শুক্রবার থেকে টেস্ট সিরিজ শুরু করছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। ঐতিহাসিক বর্ডার গাভাসকর সিরিজের শুরু হচ্ছে পার্থ টেস্ট দিয়ে। দুুই দলেরই মনে রয়েছে ২০২১ সিরিজের ফলাফল। এই অবস্থায় টিম ইন্ডিয়ার কাছে তাই চ্যালেঞ্জ কিউয়ি সিরিজ ভুলে ভালো পারফরমেন্স দেখানো, তেমন অজিদের চ্যালেঞ্জ সাম্প্রতিক পারফরমেন্সে বদল আনা। ভারতীয় দল মরিয়া থাকবে তৃতীয়বার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ওঠার জন্য। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে যদি দেখা যায়, তাহলে কোনওভাবেই কাজটা সহজ হবে না। কারণ ভারতকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে যেতে গেলে জিততে হবে চারটি টেস্ট ম্যাচ, যা মোটেই সহজ কাজ নয়। তবে ভারতীয় দল ইংল্যান্ড সিরিজে দেখিয়েছে, তাঁরা দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারে। এই সিরিজে ভারতের তিন ক্রিকেটার সব সময়ই অজি বোলারদের শাসন করে এসেছে। বিরাট কোহলি ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে করেছিলেন একাই চারটি শতরান। এছাড়াও চেতেশ্বর পূজারা ২০১৮-১৯ সালের সিরিজে সর্বোচ্চ রানের মালিক ছিলেন। আর গাব্বা টেস্টসহ বেশ কয়েকটি টেস্টে অজিদের ডেরায় গিয়ে দাপট দেখিয়ে এসেছেন ঋষভ পন্ত। অজিদের মাঠে দাদাগিরি করেই খেলেন তিনি। প্রথম টেস্টে আকাশদীপ থাকছে জসপ্রীত বুমরাহর সঙ্গে। কিন্তু মনে করা হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্টের আগেই ভারতীয় স্কোয়াডে যোগ দেওয়ানো হতে পারে মহম্মদ শামিকে। সেক্ষেত্রে বিদেশের মাটিতে শামিকে পাওয়া মানে বুমরাহর অনেকটা সাহায্য হওয়া এবং তাঁর ওপর থেকে চাপ কমা। কারণ এখন তিনি সিনিয়র হওয়ায় বাকিদের দিয়ে ভালো বোলিং করানোর দায়িত্বও তাঁর হয়ে গেছে। প্রথম টেস্ট শুরুর পার্থের অপটাস স্টেডিয়ামে, ২২ থেকে ২৬ নভেম্বর, খেলা শুরু ভারতীয় সময় সকাল ৭.৫০টায়। দ্বিতীয় টেস্ট দিনরাতের, অ্যাডিলেড ওভালে, চলবে ৬ থেকে ১০ ডিসেম্বর, ভারতীয় সময় খেলা শুরু ৯.৩০টায় তৃতীয় টেস্ট ব্রিসবেনের গাব্বায়, ১৪ থেকে ১৮ই ডিসেম্বর, ভোর ৫.৫০টায় চতুর্থ টেস্ট হল বক্সিং ডে টেস্ট, হবে মেলবোর্নে শুরু ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর, ভারতীয় সময় খেলা শুরু ভোর পাঁচটায় ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া পঞ্চম টেস্ট সিডনিতে ৩-৭ জানুয়ারি, খেলা শুরু পাঁচটায় পার্থে প্রথম ম্যাচের সময় ২৫ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কিছুক্ষণেই তা কেটে যাবে। অপটাস স্টেডিয়ামের পিচে বাউন্স আর পেস থাকবে, ফলে বোলাররা বাড়তি সুবিধা পেতে চলেছে। যে স্পিনাররা অতিরিক্ত বাউন্স কাজে লাগাতে পারেন, তাঁদের জন্য এই পিচ সহায়ক হতে পারে। ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া নিজেদের মধ্যে ১০৭টা টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৪৫ ম্যাচে, ভারত জিতেছে ৩২ ম্যাচে। ১টি ম্যাচ টাই হয়েছে, ২৯টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।