ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ টি-২০ ম্যাচে কার্যত একতরফাভাবে পরাজিত হয় ভারত। সেই সঙ্গে তারা ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-৩ ব্যবধানে হেরে বসে। ♛উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দীর্ঘ ১৭ বছর পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে অন্তত তিন ম্যাচের কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজে পরাজিত হয় টিম ইন্ডিয়া।
এমন হতাশাজনক নজির গড💖়ার পরে ভারত অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে যে রকম যুক্তি পেশ করেন, তা নির্লজ্জের মতো শোনায়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পান্ডিয়া দাবি করেন যে, মাঝে মাঝে হারাও ভালো, কেননা হার থেকে অনেক কিছু শেখা যায়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো লো প্রোফাইল দলের বিরুদ্ধে ভারতের মতো শক্তিশালী দলের🌊 পরাজয় ক্রিকেটপ্রেমীদের পক্ষে মেনে নেওয়া মুশকিল। হার-জিত খেলার অঙ্গ হলেও পচা শামুকে পা কাটা খোলা মনে গ্রহণ করা সম্ভব হয় না অনেক সময়। তবে পান্ডিয়া এমন হারের কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে সেই অর্থে নিজেদের দো♋ষ স্বীকার করলেন না মোটেও।
টানা ২ ম্যাচে রান তাড়া করে জয় তুলে নেয় ভারত। তা সত্ত্বেও সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন হার্দিক পান্ডিয়া। ম্যাচের ফলাফলের দিকে চোখ রাখলে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, পান্ডিয়ার সিদ্ধান্ত যথাযথ ছিল না। তবে এমন সিদ্ধান্তের পিছনে কারণ জানাতে গিয়ে হার্দিক বলেন, ‘আমরা স্থির করেছিল🔯াম, যেটা সব থেকে কঠিন, সেটাই করার চেষ্টা করব যাতে ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে তোলা যায়। এই সব ম্যাচ থেকেই আমাদের শিখতে হবে। নিজেদের চ্যালেঞ্জে ফেলাই লক্ষ্য ছিল। দু-একটা সিরিজ হারে কিছু যায় আসে না।’
পরক্ষণেই হার্দিক বলেন, ‘কখনও কখনও হেরে যাওয়া ভালো। কেননা হার থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। পরের বিশ্বকাপ (টি-২০) অনꦿেক দূরে। তার আগে ওয়ান ডে বিশ্꧒বকাপ রয়েছে। হার-জিত প্রক্রিয়ার অঙ্গ। আমাদের হাতে ভুল শুধরে নেওয়ার অনেক সময় রয়েছে।’
উল্লেখ্য, সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ টি-২০ ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ভারত। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১🐬৬৫ রান তোলে। ৬১ রান করেন সূর্যকুমার যাদব। ৪টি উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৮ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৭১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। সেই সুবাদে ৩-২ ব্যবধানে ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজের দখল নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং অপরাজিত ৮৫ রান করেন।