রতি যে মন্তব্য করেছিলাম, সেটার জন্য আমি গভীরভাবে দুঃখিত। হরভজন সিং এবং শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। আমি যে শব্দ প্রয়োগ করেছি, তা🌜 বাজে এবং অসম্মানজনক ছিল। বিশ্বের সকল প্রান্তের শিখদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি। আমি কখনও তাঁদের আঘাত করতে চাইছি। আমি সত্যিই দুঃখিত।'
কী বলেছিলেন কামরান?
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পরেই পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরআ♛ই নিউজের একটি অনুষ্ঠানে কামরান বলেন, 'যে কোনও কিছু হতে পারে। ইতিমধ্যে ১২ টা বেজে গিয়েছে।' অপর একজন অতিথি বলে ওঠেন, 'রাত ১২ টায় কোনও শিখকে বল করতে দেওয়া উচিত নয়।' আর সেই মন⛦্তব্য শুনে বাকিরা অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন।
নেটিজেনদের ক্ষোভ
আর সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ত🌃ুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার। এক নেটিজেন বলেন, 'এসব মন্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের এরকম ভয়াবহ অবস্থা কেন।' অপর একজন বলেꩵন, 'জঘন্য মনোবৃত্তি।' এক নেটিজেন আবার বলেন, 'এরকম মন্তব্যের নিন্দা করা উচিত। এটাই অনেক পাকিস্তানি ক্রিকেটারের সমস্যা। তাঁরা শিক্ষিত নন এবং সমাজে কীভাবে কথা বলতে হয়, সেটা তাঁদের শেখানো হয়নি।'
তুমুল সমালোচনা হরভজনেরও
শুধু নেটিজেনরা নন, কামরানের সেই মন্তব্যের তুমুল সমালোচনা করেন হরভজন। তিনি বলেন, ‘তোর লজ্জা হওয়া উচিত, কামরান আকমল। নিজের নোংরা মুখটা খোলার আগে শিখদের ইতিহাস ꧋সম্পর্ক জানা উচিত তোর। যখন তোর মা-বোনেদের অপহরণ করেছিল অনুপ্র🗹বেশকারীরা, তখন আমরা শিখরা তাঁদের রক্ষা করেছিলাম। আর সময় অবশ্যই ১২ টাই ছিল। লজ্জা হওয়া উচিত। ন্যূনতম কৃতজ্ঞতা বোধ থাকা উচিত।’
কামরানের দুঃখপ্রকাশ এবং নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া
তারপরই কামরান ক্ষমা চেয়ে নেন কামরান। তাতে যে ভারতীয় নেটিজেনরা খুব একটা প্রসন্ন হয়েছেন, তা একেবারেই নয়। এক নেটিজেন বলেন, ‘অতীতেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। স্রেফ ক্ষমা চেয়ে দায় ঝেড়ে না ফেলে নিজের ভাবনাচিন্তা পাল✤টান আপনি।’ অপর একজন বলেন, ‘কিছু বলার আগে একবার তো ভাবুন যে কী বলছেন। আপনাদের মতো লোকের জন্য পাকিস্তানের নাম 📖খারাপ হয়।’ এক নেটিজেন বলেন, ‘আপনি পাকিস্তানের জন্য সবসময় অস্বস্তির কারণ হয়ে থেকেছেন।’