বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান সূর্যকুমার যাদব চোট সারিয়ে প্রায় চার মাস পর ক্রিকেটে ফিরেছেন। স্পোর্টস হার্নিয়া ইনজুরির কারণে তিনি বহু দিনই ২২ গজের বাইরে ছিলেন। ইতিমধ্যেই তিনি দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন। কিন্তু ২২ গজে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে সূর্য নিরাশ কর🎶েন। খালি হাতে সাজঘরে ফেরেন তিন🌳ি।
তবে বৃহস্পতিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচে নিজের ছন্দে ফিরতে মরিয়া হয়ে রয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। তার আগে আইপিএলের অফিসিয়াল হ্যান্ডেলে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। ভিডিওটির শিরোনাꦺম: ‘চোটের পর আরও ভালো ক্রিকেটার হতে চাই’।
আরও পড়ুন: কোহলির ফিটনেস🔯ের প্ꦜরশংসায় আগরকর, তাহলে কি আমেরিকার টিকিট পাকা?
‘রিহ্যাবের প্রথম দিকটি ছিল বিরক্তিকর’
ভিডিয়োরটির শুরুতেই স্কাইকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘ফিরে আসাটা দারুণ, কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা, ওয়াংখেড়েতে ফিরে আসার অনুভূতির চেয়ে, স্বস্তির কিছুই নেই।’ যখন খেলার বাইরে ছিলেন, সেই সময়ের কথা বলতে 💎গিয়ে সূর্য বলেছেন, ‘গত তিন, সাড়ে তিন মাসের বর্ণনা করা আসলে সত্যিই কঠিন। এই সময়টা আমাকে একজন ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠতে, একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছে। রিহ্যাবের প্রথম তিন সপ্তাহ বিষয়টি কঠিন ছিল। কারণ একই জিনিস বারবার করতে খু🌄ব বিরক্তিকর লাগত। তার পর চতুর্থ সপ্তাহ, পঞ্চম সপ্তাহে, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, এভাবে এগিয়ে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রথমত আমি কী ভাবে ফিরে আসতে চাই, তা নির্ধারণ করা আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: দর্শকদের জন্য এটাই T20-র সৌন্দর্য্য, 🍃বোলারদের জন্য নয়- উনাদকাটের রোমহর্ষক ওভারের পর দাবি ভুবির
‘সূর্যের দ্বিতীয় সংস্করণ’
সূর্য যোগ করেছেন, ‘যখন আমার স্ত্রী এবং এনসিএ-র সবার সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তারা বলেছিল যে, এটি আমার ক্রিকেটার জীবনের দ্বিতীয় সংস্করণ হবে। নতুন করে মাঠে ফিরলে, আগের চেয়ে কিছুটা আলাদা ভাবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি সমস্ত কিছু করতে শুরু করেছি। ছোট ছোট জিনিস যেমন, সময় মতো ঘুমানো, ভালো খাদ্যাভ্যাস অ💟নুসরণ করা, সেটাই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি জীবনে কোনও বই পড়িনি, ক♌িন্তু আমি সেটাও করতে শুরু করি, সকালে ঘুম থেকে উঠে, রিহ্যাবে ভালো মানের সময় কাটানো। সমস্ত কিছুর উপর ফোকাস করা, আমার মস্তিষ্ক, আমার শরীর, নিজেকে পুনর্বাসনের সঙ্গে সংযুক্ত করা এবং এটি সত্যিই কিছুটা দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করেছিল। কারণ আমার একসঙ্গে দু'-তিনটি নিগল ছিল - স্পোর্টস হার্নিয়া, গোড়ালি এবং ডান-হাঁটুর চোট ছিল।’
আরও পড়ুন: সিমারদের না মেরে, স্পিনারদের জন্য অপেক্ষা করেছি﷽- পঞ্জাবকে হারিয়ে পꦏরিকল্পনা ফাঁস নীতীশের
‘মুম্বইয়ের পুরো ম্যাচগুলো দেখিনি’
‘নিজের দল মাঠে খেলছে, আর আপনি রুমে বসে খেলা দেখছেন, তখন সেটা মেনে নেওয়া সব স🎀ময়ে কঠিন হয়। আমি বলব না যে, যে আমি খেলা দেখিনি। আমি অর্ধেক করে খেলা দেখেছি। কারণ বেঙ্গালুরুতে থাকার সময় রাত ১০.৩০ থেকে ১০.৪৫-এর মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তাম। তাই ম্যাচের প্রথমার্ধটাই শুধু দেখা হত আমার। এবং অবশ্যই পরের দিন হাইলাইটে পুরো খেলা দেখতাম। এই বিষয়টা আমার কাছে কঠিন ছিল। কিন্তু একই সময়ে একই সঙ্গে ওদের (সতীর্থদের) দিকে তাকিয়ে আমি অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি। ওরা খেলছে দেখে, নিজের ফিটনেসের জন্য প্রতি দিন কঠোর পরিশ্রম করার তাগিদটা বেড়ে যেত।’