২০২২ সালে ভারতীয় দলে ডাক পেলেও সেই সিরিজে খেলতে পারেননি রজত পাতিদার। গোড়ালির চোটের জন্যই ছিটকে গিয়েছিলেন এই তরুণ ক্রিকেটার। এক বছর পর ফের একবার এই তরুণ ক্রিকেটারের সামনে ভারতীয় দলের হয়ে অভিষেকের সুযোগ। এবার অবশ্য দেশের🥂 মাটিতে নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেই এই তরুণ ক্রিকেটারের সামনে অভিষেকের সুযোগ এসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজের স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছেন রজত পাতিদার। সেখানেই নিজের সেরা পারফরম্যান্স দেখানোর লক্ষ্যে মরিয়া হয়েছে রজত পাতিদার।
গোড়ালিতে চোট এবং অস্ত্রোপচা🐷রের জন্য় এবারের আইপিএল-ও খেলতে পারেননি রজত। বিজয় হাজারে ট্রফি দিয়েই ফের মাঠে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। সেখানেও দুরন্ত পারফরম্যান্স করেন মধ্যপ্রদেশের হয়ে। ইতিমধ্যেই বিজয় হাজারে ট্রফিতে মধ্যপ্রদেশের হয়ে ছয় ম্যাচে চারটি অর্ধশতরান করে ফেলেছেন। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর তিনি বলেছেন, ‘এখন আমি ভাগ্যকে যথেষ্ট বিশ্বাস করি। ভাগ্যে ক⛎ী লেখা রয়েছে তা নিয়ে অবশ্য বিশেষ ভাবতে রাজি নই। আমি বর্তমানের মধ্যে থাকার চেষ্টা করি।’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘অস্ত্রোপচারের পরে ভারতীয় দলে ফের সুযোগ পেয়ে খুব ভালো লাগছে।’
শেষবার পাতিদার ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে। তবে তিনি একটি ম্যাচও খেলেননি। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের অভিযানকে কেন্দ্র করে সিরিজটি নিয়েও সেভাবে আগ্রহ ছিল না। ফের আরও একটি টি-টোয়🌠েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। পরের বছর জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। পাতিদার যদিও জাতীয় দলে নিজের জায়গা পাকা করা নিয়ে বেশি ভাবিত নন।
২০২১ সালে প্রথম বার আইপিএলের মঞ্চে খেলেছিলেন রজত পাতিদার। সেখানেও ৩০০ রানের গন্ডি টপকেছিলেন এই তরুণ ক্রিকেটার। সেই ধারা ২০২২ সালের আইপিএলেও বজায় রেখেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে। সেখানেই লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে আইপিএলের মঞ্চে অন্যতম দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ৫৪ বলে ১১২ রানের ইনিংস♛ খেলেছিলেন। একই সঙ্গে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধেও ৫২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ২০২১ সালে আবার মুম্বইয়ের বিপক্ষে মধ্যপ্রদেশের হয়ে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে সেঞ্চুরিও করেছিলেন এই ব্যাটসম্যান। এবার দেশের জার্সিতে জায়গা করে নিয়েছেন তরুণ ক্রিকেটার।
তিনি বলেছেন, ‘সেঞ্চুরির আগে (এলএসজি-র বিরুদ্ধে ৫৪ বলে অপরাজিত ১১২) আমি জিটির বিপক্ষে ৫২ রান করেছিলাম। তখনই আমার মনে হয়েছিল আমি হয়তো আইপিএলে সেঞ্চুরি করতে পারব। আমি আমাদের কোচ সঞ্জয🥃় বাঙ্গারকে বলেওছিলাম এই কথা। আমি ১২তম ওভারে আউট হয়ে যাচ্ছিলাম। আমি জানতাম, যদি আমি বোলারদের আরও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বেছে নিই, তাহলে আমি এটা করতে পারব।’