দিল্লির প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমার বলেছেন যে ভারতীয় খেলাধুলায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনের অনেক ফাঁক রয়েছে এবং সেই কারণেই কলঙ্কিত প্রাক্তন ফাস্ট বোলার এস শ্রীসন্থের মতো অভিযুক্ত ক্রিকেটার বেঁচে যায়। নীরজ কুমারের মতে শ্রীসন্থের উপর আইপিএল ২০১৩-এ স্পট ফি♏ক্সিংয়ের জোরালো অভিযোগ রয়েছে। প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও সে বᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚেঁচে গেছে।
কী বললেন দিল্লির প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমার?
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নীরজ কুমার বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, ক্রিকেটে দুর্নীতি বা সাধারণভাবে খেলাধুলায় দুর্নীতি মোকাবেলা করার জন্য (ভারতে) কোনও আইন নেই। এমনকি জিম্বাবোয়ের মতো দেশেও সুনিꦿর্দিষ্ট আইন রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডেও আইন আছে। ইউরোপে আইন আছে কারণ দুর্নীতি শুধু ক্রিকেটে নয়, ফুটবল, টেনিস, গলফেও আছে।’ সিবিআই তদন্ত দলের অংশ হিসাবে ২০০০ সালে হ্যান্সি🙈 ক্রোনিয়ে ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন নীরজ কুমার। তিনি বলেন, ‘খেলাধুলায় দুর্নীতির বিচারের সবচেয়ে বড় বাধা আইনের অভাব।’
আরও পড়ুন… IPL 202🍷4🌄 Points Table: জয়ের খাতা খুলেই RCB-DC কে পিছনে ফেলল MI, তিন নম্বরে উঠে এল LSG
আইনের ফাঁকটা কোথায়?
উদাহরণ স্বরূপ, অনেক কিছু🀅ই আমরা বিচার বিভাগীয় যাচাই-বাছাইয়ের পরীক্ষায় দাঁড়াতে পারি না। আমরা যদি বলি যে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সময় মানুষ প্রতারিত হয়েছিল, এখন আদালত জিজ্ঞাসা করবে, আমাকে একজন লোক দেখান, যিনি👍 প্রতারিত হয়েছেন, সেই ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করুন। কে কোর্টে এসে বলবে যে আমি একটা ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলাম ফেয়ার প্লে এবং সবাই যার যার সাধ্যমতো খেলছে? তাই ভুক্তভোগীর অনুপস্থিতিতে মামলা প্রমাণ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন… IPL 2024 LSG vs GT: যশ ঠাকুরের গতির সামনে থমকে গেল গি▨লের গুজরাট! লখনউ জিতল ৩৩ রানে
কেন শ্রীসন্থ মামলা নিয়ে খুশি নন নীরজ কুমার?
ভারতে, ২০১৩ সাল থেকে এটি রোধ করার জন্য একটি আইন তৈরির কাজ চলছে। ক্রীড়া দুর্নীতি প্রতিরোধ বিল (২০১৩) ২০১৮ সালে লোকসভায় পেশ করা হয়েছিল এবং ফিক্সিং সহ ক্রীড়া জালিয়াতির জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের জন্য পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছিল। এই বিলটি বিচারপতি (অব.) মুকুল মুদগাল তৈরি করেছিলেন এবং ম্যাচ ফিক্সিং রোধ করার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়েছিল। এটি 'পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট 1867' প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল, যার অধীনে বাজির সাথে জড়িত যে কোনও ব্যক্তিকে শুধুমাত্র ২০০ টাকা জরিমানা বা তিন মাসেꦬর কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারে। শ্রীসন্থ মূলধারায় ফিরে এসেছেন এবং প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার আগে কেরালার হয়েﷺ রঞ্জি ট্রফিও খেলেছেন। তাকে এখন বিভিন্ন লিজেন্ডস লিগে দেখা যায় এবং তিনি এখন বিভিন্ন সম্প্রচার প্ল্যাটফর্মে বিশেষজ্ঞ হিসেবে মতামতও দেন।
শ্রীসন্থ কি আবার জেলে যেতে পারেন?
নীরজ, যিনি খেলায় দুর্নীতি নিয়ে তার অভিজ্ঞতা নিয়ে 'এ কপ ইন ক্রিকেট' বইটি লিখেছেন, আশাবাদী যে দিল্লি হাইকোর্টে পুনরায় খোলা মামলাটি তার যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে। তিনি বলেন, ‘আমরা সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করেছি এবং এটি এখন দিল্লি হাইকোর্টে বিচারাধীন। প্রাথমিকভাবে এটি কোভিডের কারণে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি, কিন্তু এখন কিছু শুনানি হয়েছে এবং আদেশটি উল্টে গেলে আপনার অবাক হওয়া উচিত নয✅় কারণ আমাদের কাছে আরও অনেক প্রমাণ রয়েছে।’
আজহারউদ্দিন মামলা নিয়ে কী বললেন নীরজ কুমার?
নীরজ কুমার বলেছেন, ‘শ্রীসন্থ কেরালা হাইকোর্ট থেকে ছাড় পেয়েছেন কিন্তু তারা বলেনি যে তিনি নির্দোষ।’ নীরজ আরও মনে করেন যে ২০০০ কেলেঙ্কারিতে জড়িত প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ‘সম্পূর্ণ হতে দেওয়া হয়নি।’ আজহারউদ্দিন মামলার যৌক্তিক পরিণতিতে পৌঁছাতে দিলে অনেক বড় বড় নাম ফাঁস হয়ে যেত কিন্তু তাও হতে দেওয়া হয়নি। খেলাধুলা, বিশেষ করে ক্রিকেটে দুর্নীতি মোকাবেলায় গুরুত্বের অভাব রয়েছে। বড় বড় নাম সামনে চলে আসত, তাদের সিল করা খামে রাখা হয়েছে এবংꩲ তা এখনও সুপ্রিম কোর্টেই রয়েছে।