ক্রিকেটে সাধারণত ব্যাটসম্যানদের ব্যাটের কানায় বল লেগে ক্যাচ উঠলে, সেটি ধরতে সিদ্ধহস্ত হন স্লিপ ফিল্ডাররা। কিন্তু একজন ব্যাটসম্যান যদি ফাস্ট বোলারকে সুইচ হিট খেলে, সে ক্ষেত্রে স্লিপ ফিল্ডাররা বিভ্রান্তই হয়ে পড়ে। ক🍒িন্তু যশস্বী জয়সওয়াল বিভ্রান্ত হননি। যার ফল পেয়েছে ভারত।
রাজকোটে ভারত-ইংল্যান্ডের তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলার প্রথম ঘণ্টায় ঠিক এমনই ঘটনা ঘটেছে। আসলে ইংল্যান্ডের ব্যাজবল নীতির জেরেই জো রুট বারবার ভুল করে বসছেন। ১১,০০০-এর বেশি টেস্ট রানের মালিক ꦍব্যাজবলের চাপ নিতে গিয়ে, অপ্রথাগত শট খেলে বারবার আউট হচ্ছেন। এই নিয়ে তীব্র সমালোচনাও চলছে। কিন্তু একই ভুল বারবার করে বসছেন জো রুট। যেমনটা শনিবারও তিনি করে বসলেন। ফের রিভার্স স্কুপ মারতে গিয়ে ৩১ বলে ১৮ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন রুট।
আরও পড়ুন: কুলদীপের বলꦯে বেয়ারস্টো আউট হতেই কানেরিয়া, লিয়নকে টপকে গড়লেন শূন্য করার লজ্জার রেকไর্ড
ইংল্যান্ডের ইনিংসের ৪০তম ওভারে জসপ্রীত বুমরাহের বলে একটি রিভার্স স্কুপ মারতে যান জো রুট। তবে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক সংযোগ হ💦য়নি। যার জেরে স্লিপে ক্যাচ ওঠে। আর যশস্বী জয়সওয়াল মাথা ঠাণ্ডা রেখে সেই ক্যাচ ধরে নেন। তবে ক্যাচ ফস্🌳কাতে ফস্কাতে তিনি জো রুটের ক্যাচটি ধরেন। নিঃসন্দেহে ভালো ক্যাচ ধরেছেন যশস্বী। এই উইকেটই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। জো রুট আর বেন ডাকেটের জুটি শনিবার সকালেই ভেঙে যাওয়াটা ভারতের জন্য বড় অক্সেজিন হয়ে যায়।
তবে জো রুট এই নিয়ে ২১ ইনিংসে বুমরাহের বলে নবম বার আউট হলেন। আর ২০২১ সালে চেন্নাইতে রুট দুর্দান্ত ২১৮ রান করার পর থেকে, ১৭ ইনিংস খেলে ফেলেছেন। তাত🐟ে মাত্র ২০.২৯ গড়ে মাত্র ৩৪৫ রা📖ন করেছেন। একটি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর। সর্বোচ্চ স্কোর ৭৩।
আরও পড়ুন: প্রোটিয়াদের বিไরুদ্ধে ইতিহাস লিখে পয়েন্ট টেবলের মগডালেই কি⛦উয়িরা, চাপ বাড়ল ভারত আর অস্ট্রেলিয়ার
দ্বিতীয় দিনের শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের রান ছিল ২০৭। শনিবার মধ্♑যাহ্নভোজের কিছুক্ষণ পরেই ৩১৯ রানে শেষ ইংল্যান্ডের ইনিংস। মাত্র ১১২ রানে ৮ উইকেট হারান বেন স্টোকসরা। প্রথম ইনিংসের শেষে ১২৬ রানে পিছিয়ে পড়ে ইংল্যান্ড।
বেন ডাকেট এদিন ১৫১ বলে ১৫৩ করে আউট হ🍃য়ে যান। এর পর ইংল্যান্ডের ইনিংসের কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা🅷 করছিলেন অধিনায়ক বেন স্টোকস। তবে তিনি ৪১ করে আউট হয়ে যান। শুক্রবার অলি পোপ ৩৯ করে আউট হয়েছিলেন। এর বাইরে বাকিদের হাল তথৈবচ। ভারতের হয়ে একাই চার উইকেট নিয়েছে মহম্মদ সিরাজ। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন কুলদীপ যাদব এবং রবীন্দ্র জাদেজা। বুমরাহ এবং অশ্বিন নিয়েছেন ১ উইকেট।