যখন ইংল্যান্ডের ওডিআই দলের অধিনায়ক পদে এসেছিলেন তখন অনেকেই তাঁর যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে 𓂃দিয়েছিলেন। এত কম বয়সে, এত কম ওডিআই ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে আদৌ ইংল্যান্ড দলের ওডিআই ফরম্যাটের অধিনায়ক পদে বসার যোগ্য হ্যারি ব্রুক কিনা, সেই প্রশ্নই উঠেছিল। প্🧸রথম দুই ওডিআইতে বাজেভাবে হারের পর সেই প্রশ্নই জোরালো হতে শুরু করেছিল। তবে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে কনিষ্ঠতম ইংল্যান্ড অধিনায়ক হিসেবে শতরান করে নজির গড়লেন ব্রুক। এর আগে এই রেকর্ড ছিল অ্যালিয়েস্টার কুকের, তিনি ২৬ বছর ১৯০ দিনে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসেবে শতরান করেছিলেন। হ্যারি ব্রুক করলেন ২৫ বছর ২১৫ দিনে।
মঙ্গলবার রিভারসাইডে তৃতীয় ম্যাচে হারলেই সিরিজ হাতছাড়া হত, সেই সঙ্গে ব্রিটিশ মিডিয়ায় তাঁর মুন্ডপাতও শুরু হয়ে যেত। তবে ঠিক সময়ই জ্বলে উঠেছেন ইংরেজদের স্টপ গ্যাপ অধিনায়ক। শতরান করে দলকে জিতিয়েছেন তৃতীয় ওডিআইতে। দলও আপাতত সিরিজে লড়াইয়ে রয়েছে। এরপর হ্যারি ব্রুক ব♏লছেন, শতরানের পর তিনি কিছুটা স্বস্তি বোধ করছেন।
আরও পܫড়ুন-হ্যারি ব্রুকের শতরানে অবশেষে থামল অজিদের বিজয়রথ! ৩৪৮ দিন পর ODIতে হার অস্ট্🍌রেলিয়ার…
ট্রেন্ট ব্রিজ এবং হেডিংলেতে যেরকমভাবে ইংল্যান্ডকে পর্যুদস্ত হতে হয়েছিল তাতে তৃতীয় ম্যাচে যে তাঁরা কামব্যাক করবেন সেটা সহজে অনুমান করা যায়নি। কারণ মাত্র ১১ রানের মধ্যেই দুই ইংরেজ ওপেনার ফিরেছিলেন সাজঘরে। টি২০ সিরিজে অধিনায়কত্ব করা ফিল সল্ট রান পাননি। দুই ওপেনারকেই সাজঘরে ফেরান অস্ট্রেলিয়ান মিচেল স্টার্ক। এরপর অবশ্য মাঠে নেমে দায়িত্বশীল ইনিং🗹স খেলে দলকে জেতান ২৫ বছর বয়সী হ্যারি ব্রুক।
আরও পড়ুন-অবসরের সিদ্ধান্তে ডিগবাজি! ম্যাককালাম কোচ হতেই স্টোক্স বললেন, ‘আবার ꧙ODI খে🐟লতে রাজি’…
ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার স্টার্ককে পাল্টা আঘাত শুরু করেন হ্যারি ব্রুক এবং তাঁর সঙ্গী উইল জ্যাকস। দুজনে মিলে জুটিতে তোলেন ১৫৬ রান। নিজে 🎃১১০ রানে অপরাজিত থাকেন ইংরেজ অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়ার ৩০৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে যখন বৃষ্টি শুরু হয়, তখন দেখা যায় ইংল্♎যান্ড ৪৬ রানে এগিয়ে রয়েছে ডাকওয়ার্থ লুইস সিস্টেমে, এরপরই তাঁরা ম্যাচ জেতে।
নিজের ১৮তম ওডিআই ম্যাচে খেলতে নামা হ্যারি ব্রুক অজিদের বিরুদ্ধে শতরান করে দলকে জিতিয়ে বললেন, ‘আমি খুব স্বস্তি পেয়েছি এই ইনিংসের পর, এটা সত্যি কথা। নিজের প্রথম শতরান পাওয়া সব সময়ই আনন্দের, আশা করব আরও অনেক আসবে আগামী দিনে। আমার মনে হয়েছিল আমি বারবার ৩০-৪০ রান করার পর সেটাকে আর বড় রানে কনভার্ট করতে পারছিলাম না। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রান করা সব সময়ই আনন্দের। তবে দিনের শেষে দলের জয়ে বেশ খুশি, সে যেই প্রতিপক্ষই হোক না কেন ’🦩।
আরও পড়ুন-পাখির চোখ T20 বিশ্বকাপ! দুবাই উড়ে গেল ভারতীয় মহিলা দল…হরমনপ্রীতদের সঙ্গে গেল🅺েন মনোবিদও…
নটিংহ্যামে দলের হারের পর হ্যারি ব্রুক বলেছিলেন, বাউন্ডারি লাইনে আউট হলে কারোর কিছু বলার থাকে না। যদি൩ও সেই মন্তব্যের পর অনেক সমালোচিত হয়েছেন তিনি। সেই নিয়ে তৃতীয় ওডিআইয়ের শেষে ফের জবাব দিয়েছেন ব্রুক। বলেছেন, ‘আমার মনে মানুষ আমার মন্তব্যকে ভুল বুঝেছে। আমি বলতে চেয়েছি বাউন্ডারি লাইনে আউট হলে কার কি যায় আসে। তার মানে আমি এটা বলতে চাইনি যে দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলতে। কিন্তু ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলা প্রয়োজন। অ্যাটাকিং ক্রিকেট না 𒀰খেললে কুঁকড়ে থাকতে হয়, যেটা আরও খারাপ। সেই জন্যই কথাটা বলেছি। যেমন টেস্টে ফরম্যাটে বারবার স্টোক্স মিড অনে আউট হয়ে যেত, কিন্তু অ্যাটাকিং শট খেলায় এখন আর ওই পজিশনে অত আউট হচ্ছে না। তাই বোলারদের বিরুদ্ধে এমন মানসিকতা রেখে খেলার কথাই বলতে চেয়েছি ’।