আইপিএল ২০২৫-এর মেগা নিলামের আগে ভারতীয় ক্রিকেটমহলের চর্চায় প্লেয়ার রিটেনশন নীতি। বিসিসিআই এখনও নিশ্চিতভাবে জানায়নি যে, এবার নিলামের আগ🅠ে কতজন ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে পারবে ফ্র্য়াঞ্চাইজিগুলি। কতজনকে নিলাম থেকে রাইট টু ম্যাচ কার্ডে পুনরায় দলে নেওয়া যাবে, সে বিষয়েও এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
আসলে এই বিষয়ে সব ফ্র্যাঞ্চাইজি সহমতে পৌঁছতে পারেনি। কেকেআর, সানরাইজার্সের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি চায় যত বেশি সম্ভব ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে। নাইট সিইও বেঙ্কি মাইসোর তো ৮ ꦆজন পর্যন্ত ক্রিকেটারকে ধরে রাখার পক্ষপাতী। তবে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিরা চায় যত কম সম্ভব ক্রিকেটারকে ধরে রাখার অনুমতি দিক বিসিসিআই। কেননা সেক্ষেত্রে নিলামে তাদের সামনে বিকল্প বাড়বে।
বিসিসিআই ২০১৪ সালে রাইট টু ম্যাচ কার্ডের ব্যবহার চালু করে। যার অর্থ, প্রাথমিকভাবে স্কোয়াড থেকে ছেড়ে দেওয়া ক্রিকেটারকে নিলামে তাঁর সর্বোচ্চ দামে পুরনো দল স্কোয়াডে ফেরাতে পারে। অর্থাৎ, নিলামে কোনও ক্রিকেটারের জন্য নতুন কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বোচ্ಌচ যে দর হাঁকে, সেই অর্থেই পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজি দলে ফেরাত🌸ে পারে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকে।
নিলামে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের অন্যতম অস্ত্র হতে পারে আরটিএম কার্ড। তবে রবিচন্দ্রন অশ্বিন রাইট টু ম্যা🉐চ কার্ডের বড় ভক্ত নন মোটেও। সেটা তিনি স্বীকার করে নেন শ্রীকান্তের ইউটিউব শো চিকি চিকায়। অশ্বিন চান, ক্রিকেটারদের স্বার্থেই বিসিসিআই আরটিএম ব্যবহারের নিয়মে কিছু বদল আনুক।
অশ্বিন বলেন, ‘কোনও ফ্র্যাঞ্চইজি একজন ক্রিকেটারকে তখনই ছ꧋েড়ে দেয়, যখন তাদের মনে হয় যে সেই ক্রিকেটার তাদের সেরা চার-পাঁচজন খেলোয়াড়ের তালিকায় নেই। তাহলে নিলামে রাইট টু ম্যাচ কার্ডে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার মানে কী!’
অশ্বিন পরক্ষণেই বলেন, ‘বরং খেলোয়াড়দের সামনে রাইট টু ম্যাচের বিকল্প রাখা উচিত। জানতে চাওয়া উচিত যে, পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজি তার জন্য যথাযথ কিনা। উভয় পক্ষের মধ্যে চুক্তি থাকা দরকার যে, একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থে পৌঁছলে তবেই কোনও ক্রিকেটারকে রাইট টু ম্যাচ কার্ডে ধরে রাখা যাবে। অর্থের পর𒉰িমাণটা খেলোয়াড়দের উপরেই ছেড়ে দেওয়া উচিত।’
অশ্বিন আগেও জানিয়েছিলেন যে, রাইট টু ম্যাচ কার্ডের জন্য ক্রিকেটাররা নিলাম থেকে ন্যায🌸্য দাম পান না। কেননা নতুন কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির হাঁকা সর্বোচ্চ দামে পুরনো ফꦑ্র্য়াঞ্চাইজি কোনও ক্রিকেটারকে দলে নিয়ে নেয়। অথচ উচিত ছিল যে, যারা সর্বোচ্চ দর হাঁকে, তাদের থেকে বেশি দাম দিয়ে পুরনো ক্রিকেটারকে ধরে রাখা।