লখনউ সুপার জায়ান্টসের প্রধান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার ভারতকে নিয়ে নিজের নতুন অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন। তিনি আইপিএলের জন্য এই দেশে দুই মাসেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন। ল্যাঙ্গার জানিয়েছেন যে, তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফাইনাল ম্যাচ চলাকালীন মু⛄ম্বইয়ের বস্তি ধারাভি পরিদর্শন করেছিলেন। দ্য নাইটলি-এর একটি কলামে, ল্যা🥂ঙ্গার প্রকাশ করেছেন, এলএসজি-এর মাসাজ থেরাপিস্ট রাজেশ চন্দ্রশেখরের (আরসি) বাড়িতে সেই সময়ে গিয়েছিলেন তিনি।
ল্যাঙ্গার তাঁর কলামে চন্দ্রশেখর এবং তাঁর পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখেই লিখেছেন যে, আর্থিক ভাবে🍬 ভা🦄লো অবস্থান না থাকা সত্ত্বেও, তাঁকে যে পরিমাণ ভালোবাসা দেখিয়েছে চন্দ্রশেখরের পরিবার, তাতে তিনি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। ল্যাঙ্গার মাসাজ থেরাপিস্টের গল্প লিখতে গিয়ে দাবি করেছেন যে, চন্দ্রশেখর নিজে একজন কঠোর পরিশ্রমী ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: ছেলেরা পাগল হচ্ছে.... হঠাꦇৎ নাইট কোচের কথা থামিয়ে কী বললেন গম্ভীর- ভিডিয়ো
ল্যাঙ্গার তাঁর কলামে লিখেছেন, ‘আরসি আমাকে বলেছিলেন যে, তিনি মুম্বইয়ের বস্তিতে থাকেন এবং স্থানীয় ফুটবল দলের জন্য মাসাজ থেরাপিস্ট হিসেবে তিনি কাজ করেন। তবে তিনি সেখ🌠ান থেকে বিরতি পেয়েছিলেন। আর তার পরেই তিনি এখানে ꦛ(লখনউ টিমে) যোগ দেওয়ার সুযোগ পান।’
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধান কোচ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন যে, তিনি সরু গলি দিয়ে হেঁটে আরসি-র বাড়িতে পৌঁছেছিলেন এবং দেখেছিলেন যে ছয় সদস্যের পরিবার মুম্বইতℱে ৪x৫ মিটারের একটি ছোট্ট ঘরে থাকে।
আরও পড়ুন: মন্নাতে বসে গম্ভীরকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়েছিলেন শাহরুখ, কিছুই ট🦄ের পাননি LSG কর্ণধার- রিপোর্ট
ল্যাঙ্গার আরও লিখেছেন, ‘আমাদের প্রাতঃরাশের সময়ে, আরসি আমাদের কথোপকথনগুলি অনুবাদ করে দিচ্ছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজনকে। এবং ওঁর পরিবার হাসছিল এবং আমাদেরকে সকলে উষ্ণ স্বাগত জানিয়েছিলেন। ওঁদের বাড়িতে আমরা গিয়েছি বলে, খুব গর্বিত ছিলেন আরসি এবং তাঁর পরিবারের লোকজন। ওঁদের পরিবারের ছয় জনই সুন্দর ভাবে পোশাক পরে রেডি ছিলেন, এবং যখন ফটো তোলার সময় আসে, তখন আরসি-র বাবা-মা আমাদ𒅌ের হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরেন, তাতে আমরা নিজের পরিবারের সঙ্গে যে ভালোবাসা অনুভব করি, সেটা ওঁদের পরিবার আমাদের অনুভব করিয়েছিলেন।’
প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান এবং প্রধান কোচ এই বলে তার কলাম শেষ করেছেন যে, তিনি চরম বিলাসবহুল জীবনযাপন করেছে🐎ন। তবে তিনি আরসি-র পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর, তাঁর সামনে যে বাস্তবটা উঠে এসেছে, তা থেকে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা লাভ করেছেন।
জাস্টিন ল্যাঙ্গার লিখেছেন, ‘চরম বিলাসবহুল জীবনের পর যখন আমি দেখলাম, অন্যরা কী ভাবে তাদের প্রতিদিনের জীবনযাপন করে, আꦛমি আগের চেয়ে অনেক বেশি বিনীত হয়ে গিয়েছি। আꦅরসি-র বাড়িতে যাওয়ার পর আমার মনে হয়েছিল, ওঁদের কাছে হয়তো কিছুই নেই, তবে সুখী হওয়ার জন্য যা দরকার, সেটা ওই পরিবারে রয়েছে।’