ভারত বনাম বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হারতে হয়েছে শান্তদের। এবার সাদা বলের টি-২০ সিরিজের পরীক্ষায় নামতে চলেছে বাংলাদেশ দল। এই টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচটি রবিবার গোয়ালিয়রে অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই দিতে মাঠে নামবে বাꩲংলাদেশ। তবে তার আগে শুক্রবার গোয়ালিয়র শহরের মোতি মসজিদে নমাজ পড়তে যাওয়ার কথা ছিল🧔 বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।
কিন্তু হঠাৎ করেই বাংলাদেশের ক্রিকে🌟ট টিম ম্যানেজমেন্ট সেই পরিকল্পনা বাতিল করে। পরিবর্তে টিম হোটেলেই নমাজ পড়েন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ম্যাচের আগে এই তথ্য জানিয়েছেন গোয়ালিয়র পুলিশের এক কর্তা। যদিও পুলিশের তরফে নিরাপত্তার সবরকম বন্দোবস্ত করা হয়েছিল বলেই জানা যাচ্ছে। মোতি মসজিদে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের অপেক্ষায় ছিলেন সকলেই। তবে হঠাৎ এই সিদ্ধান্তে সকলেই অবাক হয়ে যান।
আরও পড়ুন: Women's T20 WC 2024: ব্যাটারদের ব্ღযর্থতা, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জেতার সুযোগ হাতছাড়া করল বাংলাদেশ!
বাংলাদেশের টিম হোটেল থেকে ফুলবাগের মোতি মসজিদ মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। সামান্য দূরত্বের মসজিদে কেন গেলেন না বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা, তা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বা সে দেশের ক্রিকেট বোর্ড থেকে কিছু বলা হয়নি। তবে গোয়ালিয়র জোনের ইন্সপেক্টর জেনারেল অরবিন্দ সাক্সেনা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘মোতি মসজিদে নিরাপত্তার সব রকম ব্যবস্থা করে রেখেছিলাম আমরা। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা এখানে আসেননি। 🔯তবে কোনও সংগঠন ওঁদের আসা নিয়ে কোনও ঝামেলার হুমকি দেয়নি। হয়তো দলের ম্যানেজমেন্ট মসজিদে নমাজ পড়ার পরিকল্পনা বাতিল করার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
বাংলাদেশের টিম হোটেল থেকে যে মাঠে ৩ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা প্র্যাক্টিস করছেন, সেই মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দূরত্ব ২৩ কিলোমিটার। নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে আর বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা সূচি মেনেই প্রস্তুতি সারছেন। স্থানীয় নিরাপত্তা আধিকারিকেরা জানিয়েছেন,ꩲ সেখানে টিম হোটেল থেকে মাত🐲্র ৩ কিলোমিটার দূরের মসজিদে যাওয়ার ব্যবস্থা করা তাদের কাছে মাথাব্যথার কারণই ছিল না। জানা গিয়েছে, রবিবার ম্যাচের দিন আড়াই হাজারেরও বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
যদিও রবিবার গোয়ালিয়রের ম্যাচ ঘিরে বেশ উত্তেজনা রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চলছে, এই অভিযোগে ভারত বনাম বাংলাদেশ টি-২০ ম্যাচের দিন গোয়ালিয়র বনধের ডাক দিয়েছে একটি দল। সেই কারণেই হয়তো বাংলাদ🦄েশ ক্রিকেট টিম ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্ত। জানা গিয়েছে, গোয়ালিয়রের সবচেয়ে নামী মুসলিম ধর্মগুরু শাহার কাজি বাংলাদেশের টিম হোটেলে গিয়ে দুপুর একটা থেকে আড়াইটে পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নমাজ এ জুমা পাঠ করিয়েছেন।