জয়ের মঞ্চটা প্রথমে গড়ে দিয়েছিলেন মারুফ মৃধা। ৪ উইকেট নিয়ে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটিংয়ে ধস নামান বাঁ-হাতি এই পেসার। তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৮৮ রানে থেমে যান ভারতের ছোটরা। সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে হোঁচট খেলেও, বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে জয়ের পথে ফেরান আরিফুল ইসলাম ও আহরার আমিন। চতুর্থ উইকেটে তাঁদের ১৩৮ রানের দুরন্ত পার্টনারশিপের সৌজন্যে সেমিতে ভারতকে ৪ উইকেটে 🥃হারিয়ে যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে গেল বাংলাদেশ। ফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মুখোমুখি হবে তারা। শুক্রবার অন্য সেমিফাইনালে তারা পাকিস্তানকে হারিয়েছে ১১ রানে।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ꦕবাংলাদেশের পেসার মারুফ মৃধার সুইংয়ে কেঁপে ওঠে ভারতের ব্যাটিং অর্ডার। ১৩ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। এই তিনটি উইকেটই তুলে নেন মৃধা। মৃধার মূল শক্তি সুইং। আর দুবাইয়ের আইসিসি অ্যাকাডেমির মাঠে শুরুর দিকে সেই সুইংয়ের সুবিধে পেয়ে যান মৃধা। আর তাতেই তিনি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। বাংলাদেশের টসে জিতে বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্তটা ‘মাস্টারস্ট্রোকে’ পরিণত করেন মৃধা।
প্রথমে ভারতের দুই ওপেনার আদর্শ সিং (২), আরশিন কুলকার্নি (১) এবং চারে ব্যাট করতে নামা দলের অধিনায়ক উদয় সাহারানকে (০) আউট করেন মৃধা। এখানেই কো🃏মর ভেঙে যায় ভারতের। দ্রুত উইকেট পতনের ধাক্কাটা প্রিয়াংশু মোলিয়া এবং সচিন ধাসের জুটিতে কিছুটা হলেও কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করে ভারত। কিন্তু ১২তম ওভারে রোহানাত দৌল্লাহ বর্ষনের বলে ১৬ রান করে বোল্ড হন সচিন। রোহানাতের একই স্পেলে আউট হন প্রিয়াংশুও। একই ওভারে সদ্য ক্রিজে আসা আরাভেল্লি অবিনাশকে রান আউট করেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান। বাংলাদেশের দু🏅ই পেসারের বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে ৬১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ভারত যখন ধুঁকছে, সেখান থেকে মুশের খান ও মুরুগান অভিষেকের সৌজন্যে ঘুরে দাঁড়ায় টিম ইন্ডিয়া।
মুশের এবং অভিষেক- দু'জনেই হাফসেঞ্চুরি করেন। তাঁদের সৌজন্যেই ভারতের স্কোর ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছয়। ইনিংসের ৩৪ তম ওভারে ৬১ বলে ৫০ রান করা মুশেরের ইনিংস থামান অধিনায়ক মাহফুজুর নিজেই। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা অভিষেকের উইকেট নিয়েছেন মারুফ। আউট হওয়ার আগে ৭৪ বল খেলে ৬২ রান করেছেন তিনি। এর পর ভারতে🍰র ইনিংস বেশিদূর এগোয়নি। ৪২.৪ ওভারে ১৮৮ রানে অলআউট হয়ে যায় মেন ইন ব্লু।
আরও পড়ুন: ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট, সাপো🅘র্ট স্টাফেদের কোলে চেপে মাঠ ছাড়েন, কতটা গুরুতর? নিজেই আপডেট দিলেন সূর্য
ওডিআই-এ বাংলাদেশের সামনে ১৮৯ রানের লক্ষ্য একেবারেই সহজ ছিল। তবে জুনিয়র টাইগাররা 🍷শুরুটা একবারেই ভালো করেনি। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল তারা। ভারতের হাতে তখন ম্যাচের রাশ চলে এসেছিল। মারকুটে ওপেনার জিশান আলম (০) ইনিংসের প্রথম ওভারেই বোল্ড হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান রাজ লিমবানির বোলিংয়ে। ১৩ রান করা চৌধুরী মহম্মদ রিজওয়ানকে ষষ্ঠ ওভারে ফেরান নমান তিওয়ারি। আর পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ওপেনার আশিকুর রহমান ২২ বলে ৭ রান করে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
৯.৪ ওভারে ৩৪ রানে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে ফেলে দিয়ে ভারত যখন কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে, তখন বাংলাদেশের আরিফুল ইসলাম ও আহরার আমিনের ব্যাটে রং ব💞দলে যায় পুরো ম্যাচের। এই দুই তারক🍸ার লড়াকু ব্যাটিংই মূলত ভারতের হাত থেকে ম্যাচ করে নেয়। আমিন ধরে খেলেছিলেন। আর আরিফুল ছিলেন আগ্রাসী। দু'জনের যুগলবন্দীতে জয়ের কাছে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। কপাল পোড়ে ভারতের।
আরিফুল▨ সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও ফিরেছেন তিন অঙ্ক না ছুঁয়ে। ছক্কা মেরে তিন অঙ্ক স্পর্শ করতে গিয়ে ৯৪ রানে আউট হয়ে যান। ৯০ বল খেলে ৯টি চার এবং ৪টি ছক্কায় ১০৪ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি সাজান তিনি। আরিফুল যখন আউট হন, জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৭ রান। সেই রান তুলতে আরও😼 ২টি উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। শিহাব জেমসের (৭ বলে ৯ রান) পর আউট হয়েছেন আহরার (১০১ বলে ৪৪ রান)। অধিনায়ক মাহফুজুর (অপরাজিত ৩) এবং শেখ পারভেজ (অপরাজিত ২) অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।