আমেরিকায় ইতিহাস গড়ে ফের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর ভোট গণনার সময় ট্রাম্পের জয় প্রায় নিশ্চিত হতেই নরেন্দ্র মোদী শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান ট্রাম্পকে। ট্রাম্প-মোদীর রসায়নের ফলে আগামীতে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও মধুর হতে পারে বলে আশা করছেন অনেকেই। এদিকে ট্রাম্পের অধীনে আমেরিকা নিজে কোন পথে এগোবে? আজ হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে এই নিয়ে নিজের মতামত জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। (আরও পড়ুন: মাথায় আদানির বক♛েয়ার বোঝা, ভারতের সাহায্যে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বাংলাদেশের)
আরও পড়ুন: অবশেষে ষষ্ঠ বেতন কমিশনে꧂র কর্মীদের ডিএ বাড়াল রাজ্য🌄, তবে হাতে আসবে না বকেয়া
ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে আমেরিকার অর্থনীতি কোন পথে চলতে পারে বলে মনে করেন জয়শংকর? ট্রাম্পের নীতি নিয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকাকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং এই লক্ষ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্ষমতার একটি শক্তিশালী উপাদান নিয়ে এসেছেন।' জয়শংকর যোগ করেন, এই ধরনের একটি আমেরিকা এমন পার্টনারের সন্ধান করবে যাদের সাথে তারা পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে পারবে। (আরও পড়ুন: আ🔜গে🐓 ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি হত… বোর্ড লেগে যেত, তবে উন্নয়ন দেখা যেত না: PM মোদী)
আরও পড়ুন: 'পাকিস্🥃তানের সন্ত্রাসবাদীরা নিজেদের ঘরেই𓂃 সুরক্ষিত নয়', ইসলামাবাদকে 'খোঁচা' মোদীর
এদিকে জয়শংকর আরও বলেন, 'ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের অর্থনৈতিক এবং উৎপাদন স্বার্থের বিষয়ে আরও স্ব-সচেতন হবে। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রযুক্তি জড়িয়ে আছে জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে। বর্তমানে প্রযুক্তি এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিভক্ত করা যাবে না। এবং এটি ডিজিটাল এবং এআই বিপ্লবের অংশ।' এদিকে জয়শংকর বলেন, 'আমেরিকা নিজে বৈশ্বিক শক্তিধর দেশ হলেও তারা সব কিছু নিজেরা করতে পারবে না। তাই তাদের অংশীদার দেশ লাগবে।' (আরও পড়ুন: হিন্দুস্তান টাইমসের শতবর্ষে স🌺্মারক⛄ ডাকটিকিট উন্মোচন মোদীর, নিলেন ২ বাঙালির নাম…)
আরও পড়ুন: দেশে এখন ১০ কোটি 'লাখপতি দিদি' আছে... 🅠আমার সরকার জনগণের টাকা বাঁচায়: 𝄹মোদী
এদিকে আজ জয়শংকর দাবি করেন, মা🌌র্কিন নাগরিকরা বিশ্বায়নের প্রভাব নিয়ে অখুশি। আর বিশ্বায়নের সবচেয়ে লাভবান দেশ হল চিন। বিদেশমন্ত্রীর কথায়, 'যদি মার্কিন নাগরিকদের ভোটের বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে বোঝা যাবে যে তারা বিশ্বায়নের প্রভাবে অসন্তুষ্ট। বিশ্বায়ন নিয়ে বর্তমানে যখনই আলোচনা করতে হবে, তখনই চিনের নাম নিতে হবে। কারণ তারাই বিশ্বায়নের ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে। গত ২৫ বছরে বিশ্বায়নের একটি নির্দিষ্ট মডেল অনুসরণ করা হয়েছে। এবং আমেরিকার ক্লিন্টন প্রশাসনই সেই মডেল নিয়ে এসেছিল।' এরপর জয়শংকর বলেন, 'ভারত কেন শুধু বিশ্বের জন্যে বাজার হয়ে থেকে যাবে... 'মেক ইন ইন্ডꦰিয়া' অভিযানের মাধ্যমে ভারত শীর্ষ স্থানীয় উৎপাদক দেশও হয়ে উঠতে পারে।'
আরও পড়ুন: 'বিশ্বের💎 কাছে ভারত শুধু বাজার নয়...', বড় দাবি জয়শংকরের, মুখ খুললেন চিন নিয়েও
🐷এদিকে মার্কিন নির্বাচন নিয়ে আমেরিকার প্রাক্তন সেক্রেটারি অফ স্টেট জন কেরি হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে বললেন, 'এবারের ভোটের সবচেয়ে বড় দু'টি ইস্যু ছিল - মূল্যস্ফীতি এবং অভিবাসন।' জন কেরি দাবি করেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাইডেনের অধীনে আমেরিকায় মূল্যস্ফীতির হার কমেছিল। তবে কেরির মতে, ডেমোক্র্যাটিক পার্টি মানুষের মনের আশঙ্কাকে দূর করতে পারেনি।