রিঙ্কু সিং কি ২০২৪ আইপিএল শুরু হওয়ার আগেই ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছেন? এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে অনেকে মনে করছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফটোশুটে অংশ নিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম টেস্টের আগে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট এই বাঁ-হাতি ব্যাটারকে ধরমꦏশালায় তলব করেছিল।
বিশ্ব ইভেন্টটি এই বছরের জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এবং রিঙ্কু ভারতীয় দলে ফিনিশারের ভূমিকা নেওয়ার জন্য অন্যতম সেরা পছন্দ। বিশ্বকাপের আগে ভারতের আর কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, ২০২৪ আইপিএলের পারফরম্যান্স দেখে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতের স্কোয়াড ♛চূড়ান্ত করা হবে। সেক্ষেত্রে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের জন্য আইপিএল সবচেয়ে বড় নির্ধারক ফ্যাক্টর হবে। তবে সব প্লেয়ারদের বিষয়টি নিঃসন্দেহেই প্রযোজ্য হবে না।
আরও পড়ুন: আমি যেভাব𓆉ে খেলি, সেভাবেই খেলব- শট নির্বাচন নিয়ে সমালোচনাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না জো রুট
অধিনায়ক রোহিত শর্মা ছাড়াও তারকা খেলোয়াড় বিরাট কোহলি, জসপ্রীত বুমরাহ এবং হার্দিক পান্ডিয়াদের জায়গা নিশ্চিত। রিঙ্কু সিং-ও সম্ভবত নিজের জায়গা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেꩲর দলে পাকা করে ফেলেছেন। আর এর বড় প্রমাণ টুর্নামেন্টের জন্য বিশেষ ফটোশুটে বাঁ-হাতিদের উপস্থিতি।
রিঙ্কু ধরশালায় গিয়ে ꦍইংল্যান্ডের প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামের🌺 সঙ্গেও দেখা করেন এবং সেই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তিনি। ম্যাকালাম আগে কলকাতা নাই রাইডার্সের প্রধান কোচ ছিলেন। আর ২০১৮ সাল থেকে রিঙ্কু কেকেআর-এ খেলছেন। তাই কোচ হিসেবে ম্যাকালামকে তিনি বহু দিন পেয়েছেন।
যাইহো🍨ক টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে রিঙ্কুর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সই সম্ভবত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে দিয়েছে তাঁকে। ভারতের জার্সিতে রিঙ্কু সিং ১১টি ইনিংস খেলেছেন। ১৭৬.২৩ স্ট্রাইক রেটে তাঁর সংগ্রহ ৩৫৬ রান। আর তিনি পাঁচ নম্বর বা তারও নীচে ব্যাট করতে নেমে এই রান করেছেন। জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলে ফিনিশার হিসেবে তিনি ইতিমধ্যেই নজর কে🌳ড়েছেন।
রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেনার হিসেবে একাধিক বিকল্প রয়েছে ভারতের হাতে। রুতুরাজ গায়কোয়াড়, যশস্বী জয়সওয়াল এবং শুভমন গিলরা ওপেনার হিসেবে বড় বিকল্প। তবে ভালো ফিনিশারের অভাব দলে বরাবরই ছিল। এটা নিয়ে ভারতকে ভুগতেও হয়েছে।🅺 কিন্তু রিঙ্কু আসার পর থেকেই এই অভাব অনেকটাই দূর হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে প্রতি ইনিংসে রিঙ্কু গড়ে তিনটি বাউন্ডারি হাঁকান। তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি হল চাপের মধ্যেও তিনি ঠাণ্ডা মাথায় খেলে যেতে পারেন। এবং দলকে জেতানোর ক্ষমতা রাখেন। কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং ভারতের হয়ে তিনি বারবার সেই কাজটা করে দেখিয়েছেন। এটি এমন একটি দক্ষতা যা বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে কাজে আসবে।