ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের কতবড় ইমপ্যাক্ট পড়েছে আইপিএলে, সেটা জলের মতো স্পষ্ট। ২০২৩ আইপিএলে বিসি🦂সিআই প্রথমবার প্রয়োগ করে ইমপ্যাক্ট পরিবর্তের নিয়ম। তবে কীভাবে এই পরিবর্ত ক্রিকেটার যথাযথভাবে ব্যবহার করা যাবে, ফ্র্যাঞ্জাইজিদের তা বুঝে উঠতে একটু সময় লেগে যায়।
তবে একবার সড়গড় হয়ে যাওয়ার পরে সব দলই ইমপ্যাক্ট প্ল🐼েয়ারের লাভ তুলতে শুরু করে চলতি আইপিএলে। এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে যে রকম ঝুড়ি ঝুড়ি রান উঠছে, তাতেই বোঝা যাচ্ছে যে, ইমপ্যাক্ট পဣ্লেয়ার কতটা বৈপ্লবিক বদল এনেছে ম্যাচের গতিপ্রকৃতিতে। এর আগে কোনও আইপিএল মরশুমেই একবারের বেশি দলগত ২৪০ রানের ইনিংস গড়ার ঘটনা চোখে পড়েনি। আইপিএল ২০২৪-এ ইতিমধ্যে ১১ বার দেখা গিয়েছে ২৪০ বা তারও বেশি রানের ইনিংস। বোঝাই যাচ্ছে তফাৎটা।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মের জন্যই আইপিএলে বিস্তর রান উঠছে। দর্শকরা চার-ছক্কা দেখতেই মাঠে আসেন। সুতরাং, ক্রিকেটপ্রেমীদের বিনোদন নতুন মাত্রা পেয়েছে। তবে ক্রিকেটীয় দিক দিয়ে দেখলে বিষয়টির নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে যথেষ্ট। বিশেষ করে বোলারদের আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা লাগার বিষয়কে উপেক্ষা করা যাবে না মোটেও। তাছা🐻ড়া অল-রাউন্ডারের প্রয়োজনও ফুরিয়েছে এখন। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে বিশেষজ্ঞ ব্যাটার ও বোলার ব্যবহারের দিকেই ঝুঁকছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।
চলতি আইপিএলে শিবম দুবের মতো পেসার অল-রাউন্ডার বল করার সুযোগ পেয়েছেন কদাচিৎই। অথচ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একজন পেসার অল-রাউন্ডারের কতটা🍰 প্রয়োজন টিম ইন্ডিয়ার, সেটা সবাই বোঝেন। সব দেখে শুনে রোহিত শর্মার মতো ক্রিকেটার প্রকারান্তরে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম তুলে দেওয়ার দাবি জানান। সরাসরি নিয়𝓡ম বদলের কথা না বললেও নিজের অখুশি প্রকাশ করেন ভারত অধিনায়ক। ঋষভ পন্তও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেন।
টম মুডির মতো প্রাক্তন অজি তারকা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্পষ্ট দাবি জানান ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম তুলে দেওয়ার। খেলা আকর্ষণীয় হয়ে উঠলেও ব্যাট-বলের লড়াইয়ে কোণঠাসা হচ্ছেন বোলাররা। ব🌳িষয়টি স্পষ্ট হতেই বিসিসিআই ভাবনা-চিন্তা করতে শুরু করেছে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে।
আরও পড়ুন:- T20 বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি রান, সেরা পাঁচে রয়েছেন 𒀰রোহিত-কোহলি, দেখুন তালিকা
বিসিসিআই সচিব জয় শাহ স্পষ্ট জানান যে, আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম চিরস্থায়ীভাবে বলবৎ করা হয়নি। বরং 🍌তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে এখনও। ম্যাচে বাড়তি একজন ভারতীয় ক্রিকেটারকে সুযোগ করে দিতেই এই নিয়ম চালু করার কথা ভাবা হয়। এক্সপ্রেস স্পোর্টসে জয় শাহ জানান যে, বিশ্বকাপের পরে ভারতীয় ক্যাপ্টেন, ক্রিকেটার, কোচ ও আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে। সেই মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী সময়ে।
বোর্ড সচিব বলেন, ‘আইপিএলে পরীক্ষামূলকভাবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়া꧑র ব্যবহার করা হচ্ছে। এই নিয়ম চালু করা হয়, যাতে দু’জন ভারতীয় প্লেয়ার ম্যাচে সুযোগ পেতে পারে। এটা চিরস্থায়ী নয়। আমরা ভারতীয়ꦰ ক্যাপ্টেন, প্লেয়ার, কোচ ও ফ্র্যাঞ্চইজিদের সঙ্গে আলোচনা করব। তার পরেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিশ্বকাপ শেষ হলে এই বৈঠক আয়োজন করা হবে।'