অবশেষে সুর নরম করেছেন ইডেনের পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়। গত ২ বছরে এক নয়, একাধিকবারই তাঁকে বলতে শোনা গেছিল ইড𝓀েনের পিচ হবে তাঁর মনের ইচ্ছা মতো। এক্ষেত্রে যেটা বিসিসিআইয়ের মাপকাঠি আছে, সেটাই তিনি মেনে চলবেন। আইপিএলের কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির কথায় তিনি কর্ণপাত করবেন না। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ইডে😼নে কেকেআরের হারের পর এখনকার পরিস্থিতি আর আগের মতো নেই, তাতেই বাধ্য হয় সুর নরম করতে হয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মুম্বই থেকে কেকেআর ফিরলে তিনি কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেবেন এই বিষয়ে।
নীতীশ রানা ২০২৩ সালেই বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, কেকেআর একমাত্র দল যারা কোনও হোম অ্যাডভান্টেজ পায় না। গতবার শ্রেয়স মুখে না বললেও একই অভিযোগ উঠেছিল ইডেন নিয়ে আইপিএলের শুরুর দিকে, কিন্তু নাইটরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সেই নিয়ে বেশি আলোচনা হয়নি। আর এবারে রাহানের দল প্রথম ম্যাচে হারতেই ফের স্পিন সহায়ক উইকেট না পাওয়ার অভাবের কথায় জানায় নাইট🍰রা।
পিচ কিউরেটর দ্বন্দে নাইটদের পাশে অরুণ লাল
এবার কেকেআরের সঙ্গে একই সুরে সুর মেলালেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার কোচ অরুণ লাল। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলছেন, ‘ভারতে যখন ইংল্যান্ড খেলতে আসে তখন কি বিসিসিআই বাউন্সি আর সিমিং উইকেট তৈরি করে নাকি? একদমই নয়, ভারতে স্পিন সহায়ক উইকেটই তৈরি হয়। আর ইংল্যান্ডেও যখন ভারত খেলতে যায়, তখন ইসিবি নিজেদের দলের স্বার্থের কথা ভেবেই পিচ করꦍে। তাই প্রত্যেক দলেরই হোম অ্য♛াডভান্টেজ পাওয়াটা জরুরি ক্রিকেটকে আরও প্রতিযোগিতামুলক করে তোলার জন্য ’।
আইপিএলজয়ী তারকার বার্তা
প্রাক্তন নাইট রাইডার্স ক্রিকেটার মনবিন্দর বিসলাও মনে করেন, ইডেনে পিচ কিউরেটরের জেদাজেদির পর্ব বন্ধ হওয়া উচিত। তাঁর কথায়, ‘পিচ কিউরেটরের জেদ করা উচিত নয়, নাহলে দলের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়ায় আইপিএলের নিলামে দলগঠন করা। কারণ একটা নির্দিষ্ট প্ল্যানিং অনুযায়ী সবাই উইকেট বানিয়ে থাকে। একটা দল যদি বরুণ চক্রবর্তী বা সুনীল নারিনের মতো ক্রিকেেটারকে নিয়ে ঠিক মতো তাঁদের ব্যবহারই না করতে পারে, তাহলে লাভ কোথায়? এটা তখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সবার প্রথম লক্ষ্যই থাকে প্লে অফে পৌঁছানো। কꦯলকাতার মানুষও সেটা চায়। তাই এক্ষেত্রে পিচ কিউরেটরের সঙ্গে বসা উচিত ম্যানেজমেন্টের ’।