অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হয়। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম ইনিংসে টিম সাউদির বলে মার্নাস ল্যাবুশানের যে ক্যাচটি ধরেন গ্🉐লেন ফিলিপস, তাকে ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ক্যাচ বললেও ভুল বলা হয় না। বল তালুবন্দি করার জন্য এক্ষেত্রে সর্বাত্মক🎃 প্রচেষ্টা চোখে পড়ে ফিলিপসের মধ্যে। ফিলিপসের এমন দুর্দান্ত ফিল্ডিংকে সুপারম্যানসুলভ বলা এক্কেবারে যথাযথ হবে।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ফিলিপস এমন দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের নমুনা পেশ করেন। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৬০.২ ওভারে টিম সাউদির অফ-স্টাম্পের বাইরের বল গালি অঞ্চলে হাওয়ায় ভাসিয়ে ফেলেন ল্যাবুশান। বল ཧকার্যত ফিলিপসের নাগালের বাইরে ছিল। তা সত্ত্বেও দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতায় নিজের ডানদিকে শরীর ছুঁড়ে এক হাতে বল ধরে নেন ফিলিপস।
কিউয়ি তারকাকে এভাবে ক্যাচ ধরতে দেখে হতভম্ভ হয়ে যান ব্যাটসম্যান ল্যাবুশান। তিনি কার্যত বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। এটা বলা মোটেও ভুল হবে না যে, ফিলিপসের এমন অবিশ্বাস্য ক্যাচের জন্যই নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া হয় ল্যাবুশানের। অজি তারকাকে মাঠ ছাড়তে হয় ব্যক্তিগত ৯০ রানের মাথায়। সাজঘরে ফেরা🐼র আগে মার্নাস ১৪৭ বলের অনবদ্য ইনিংসে ১২টি চার মারেন।
ফিলিপসের জন্যই কেরিয়ারের শততম টেস্টের প্রথম ইনিংসে উইকেটহীন থাকতে হয়নি নিউজিল্যান্ড দলনায়ক টিম সাউদিকে। তিনি প্রথম ইনিংসে ১৮ ওভার বল করে ৬৮ রানের বিনিময়ে এই একটি🌜মাত্র উইকেট দখল করেন।
ল্যাবুশান শতরান হাতছাড়া করলেও অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসের নিরিখে উল্লেখযোগ্য লিড নি⛦য়ে নেয় প্রথম ইনিংসে। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডে⭕র ১৬২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া প্রথম দিনেই তুলে ফেলে ৪ উইকেটে ১২৪ রান। দ্বিতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৫৬ রানে। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৯৪ রানে এগিয়ে থাকে অজিরা।
যদিও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একা কুম্ভ হয়ে লড়েন ল্যাবুশান। কেননা তাদের আর কোনও ব্যাটার প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত ৩০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেননি। স্ট🅰িভ স্মিথ ১১, উসমান খোয়াজা ১৬, ক্যামেরন গ্রিন ২৫, ট্র্যাভিস হেড ২১, নাথান লিয়ন ২০, অ্যালেক্স ক্যারি 🥂১৪, মিচেল স্টার্ক ২৮ ও প্যাট কামিন্স ২৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে বল হাতে রীতিমতো আগুনꦛ ঝরান ম্যাট হেনরি। তিনি প্রথম ইনিংসে ২৩ ওভার বল করে ৪টি মেডেন-সহ ৬৭ রানের বিনিময়ꦯে একাই ৭টি উইকেট দখল করেন।