Venkatesh Iyer on his price tag: কলকাতা নাইট রাইডার্স গত বছর আইপিএল জয়ের পর বেঙ্কটেশ আইয়ারকে ছেড়ে দিলেও মেগা নিলামে তাঁকে আবার দলে নিতে ২৩.৭৫ কোটি টাকা খরচ করে সকলকে চমকে দিয়েছিল। এটি আইপিএল ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ দাম ছিল। ঋষভ পন্ত (২৭ কোটি টাকা) ও শ্রেয়স আইয়ার (২৬.৭৫ কোটি টাকা)-এর পরেই আইপিএল-এর সবথেকে দামি ক্রিকেটারদের তালিকায় জা🧜য়গা করে নিয়েছিলেন বেঙ্কটেশ আইয়ার।
২০২১ সালের মাঝামাঝি আইপিএলে অভিষেকের পর থেকে কেকেআরের হয়ে নিয়মিত পারফর্ম করে চলেছেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। ২০২ꦜ২ সালের ব্যর্থ মরশুম বাদ দিলে, প্রতি বছরই তিনি ৩৫০ রানের বেশি করেছেন। কিন্তু এ বছর তাঁর উপর নজরটা একটু বেশিই, মূলত তাঁর বিশাল মূল্য ট্যাগের কারণে। রিঙ্কু সিং, বরুণ চক্রবর্তী, আন্দ্রে রাসেল, হর্ষিত রানা ও রমনদীপ সিং-কে ধরে রেখে কেকেআর তাদের রিটেনশন কোটা পূর্ণ করেছিল, কিন্তু আইয়ারের নিলাম সকলের উপরে স্থান করে নেয়।
আইপিএল ২০২৫-এ প্রথম দুই ম্যাচে মাত্র ৯ রান (দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং-ই পাননি) করার পর, তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কিন্তু আইয👍়ার এতে বিচলিত হননি। তাঁর মন ছিল পরি﷽ষ্কার। তিনি জানতেন নিজের ভূমিকা। কেকেআরের সর্বোচ্চ দামি খেলোয়াড় জানেন যে, দামি মানেই তাঁকে প্রতিটি ম্যাচেই রান করতে হবে না।
ক্রিকেটারদের প্রাইস ট্যাগ নিয়ে কী বললেন বেঙ্কটেশ আইয়ার?
ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বেঙ্কটেশ আইয়ার বলেন, ‘আইপিএল শুরু হওয়ার পর এটা আর গুরুত্বপূর্ণ নয় যে আপনাকে ২০ লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছꦆে নাকি ২০ কোটিতে। টাকা আপনার খেলার ধরন নির্ধারণ করে না।’ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ২৯ বলে ৬০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন বেঙ্কটেশ আইয়ার।
আমি সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় বলেই যে প্রতি ম্যাচে রান করতেই হবে? বেঙ্কটেশ আইয়ার
বেঙ্কটেশ আইয়ার আরও বলেন, ‘আমাদের দলে রঘুবংশী নামে এক তরুণ রয়েছে, যে খুব ভালো করছে। হ্যাঁ, দাম ও প্রত্যাশা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, কিন্তু আমি এমন এক খেলোয়াড়, যে দলের জয়ে অবদান রাখতে চায়। এমন পরিস্থিতিও আসবে যেখানে আমাকে কয়ে🅠কটি বল ঠেকিয়ে খেলতে হবে। যদি আমি সেটা করতে পারি, তাও আমি আমার কাজটা ঠিকঠাক করছি। আমি সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় বলেই যে প্রতি ম্যাচে রান করতেই হবে, এমনটা নয়। বিষয়টা হল প্রভাব ফেলতে পারা।’
হ্যাঁ, কিছুটা চাপ আছে, মিথ্যে বলব না- বেঙ্কটেশ আইয়ার
তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, কিඣছুটা চাপ আছে🦹, মিথ্যে বলব না। তবে চাপ টাকার জন্য নয়, চাপটা হল কীভাবে দলের জন্য অবদান রাখা যায়।’ ম্যাচের শেষ ১২ বলে তিনি ২টি ছয় ও ৬টি চার মারেন। ১৯তম ওভারে SRH অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের বিরুদ্ধে এক ওভারে ২০ রান নেন তিনি। বেঙ্কটেশ আইয়ার বলেন, ‘আমি কখনও ভাবি না কে বল করছে। আমি শুধু দেখি বলটা কোথায় পড়ছে, আর ফিল্ডিং কীভাবে সাজানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন … IPL 2🐠025: ভাইরাল হল রোহিত-জাহির-পন্তের ৬ সেকেন্ডের ⛄ভিডিয়ো! ফের বিতর্কে জড়িয়ে গেলেন হিটম্যান
KKR vs SRH ম্যাচের পর ইডেন গার্ডেন্সের পিচ নিয়ে মত প্রকাশ করেন বেঙ্কটেশ
এই ম্যাচে ব্যাট করা সহজ ছিল না। কুইন্টন ডি কক, অভিষেক শর্মা, ট্র্যাভিস হেডের মতো বড় হিটাররাও পিচের গতি বুঝে উঠতে পারেননি। আইয়ার বলেন✨, প্রথম থেকেই বড় শট খেলা কঠিন ছিল। এমনকি তিনি ও রিঙ্কু সিং (১৭ বলে অপরাজিত ৩২)-ও কিছুটা সময় নিয়েছিলেন পিচ বুঝতে। বেঙ্কটেশ আইয়ার বলেন, ‘মাঝখানে ব্যাট করতে থাকা অজিঙ্কা (রাহানে) ও অংকৃষ আমাদের জানায়, ব্যাট করা সহজ নয়। বল থেমে আসছিল, টার্ন করছিল। তাই আমাদের দরকার ছিল পরিস্থিতি বুঝে খেলাটা। আমাদের দলে রিঙ্কু, রাসেল, রমনদীপ আছে, যারা যে কোনও বোলিং আক্রমণ ধ্বংস করতে পারে, তাই আমাদের সেই সুবিধা আছে।’
আরও পড়ুন … রাহা🎃নের ব্যাগে লাথি, কোচ-কর্তাদের সঙ্গে ঝামেলা! সামনে এল যশস্বীর মু🌠ম্বই ছাড়ার আসল কারণ- রিপোর্ট
ইডেনের পিচ নিয়ে কী বললেন বেঙ্কটেশ?
ইডেন গার্ডেন্সের কিউরেটর সম্প্রতি বলেছিলেন, তিনি আর দলের চাহিদা অনুযায়ী পিচ বানাবে🌠ন না। এরপর থেকেই পিচ নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে বেঙ্কটেশ আইয়ার বলেন, ‘এখন যেহেতু আমরা জিতেছি, তাই হ্যাঁ, এটাকে ভালো পিচ বলা যায়। এটা প্রতিযোগিতামূলক পিচ ছিল। আমাদের বোলিং খুব ভালো হয়েছে। আমরা একটা পার স্কোর তুলেছি ইডেনে। আমরা কন্ডিশন কাজে লাগাতে পেরেছি। আমি কখনও ভাবি না যে পিচ একটা নির্দিষ্টভাবে হতে হবে। আমরা পেশাদার ক্রিকেটার, আমাদের যেকোনও কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে ꦫহবে। তবে হ্যাঁ, যদি আমাদের হোম গ্রাউন্ডে নিজেদের মতো উইকেট পাই, তাহলে ভালো।’
আরও পড়ুন … IPL 2025: ভয়ঙ্কর ট্র্যাভিস হেডকে নাইটরা কীভাবে জব্দ করেছে!♍ SRH তারকাকে নিয়ে KKR-এর কটাক্ষ
আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা নিয়ে বেঙ্কটেশ কী বললেন?
KKR প্রথমে ব্যജাট করে তোলে ২০০/৬, পরে SRH-কে অলআউট করে ১২০ রানে, ১৬.৪ ওভারে, এবং ম্যাচটি ৮০ রানে জেতে। এই পারফরমেন্স নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার মানে বোঝান বেঙ্কটেশ। তিনি বলেন, ‘আগ্রাসন মানে হল পজিটিভ কিন্তু সঠিক মানসিকতা দেখানো। যদি আমরা ১৫/৬ হয়ে যাই, আর আমি 𝐆গিয়ে সব বল মারতে থাকি, সেটাও পজিটিভ কিন্তু সঠিক নয়। আমরা যদি নিজেদের চ্যাম্পিয়ন দল ও স্মার্ট ক্রিকেটার বলতে চাই, তাহলে পরিস্থিতি বুঝে সেই অনুযায়ী আগ্রাসী হতে হবে। আগ্রাসন মানে প্রতিটি বল ছয়ে পরিণত করা নয়, বরং পরিস্থিতি বোঝা ও সেটাকে নিজের পক্ষে টেনে আনা। আমরা এমন দল হতে চাই না, যারা ২৫০ রান করে এক ম্যাচে, আর পরের ম্যাচে ৭০-এ গুটিয়ে যায়।’