কার্যত হারতে বসা ম্যাচে বাজিমাত করেছে টিম ইন্ডিয়া। ব্যাটারদের ব্যর্থতা ঢেকে ফুল ফুটিয়েছেন ভারতের বোলাররা। জঘন্য ব্যাটিংয়ের প্রায়শ্চিত্ত করে, ভারতকে মুখ পোড়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়ারা। মাত্র ১১৯ রানের পুঁজিকে সম্বল করে কী ভাবে ম্যাচ জিততে হয়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। রবিবার নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতীয় বোলারদের সৌজন্যেই পাকিস্তানকে ৬ রানে হারিয়ে হাঁফ ছেড়েছে রোহিত শর্মা ব্রিগেড।
আরও পড়ুন: এক বছর আগে য🅘ার꧒া আমাকে বলেছিল, ক্যারিয়ার শেষ, তাঁরাই এখন… নিন্দুকদের সপাটে জবাব বুমরাহের
পাকিস্তানের জঘন্য ফিল্ডিং
তবে ভারতীয় ইনিংস চলার সময়ে একটি মজাদার ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তখন ১৯তম ওভারের খেলা চলছে। মারাত্মক চাপে ছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই সময়ে শাহিন আফ্রিদিদের তথৈবচ ফিল্ডিং দেখে হেসে গড়ালেন রোহিত শর্মা। বিরাট কোহলি আবা🌸র মুখে হাত দিয়ে জোর করে হাসি চাপার ব্যর্থ চেষ্টা করলেন। একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে স্ট্রাইকে থাকা মহম্মদ সিরাজকে একটি ফুল টস ডেলিভারি করেন শাহিন আফ্রিদি। ডিপ কভারে খেলেন মহম্মদ সিরাজ। তার পর সিরাজ এবং আর্শদীপ এক রান নেন। দ্বিতীয় রানের কথা ভাবার সময়ে ফিল্ডার বল ছুড়ে দেন ননস্ট্রাইকে থাকা শাহিনের দিকে। বলটি শাহিনের পায়ের আঙুলে লেগে বের হয়ে যায়। ধরতে পারেননি তারকা পেসার।
হাসি চাপতে পারলেন না রোহিত-কোহলি
এর পরেই আর্শদীপ, সিরাজ মিলে দ্বিতীয় রান নিয়ে নেন। ইফতিকার আহমেদ এর পর বলটি সংগ্রহ করে উইকেটকিপার মহম্মদ রিজওয়ানের দিকে থ্রো করেন। কিন্তু তিনিও সেই বল ধরতে ব্যর্থ হন। পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম পুরো ঘটনায় হতবাক হয়ে চেয়ে থাকেন। আর উল্টোদিকে ডাগআউটে বসে এই কাণ্ড দেখ💦ে নিজের হাসি চেপে রাখতে পারছিলেন না বিরাট কোহলি। মুখে হাত দিয়ে তিনি হাসি চাপার চেষ্টা করেন। রোহিত শর্মা তো হেসেই ফেলেন।
সিরাজ-আর্শ জুটির গুরুত্বপূর্ণ ১৬ রান
ভারতের🌃 ইনিংসের শেষ 𒅌পাঁচ ওভারে প্রতিটি রানই গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হয়েছে। সিরাজ এবং আর্শদীপের জুটি ১৬ রান করেছিল। যা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ভারতের জন্য। এই রানই কিন্তু দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আর্শদীপ ১৩ বলে ৯ করে রানআউট হয়ে যায়। সিরাজ ৭ বলে ৭ করে অপরাজিত থাকেন।
ক্যাচ মিসের হিড়িক
ষষ্ঠ ওভারের মহম্মদ আমির বল করতে এলে, তাঁর প্রথম ডেলিভারি পন্তের ব্যাটের কাণায় লেগে স্লিপের দিকে উড়ে যায়। ইফতিকার আহমেদ নিজের বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তবে তিনি ক্যাচটা ধরতে পারেননি। আমিরের ওভারের দ্বিতীয় বলে পন্তের ক্যাচ ফেলে দেন উসমান খান। লেগসাইডের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে বলটা ব্যাটের উপরের দিকে লেগে শূন্যে উঠে যায়। দৌড়ে ক্যাচটা ধরার চেষ্টা করেন উসমান। কিন্তু ধরতে পারেননি। দৌড়ে তিন রান নেন পন্ত। তারপর নবম 🍬ওভারে আরও একটি ক্যাচ ফস্কে দেয় পাকিস্তান। ক্যাচ মিস না হলে, পন্তকে আগে সাজঘরে ফেরাতে পারলে, হয়তো ম্যাচের ফল অন্য রকম হতে পারত।