এক হাতে অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরেও রোহিতের জুটল শুধুই প্রশংসা। পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন অন্যরা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ভাꦑরতীয় ফিল্ডাররা বেশ কয়েকটি ক্যাচ মিস করেন। সেগুলির বেশিরভাগই ছিল হাফ-চান🌄্স। তবে এমন কিছু ক্যাচ ধরেন রোহিত-যশস্বী-লোকেশ-সিরাজরা, যেগুলিকে এককথায় অনবদ্য বলতেই হয়।
শুধু ক্যাচ ধরার ক্ষেত্রেই নয়, বরং বাংলাদেশ সিরিজে ভারতের সার্বিক গ্রাউন্ড ফিল্ডিং হয় দুর্দান্ত। অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে শর❀ীর ফেলে বেশ কিছু রান বাঁচান ভারতীয় ক্রিকেটাররা। যার ফলে বাংলাদেশি ব্যাটারদের কাজ আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
কানপুর টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে রোহিত শর্মা লিটন দাসের যে ক্যাচটি ধরেন, তা অত্যন্ত চমকপ্রদ। সিরিজের শেষে ভারতের ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ ইমপ্যাক্ট ✤ফিল্ডারের প💛ুরস্কার ঘোষণার সময় রোহিতের ক্যাচটির আলাদা করে প্রশংসা করেন। লেগ স্লিপে লোকেশ রাহুল মোমিনুল হকের যে ক্যাচটি ধরেন, তারও প্রশংসা শোনা যায় ভারতের ফিল্ডিং কোচের মুখে।
ফিল্ডিংয়ে যাঁরা যাঁরা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন, তা✨ঁদের প্রত্যেকের কথাই আলাদা করে উল্লেখ করেন টি দিলীপ। শেষমেশ যুগ্মভাবে ইমপ্যাক্ট ফিল্ডারের মেডেল গলায় ঝোলান 😼মহম্মদ সিরাজ ও যশস্বী জসওয়াল। সিরাজকে মেডেল পরিয়ে দেন যশস্বী। পালটা যশস্বীকে মেডেল পরিয়ে দেন সিরাজ।
সিরাজ দুই টেস্💫টের সিরিজে যথার্থই অনবদ্য ফিল্ডিং করেন। বিশেষ করে কানপুরে পিছন দিকে শরীর ফেলে শাকিব আল হাসানের যে ক্যাচটি ধরেন তিনি, তা অত্যন্ত কঠিন ছিল। কয়েকটি ক্ষেত্রে সিরাজের হাফ-চান্সকে ক্যাচে পরিণত করার প্রচেষ্টাও ছিল দেখার মতো। অন্যদিকে যশস্বী দুই টেস্ট🦩ে সাকুল্যে ৪টি ক্যাচ ধরেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশকে দুই টেস্ট⛄ের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে টিম ইন্ডিয়া। চেন্নাইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে ২৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে ভারত। প্রথমে ব্যাট করে টিম ইন্ডিয়া ৩৭৬ রান তোলে। পালটা ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ব্যাট ছেড়ে দেয় ৪ উইকেটে ২৮৭ রান তুলে। বাংলাদেশ শেষ ইনিংসে অল-আউট হয় ২৩৪ রানে।
কানপুরের দ্বিতীয় টেস্টে রোহিতরা ৭ উইকেটে হারিয়ে দেন নাজমুল হোসেন শান্তদের। শুরুতে ব্যাট করে বাংলাদেশ ২৩৩ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৯ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১৪৬ রান। ভারত শেষ ইনি🍒ংসে ৩ উইকেটে ৯৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়।