হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটের মঞ্চ থেকে আজ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর দাবি করলেন, রাজনীতিক স্থিতিশীলতা হোক কি অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, সব ক্ষেত্রে বিশ্ব এখন তাকিয়ে ভারতের দিকে। এই নিয়ে আজ বিদেশমন্ত্রী এস জয়ংকর বলেন, 'গোটা বিশ্বই এখন রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই আবহে সবাই ভারতের দিকে তাকিয়ে থাকে রাজনৈতিত স্থিতিশীলতার জন্যে। কোনও গণতন্ত্রে পরপর দু'বার নির্বাচিত হওয়া খুব একটা সহজ কাজ নয়। আর পরপর তিনবার নির্বাচিত হওয়া তো একটা বিশাল ব্যাপার।' (আরও পড়ুন: দেশে𝓰 এখন ১০ কোটি 'লাখপতি দিদি' আছে... আমার সরকার জনগণের টাকা বাঁচায়: মোদী)
আরও পড়ুন: হিন্দুস্তান টাইমসের শতবর্ষে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন মোদীর♐, নিলেন ২ বাঙালির নাম…
এদিকে শুধু রাজনীতিই নয়, গোটা বিশ্ব ভারতের দিকে অর্থনীতির জন্যেও তাকিয়ে থাকে বলে আজ মন্তব্য করলেন এস জয়শংকর। তিনি বলেন, 'গোটা বিশ্ব এখন অর্থনীতির ক্ষেত্রে তাকিয়ে সেই ভারতের দিকেই। কারণ প্রতি বছর ৭ থেকে ৮ শতাংশ হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বজায় রাখা সহজ কাজ নয়। বর্তমানে ভারতে ব্যবসা এবং বিনিয়োগ নিয়ে অনেক উৎসাহ আছে।' (আরও পড়ুন: 'পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীরা নিজেদের ঘরেই সুরক্ষিত নয়', ইসলামাবাদকেꦏ 'খোঁচা' ম⭕োদীর)
আরও পড়ুন: অবশেষে ষষও্ঠ বেতন কমিশন💎ের কর্মীদের ডিএ বাড়াল রাজ্য, তবে হাতে আসবে না বকেয়া
এদিকে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জয়শংকর সোজাসুজি বলেন, 'ডিসএঙ্গেজমেন্ট হল ডিসএঙ্গেজমেন্ট'। এদিকে জয়শংকর আজ বলেন, 'ভারত যে চ্যালেঞ্জগুলির সম্মুখীন হয়, যেমন ব্যবসা-বাণিজ্য বা চিন... অন্যান্য দেশও এমনই সব সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকে।' ভারতীয় বিদেশমন্ত্রীর কথায়, 'দুই দেশের সমস্যা একদম এক নাও হতে পারে। তবে তা পুরোপুরি আলাদাও নয়।' (আরও পড়ুন: আগে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি হত🎃… বোর্ড লেগে যেত, তবে উন্নয়ন 🅠দেখা যেত না: PM মোদী)
এদিকে আজ জয়শংকর দাবি করেন, মার্কিন নাগরিকরা বিশ্বায়নের প্রভাব নিয়ে অখুশি। আর বিশ্বায়নের সবচেয়ে লাভবান দেশ হল চিন। বিদেশমন্ত্রীর কথায়, 'যদি মার্কিন নাগরিকদের ভোটের বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে বোঝা যাবে যে তারা বিশ্বায়নের প্রভাবে অসন্তুষ্ট। বিশ্বায়ন নিয়ে বর্তমানে যখনই আলোচনা করতে হবে, তখনই চিনের নাম নিতে হবে। কারণ তারাই বিশ্বায়নের ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে। গত ২৫ বছরে বিশ্বায়নের একটি নির্দিষ্ট মডেল অনুসরণ করা হয়েছে। এবং আমেরিকার ক্লিন্টন প্রশাসনই সেই মডেল নিয়ে এসেছিল।' এরপর জয়শংকর বলেন, 'ভারত কেন শুধু বিশ্বের জন্যে বাজার হয়ে𝄹 থেকে যাবে... 'মেক ইন ইন্ডিয়া' অভিযানের মাধ্যমে ভারত শীর্ষ স্থানীয় উৎপাদক দেশও হয়ে উঠতে পারে।'
আরও পড়ুন: মাথায় আদানির বকেয়ার বোঝা, ভারতের সাহায্যে নেপাল꧟ থ🐽েকে বিদ্যুৎ আমদানি বাংলাদেশের
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে আমেরিকার অর্থনীতি কোন পথে চলতে পারে বলে মনে করেন জয়শংকর? বিদেশমন্ত্রী⭕ বলেন, 'ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের অর্থনৈতিক এবং উৎপাদন স্বার্থের বিষয়ে আরও স্ব-সচেতন হবে। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রযুক্তি জড়িয়ে আছে জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে। বর্তমানে প্রযুক্তি এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিভক্ত করা যাবে না। এবং এটি ডিজিটাল এবং এআই বিপ্লবের অংশ।' এদিকে জয়শংকর বলেন, 'আমেরিকা নিজে বৈশ্বিক শক্তিধর দেশ হলেও তারা সব কিছু নিজেরা করতে পারবে না। তাই তাদের অংশীদার দেশ লাগবে।' এদিকে ট্রাম্পের নীতি নিয়ে জয়শংকর বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকাকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং এই লক্ষ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্ষমতার একটি শক্তিশালী উপাদান নিয়ে এসেছেন।' জয়শংকর যোগ করেন, এই ধরনের একটি আমেরিকা এমন পার্টনারের সন্ধান করবে যাদের সাথে তারা পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে পারবে।