শুভব্রত মুখার্জি: ভারত তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা পেসার এই মুহূর্তে ভারতের জসপ্রীত বুমরাহ। ডান হাতি এই পেসারের বোলিংয়ে যে ধরনের বৈচিত্র্য রয়েছে, তা আর কোনও বোলারের কাছেই নেই। সদ্য টি২০ বিশ্বকাপেও সেটা তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন। যখন যখন দলের দরকার পড়েছে, তখন তিনি উইকেট নিয়ে দলকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন। একমাত্র বোলার যার টি-২০ বিশ্বকাপে গোটা টুর্নামেন্টে ইকোনমি রেট ছিল ছয়ের নীচে। ফাইনালে যখন শেষ পাঁচ ওভারের খেলা বাকি ছিল, সেই সময়েও তিনি দুই ওভার বল করে মাত্র সাত রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়ে ভারতের জয়ের পথ প্রশস্ত করেছিলেন। জাতীয় দলের হয়ে বুমরাহের সঙ্গে দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন বোলিং কোচ পরশ মামব্রে, যিনি টি-২০ বিশ্ꦅবকাপের পরেই বোলিং কোচের দায়িত্ব থেকে সরেছেন। বুমরাহকে কাছ থেকে দেখার সুবাদে তাঁর মন্তব্য, তারকা পেসার পারফরম্যান্স করেন, আর তিনি কৃতিত্ব নেনে। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, জসপ্রীত বুমরাহের কাছ থেকেই উল্টে তিনি শিখেছেন অনেক কিছু।
আরও পড়ুন: অজিদের দম্ভ চূর্ণ করে কচুকাটা করলেন যুবিরা, ফ༒াইনালে ভারত-পাক মহারণ
পরশ মামব্রে দাবি করেছেন, ‘ওর সঙ্গে আমার সেই ভাবে কোনও কাজ করার থাকেই না। ওকে আলাদা করে আমি কী শেখাব! বরঞ্চ আমি ওর থেকে শিখি। প্রচন্ড শৃঙ্খলাপরায়ণ বোলার ও। নেটে খুব পরিশ্রম করে। বরং আমি এটা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে, আমি ওর সঙ্গে বোলিং কোচ হিসাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। বুমরাহ সমস্ত পারফরম্যান্স করে, আর আমি তো ওর সমস্ত কৃতিত্ব নিই। এর থেকে ভালো আর কী হতে পারে! আমি এর আগেও বলেছি, ও এমন একজন বোলার যে জেন🐠ারেশনে একবার আসে (ওয়ান্স ইন আ জেনারেশন বোলার)। সেটা কোনও নির্দিষ্ট ফর্ম্যাটে নয়, সব ফর্ম্যাটেই সত্যি।’
আরও পড়ুন: শেষ ওভারে সোহেল খানের তাণ্ডব, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে গেইলদের হার🍨িয়ে ফাইনালে পাকিস্তান
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘আপনি লাল বলের ফর্ম্যাট বলুন, ওডিআই ক্রিকেট বলুন, টি-২০ ক্রিকেট বলুন, যে কোনও ফর্ম্যাটে ও অনবদ্য। যখন, যেমন দলের প্রয়োজন পড়েছে, ও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। এক অনবদ্য বোলার। ভারত তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেট🅷ের গর্ব ও। ওর হাতে জাদু রয়েছে। অবিশ্বাস্য স্কিল রয়েছে। ও বোঝে কখন কোন পিচে কোন বলটা করতে হবে। কোন লাইন এবং লেন্থে বলটা করতে হবে। ওর নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকে। আর সেই পরিকল্পনা খুব সুস্পষ্ট পরিকল্পনা। আমি যখন ওর সঙ্গে কথা বলেছি, আমি দেখেছি ওর চিন্তাভাবনা এই বিষয়ে খুব পরিষ্কার। ও ভালো করে বোঝে যে ও কী করতে চাইছে, কী করা উচিত। এটা উপলব্ধি করতে পারে যে, কোন ব্যাটার কখন ওকে খেলতে একেবারেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে না। এরপর ও পরিবেশ পরিস্থিতিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে। ব্যাটারদের হাবভাব দেখে ও বোঝার চেষ্টা করে তারা কী ভাবছে। স🀅েই মতো নিজের মাথায় ও পরিকল্পনা সাজায়।’ সদ্য শেষ হওয়া টি-২০ বিশ্বকাপে জসপ্রীত বুমরাহর ইকোনমি রেট মাত্র ৪.১৭। পাশাপাশি তিনি নিয়েছেন ১৫টি উইকেট। টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। আর্শদীপ সিং এবং হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে ভারতকে এক দশকের বেশি সময় পরে তিনি এনে দিয়েছেন দুরন্ত আইসিসির ট্রফি জয়ের সাফল্য।