১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরের পর প্রথম বারের মতো ভারত কলম্বোতে তিন ম্যাচের প্রতিযোগিতায় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে জয় পেতে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ প্রথম ম্যাচটি ড্র হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত ৩২ রানে লজ্জাজনক ভাবে হেরেছে। তৃতীয় ম্যাচে ভারত জিতলেও, সির༒িজটি ড্র হয়ে যাবে। জেতার কোনও সম্ভাবনা থাকবে না টিম ইন্ডিয়ার।
ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে ছিটকে গেলে, তাঁর পরিবর্তে খেলা জেফরি ভ্যান্ডারসে একাদশে জায়গা করে নেন। আর সুযোগ পেয়েই রেকর্ড ছয় উইকেট নিয়ে ভারতকে একেবারে গুঁড়িয়ে দেন। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৪১ রান তাড়া করতে নেমে ꦜভারত ২০৮ রানেই গুটিয়ে যায়। সেই সঙ্গে শ্রীলঙ্কা ১-০ সিরিজে লিড নেয়।
ভারতের রান তাড়া করার সময়ে ইনিংসের ১৫তম ওভারে প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলির একটি ডিআরএসের সি💯দ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। ওভারের শেষ বলে আকিলা ধনঞ্জয়ার অফ-ব্রেক কোহলি লেগ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বলটি ভিতরের প্রান্তে আঘাত করেছিল এবং তাঁর প্যাডে গিয়ে লাগে। শ্রীলঙ্কা জোরালো আবেদন করলে, আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দꦕেন। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন বিরাট কোহলি। এবং রিভিউতে স্পষ্ট দেখা যায় যে, বল, ব্যাটে লেগেছে। এবং স্পাইক ছিল। যে কারণে টিভি আম্পায়ার উইলসন নটআউট দেন কোহলিকে। যদিও শ্রীলঙ্কা শিবির এটা মানতে রাজি ছিল না। তাদের দাবি ছিল, আল্ট্রা এজে একটি স্পাইক থাকে, তখন বল এবং ব্যাটের মধ্যে একটি ফাঁক ছিল।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো- ফের বল করে চমক রোহিতের, 🐓ভারতীয় দলে এখন𓄧 তবে সকলেই অলরাউন্ডার?
বিশেষ করে, কুশল মেন্ডিস ও চরিথ আসালঙ্কা এই ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁরা মাঠের আম্পায়ারের সঙ্গে গোটা ঘটনায় তর্ক জুড়ে দেন। কুশল মেন্ডিস তো রাগের চোটে নিজের হেলমেট খুলে ফেলে দেন। এমন কী অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ সনৎ জয়সূর্যও𝔍 এই সিদ্ধান্তে খুশি ছিলেন না। তাঁকে রিজার্ভ আম্পায়ারের সঙ্গেও আলোচনা করতে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: রিপোর্ট- হ্যাম্পশায়ারের মেজরিটি শেয়ার কিনতে চলেছে DC-র মালিক, টাকার অঙ্কটা𒐪 শুনলে চোখ কপালে তুলবেন
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর অবশ্য কোহলি যখন প্রথাগত ম্যাচ-পরবর্তী হ্যান্ডশেকের জন্য শ্রীলঙ্কা ব্রিগেডের কাছে য়ান, তখন জয়সূর্য তাঁকে থামিয়ে দেন এবং দু'জনে একে অপরের কাঁধও চাপড়ে দেন। পাশাপাশি দুই তারকাকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতেও দেখা যায়। তাঁরা কি সেই সময়ে বিতর্কিত ডিআরএস নিয়ে আলোচনা করছিলেন? সেটা জানা যায়নি। তবে বডিল্যাঙ্গোয়েজ দ🦩েখে সেরকমই মনে হচ্ছিল।
দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণেই মূলত ডুবতে হয়েছে ভারতকে। রবিবার ৩২ রানে রোহিত শর্মার দলকে হারায় শ্রীলঙ্কা। ২৪০ রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে ভারতীয় ব্যাটিংকে একাই নাকানিচোবানি খাওয়ালেন শ্রীলঙ্কার স্পিন𒀰ার ভ্যান্ডারসে। ১০ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ছয় উইকেট তুলে নেন তিনি। তিন উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক চরিথ আসালঙ্কা। বুধবার কলম্বোতে তৃতীয় ওডিআই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে ভারত। এই ম্যাচ ভারত জিততে না পারলে, সিরিজ হারবে। জিতলে সিরিজ ড্র হবে।