ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে গুজরাট টাইটান্সের মতো এমন দারুণ সূচনা খুব কমই কোনও দলের হয়ে থাকতে পারে। গুজরাট টাইটান্স দুই বছর আগে ২০২২ মরশুমে তাদের অভিষেক করেছিল এবং প্রথম মরশুমেই শিরোপা জিতে ইতিহাস তৈরি করেছিল। যদি কেউ মনে করে যে এটি কেবল একটি ফ্লুক, তবে পরের মরশুমে দলটি আবার ফাইনালে পৌঁছে ছিল এবং প্রায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ বলে জয়টা তাদের হাত থেকে পিছলে যায়। টানা দুই মরশুমে এমন পারফরম্যান্সের ফলে গুজরাট দারুণ প্রশংসা পেয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে, আইপিএল ২০২৪ মরশুমেও এটির কাছ থেকে একই রকম প্রত্যাশা থাকবে তবে এবার তা হবে, এটি নিশ্চিত নয় কারণ দল অনেক বদল𒐪েছে এবং এখন এর সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
গুজরাটের সাফল্যে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন দুই খেলোয়াড়- হার্দিক পান্ডিয়া ও মহম্মদ শামি। হার্দিক পান্ডিয়া, যিনি টানা ২ মরশুমে দলের অধিনায়ক ছিলেন, দলকে ভালো নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কিন্তু এখন তিনি তার পুরানো দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ফিরে গিয়েছেন এবং সেখানে অধিনায়ক হয়েছেন। অন্যদিকে, ফাস্ট বোলার মহম্মদ শামি, গুজরাট টাইটান্সে থাকা সত্ত্বেও, চোটের কারণে তাঁকে পুরো ꧂মরশুম বাইরে থাকতে হবে। এই দুই মরশুমে ৩৩ ম্যাচে ৪৮ উইকেট নিয়েছিলেন শামি।
নতুন অধিনায়ক গিলের কাছে শক্তিশালী বিকল্প রয়েছে
এখন এমন দুইজন বড় ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড় না থাকায় দলের চাপে থাকাটাই স্বাভাবিক। দলের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে তরুণ ব্যাটসম্যান শুভমন গিলকে, যার অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা নেই। এমনꦕ পরিস্থিতিতে দল ভালো পারফর্ম করতে না পারলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবুও শুভমন গিল এবং কোচ আশিস নেহরার এমন কিছু খেলোয়াড় আছে যাদের সঙ্গে তারা একটি শক্তিশালী এবং চ্যালেঞ্জিং প্লেয়িং ইলেভেন প্রস্তুত করতে পারে এবং প্রতিপক্ষ যে কোনও দলকে সমস্যায় ফেলতে পারে। সেই অপশনগুলো কী, চলুন দেখে নেওয়া যাক।
কারা হবেন চার বিদেশি খেলোয়াড়?
প্রথমত, আমরা যদি চার বিদেশি খেলোয়াড়ের কথা বলি, এটি গুজরাট টাইটান্সের কাছে একটি চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। কারণ দলের কাছে কিছু দুর্দান্ত বিকল্প রয়েছে। লেগ স্পিনার রশিদ খান ও বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলারের খেলা নিশ্চিত। কেন উইলিয়ামসনের মতো বড় নামসহ বাকি দুই জায়গার অনেক প্রতিযোগী থাকলেও দলের অবস্থা বিবেচনায় ত❀ার খেলা কঠিন মনে হচ্ছে। দলটি রশিদের জুনিয়র আফগান সতীর্থ বাঁহাতি স্পিনার নূর আহমেদের উপꦬর আস্থা দেখাতে চায়, যিনি রশিদের সঙ্গে মিলে বিপক্ষকে সমস্যায় ফেলতে পারেন। প্রশ্ন হল দলে অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাই নাকি বিদেশী ফাস্ট বোলারকে মাঠে নামানো উচিত, যার জন্য স্পেনসার জনসন এবং জোস লিটলের আকারে দুটি বিকল্প রয়েছে। জনসন এই খেলা জিততে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্যাটিং ও বোলিংয়ে শক্তিশালী বিকল্প
এখন ব্যাটিংয়ের কথা বলা হচ্ছে, অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা ওপেন করবেন অধিনায়ক শুভমন গিল, আর সাই সুদর্শন থাকবেন তিন নম্বরে। তাহলে মিলারের পাশাপাশি মিডল অর্ডারের দায়িত্ব সামলাতে পারেন শাহরুখ খান। তবে দলটি অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্করকেও মাঠে নামাতে পারে, যা একটি ভালো বিকল্প বলে মনে করা হচ্ছে। রাহুল তেওয়াটিয়া ফিনিশিং এর জন্য আছেন। বোলিংয়ে স্পেনসার জনসনের সঙ্গে ফাস্ট বোলিংয়ে মোহিত শর্মা ও উমেশ যাদবকে ব্যবহার ক🌃রা যেতে পারে। বাকি স্পিন বিভাগের জন্য রশিদ ও নূরের জুটি থাকবে। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের বিকল্পের কারণে দল প্রয়োজন অনুযায়ী স্পিনার সাই কিশোর বা ব্যাটসম্যান অভিনব মনোহরকে ফিল্ড করতে পারে, যারা শাহরুখ খান বা সাই সুদর্শনের জায়গায় আসতে পারেন।