সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে দুরন্ত গতির বোলিং কার্তিক ত্যাগির,স্পিডোমিটারে সর্বোচ্চ গতি উঠল ১৫৩.৪ কিমি!শুভব্রত মুখার্জি: আইপিএলের জমানায় ভারতীয় জাতীয় দলের বেঞ্চের শক্তি যে নিঃসন্দেহে বৃদ্ধি পেয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং সব বিভাগেই উঠে এসেছেন একাধিক প্রতিভাবান ক্রিকেটার। ভারতীয় দল এখন এতটাই শক্তিশালী যে একসঙ্গে দু-দু'টি শক্তিশালী প্রথম একাদশ গড়ার ক্ষমতা রাখে তারা। আর ভারতীয় ক্রিকেটের এই উন্নতি এই মুহূর্তে পরিলক্ষিত হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বত্র। আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে গত মরশুমে খেলে সকলের নজরে পড়েছিলেন পেসার কার্তিক ত্যাগী। এবার তিনি সকলের চোখ টানলেন চলতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে তাঁর আগুনে গতির মধ্যে দিয়ে।উত্তরপ্রদেশের হয়ে মঙ্গলবার মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলতে নেমেছিলেন ত্যাগী। সেখানেই তাঁর দুরন্ত গতির বোলিং নজর কেড়েছে সকলের। মঙ্গলবার গুজরাটের মুখোমুখি হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ। ম্যাচটা দুই দলের কাছেই ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচেই ধারাবাহিকভাবে ১৫২-১৫৩ কিমি প্রতি ঘন্টা গতিবেগে বোলিং করেন তিনি। স্পিডোমিটারে রেকর্ড হওয়া তাঁর সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৫৩.৪ কিমি প্রতি ঘন্টা! যা দেখে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছে নেটিজেন থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ সকলের।সাধারণত ঘরোয়া ক্রিকেটের ২২ গজ পাটা হয়। ব্যাটিং সহায়ক হয়। সেখানে টি-২০ ফর্ম্যাটের ঘরোয়া ক্রিকেটে এইধরনের উজাড় করা পারফরম্যান্সে সকলের নজর কেড়েছেন তিনি।প্রসঙ্গত ২০২০ যুব বিশ্বকাপে ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলার সময়ে সকলের নজর কেড়েছিলেন তিনি। এরপরে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে তিনি জায়গা করে নেন আইপিএলে। সেখানে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেছেন তিনি। আইপিএলে বিশ্বের অন্যতম সেরাদের বিরুদ্ধে তাঁর বোলিং যথেষ্ট নজরকাড়া। ২০২০-২১ সালে ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয় করেছিল। সেই সিরিজে নেট বোলার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। যদিও চোট আঘাতে মাঝে মাঝেই সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাঁকে। তবে সেইসব এখন অতীত। মঙ্গলবার গুজরাটের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে ১৫২-১৫৩ কিমি গতিতে বল করে সেকথা বারবার বুঝিয়ে দিলেন কার্তিক ত্যাগী।