একে তো ঘরের মাঠে বিরাট রানের ইনিংস গড়েও হারের মুখ দেখতে হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। তার উপর ইডেন রাজস্থানের কাꦦছে পরজিত হওয়ার পরেই বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে হল শ্রেয়স আইয়ারকে। এক্ষেত্রে নিয়ম ভেঙে পার পাননি নাইট ꧙অধিনায়ক।
নিজেদের ডেরায় রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে হেরে ওঠার পরেই আইপিএলের কোড অফ কন্ডাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ ধেয়ে আসে কেকেআর শিবিরে। যদিও⛎ দলগত অপরাধের শাস্তি পেতে হয় একা নাইট দলনায়ককে। মাঠে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে ক্যাপ্টেনের ভূমিকাই মুখ্য। তাই এক্ষেত্রে প্রথম অপরাধের জন্য দলের কাণ্ডারীকে শাস্তি দিয়েই গোটা দলকে সতর্ক করে দেয় বিসিসিআই।
আসলে মঙ্গলবার ইডেনের হোম ম্যাচে রাজস্থানের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ে ২০ ওভারের বোলিং কোটা শেষ করতে পারেনি ন🙈াইট রাইডার্স। স্লো ওভার-রেটের দায়ে পড়ায় শাস্তি হয় কেকেআর দলনায়ক শ্রেয়সের। যেহেতু আইপিএল চলতি মরশুমে এটি নাইট রাইডার্সের প্রথম ওভার রেট বজায় রাখতে না পারার অপরাধ, তাই শুধুমাত্র ক্যাপ্টেনকে জরিমানা করেই ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:- KKR-এর তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে IPL-এ সেঞ্চুরি নারিনের, বাকি দু'জন কജারা?
জরিমানার অঙ্ক নিতান্ত কম নয়। প্রথমবার আইপিএলের আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য নিয়ম মতো শ্রেয়সকে ভারতীয় মুদ্রায় ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে বাকি টুর্নামেন্টে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি🐼র হলে এই শাস্তির পরিমাণ বাড়বে। সেক্ষেত্ꦡরে ক্যাপ্টেনের জরিমানার অঙ্ক দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়াবে এবং পার পাবেন না দলের বাকি ক্রিকেটাররাও।
স্লো ওভার-রেটে শাস্তির কী নিয়ম রয়েছে আইপিএলের আচরণবিধিতে:-
মরশুমে প্রথমবার নূন্যতম ওভার-রেট সংক্রান্ﷺত অপরাধের দায়ে পড়লে সংশ্লিষ্ট দলের কেবল অধিনায়কের ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
দ্বিতীয়বার ওভার রেট বজায় রাখতে না পারার অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট দলের ক্যাপ্টেন-সহ সব ক্রিকেটারের শাস্তি হয়। প্রথম একাদশ ছাড়াও সেই দলের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারকেও জরিমানা করা হয়। ক্যাপ্টেনের জরিমানার অঙ্ক ডাবল হয়ে যায়। অর্থাৎ, ক্যাপ্টেনকে সেক্ষেত্রে ২৪ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হয়। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার-সহ দলের বাকি সব ক্রিকেটারকে ৬ লক্ষ টাকা করে অথবা তাদের ম্যাচ ফি-র ২৫ শতাংশ অর্থ, যেটার পরিমাণ কম, সেই পরিমাণ অর্থ জর𝄹িমানা করা হয়।