আইপিএল ২০২৪ নিলামে বিপুল পরিমাণ অর্থ পেয়েছেন কুমার কুশাগরা। দিল্লি ক্যাপিটালস তাঁকে ৭.২ কোটি টাকায় সই করেছে। কুশাগরা, যার বেস প্রাইস ছিল ২০ লক্ষ টাকা। তিনি তাঁর বেস প্রাইসের ৩৬ গুণ বেশি ট꧑াকা পেয়েছে। এবারের মিনি নিলামেই ধনী হয়েছেন কুমার কুশাগরা। তবে এটি সহজেই পাননি তিনি। এর জন্য কুশাগরাকে বহু বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। ঘরোয়া পর্যায়ে বহুবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন কুশাগরা। তিনি ধোনির মতো একজন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এবং তার মতো শেষ ওভারে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে পারদর্শী। দিল্লি দলে ভালো ম্যাচ ফিনিশার দরকার ছিল। সেই কারণেই দিল্লির হয়ে নিলামের টেবিল🏅ে বসে থাকা ঋষভ পন্ত এর জন্য এত বিপুল পরিমাণ খরচ করতে চেয়েছিলেন।
নিলামের আগে থেকেই ঝাড়খণ্ডের ꦓতরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান কুশাগরার দিকে নজর ছিল অনেক দলের। ঝাড়খণ্ডের হয়ে অনেক ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন তিনি। বিজয় হাজারে ট্রফিতে তাঁর এমন একটি ইনিংস নির্ণায়ক প্রমাণিত হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ৩৫৫ রান তাড়া করার সময়, কুশাগরা ঝাড়খণ্ডের পক্ষে ছয় নম্বরে আসেন এবং 37 বলে চারটি চার এবং পাঁচটি ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত ৬৭ রা🐬ন করে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। সে দিন উপস্থিত অনেক স্কাউট তার ঝোড়ো ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। এই ইনিংসের কারণেই নিলামে কোটিপতি হয়েছেন তিনি। কারণ, তাঁর এই দুর্দান্ত ইনিংসের পরেই নিলাম হয়েছিল এবং তিনি কোটিপতি হয়েছিলেন।
ইশান কিষানের অনুপস্থিতিতে কুশাগরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঝাড়খন্ডের প্রধান উইকেটরকꦰ্ষক হয়ে উঠেছেন। জাতীয় দলের সঙ্গেই বেশির ভাগ সময় কাটান ইশান। দিল্লী ক্যাপিটালস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স উভয়ই একজন দক্ষ ভারতীয় উইকেটরক্ষকের সন্ধানে ছিল। কুশাগরা একটি বড় বিড পাবে নিশ্চিত করা হয়ꦫেছিল। নিলামেও একই জিনিস ঘটেছিল, প্রাথমিকভাবে চেন্নাই এবং গুজরাট তার উপর বাজি রেখেছিল, কিন্তু তার দাম ৭০ লক্ষ টাকায় পৌঁছানোর পরে, দিল্লি দল দৌড়ে যোগ দেয়। অবশেষে ৭.২ কোটি টাকা দিয়ে তাঁকে সই করায় দিল্লি। ঋষভ পন্ত ও অভিষেক পোড়েলের পর দিল্লি ক্যাপিটলস দলের তৃতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হলেন কুমার কুশাগরা। তবে এই দলে দক্ষিণ আফ্রিকার রিকি ভুই ও ট্রিস্টান স্টাবসকেও রাখা হয়েছে।