বিরাট কোহলির জন্য সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না। বারবার ব্যাট হাতে ব্যর্থ হচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশের পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও সেই একই জিনিস দেখা গেল। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে প্রথম টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন ৩ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন বিরাট কোহলি। ৮ বছরে এই প্রথম টেস্ট ফরম্যাটে ৩ নম্বরে ব্যাট করতে এসেছিলেন কোহলি। শেষবার তিনি ওই পজিশনে ব্যাট করেছিলেন ꩲ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গ্রস আইলেটে। ৩ নম্বরে, কোহলি মাত্র ৬ ইনিংসে ব্যাট করে ১৯.৪০ গড়ে মাত্র ৯৭ রান করেছেন। এই পজিশনে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ৪১। এদিনও সুবিধা করতে পারলেন না তিনি। ৯ বলে শূন্য রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেন বিরাট।
এর আগে টেস্টে ‘অপছন্দের’ ৩ নম্বর পজিশনে ৬ ইনিংস ব্যাট করেছেন। ২০১২ সালে আমেদাবাদে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১ ইনিংস ব্যাট করেছিলেন বিরাট। সেখানে ১৪ রানে নট আউট ছিলেন। এরপর মোহালিতে ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৪ রান করেছিলেন। ২০১৩ সালে দিল্লিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে ২ ইনিংসে যথাক্রমে ১ এবং ৪১ রান করেছিলেন তিনি। এরপর ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্টে শেষবার ৩ নম্বরে পজিশনে ব্যাট করেছিলেন বিরাট। সেখানে যথাক্রমে ২ ইনিংসে ৩ এবং ৪ করেছিলেন। স্বভাবতই বোঝা যাচ্ছে বিরাটের কাছে এই ৩ নম্বর পজিশনে ব্যাট করাটা পয়া নয়। যতবারই খেলেছেন, ব্যর্থ হয়েছেন রান পেতে। এদিনও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই একই জিনিস ঘটল। মাত্র ৯ বল খেলওে শূন্য রানে আউট হয়ে ফিরে গেলেন বির🅘াট।
প্রসঙ্গত, ভারত-নিউজিল্যান্ড প্রথম টেস্ট ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা ছিল গতকাল। বেঙ্গালুরুতে প্রবল বৃষ্টির কারণে তা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিন খেলা শুরু হলে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এখনও পর্যন্ত শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজের মতো এখানেও ব্যর্থ ভারতের টপ অর্ডার। এদিন ঘাড়ের চোটের কারণে মাঠের বাইরে থাকা শুভমন গিলের জায়গায় দলে আসেন সরফরাজ খান। তবে নিয়মিত ৩ নম্বর ব্যাটসম্যান গিলের জায়গায় তাঁকে খেলানো হয়নি। তার পরিবর্তে ৩ নম্বরে ব্যাট করতে নামতে দেখা যায় অভিজ্ঞ বিরাট কোহলিকে। সাধারণত ৪ নম্বরে ব্যাট করে থাকেন তিনি। অন্যদিকে এদি💫ন বিরাটের পাশাপাশি সরফরাজও শূন্য রানে আউট হয়েছেন। সব মিলিয়ে বেশ বেকায়দায় ভারত। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিরিখে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজ, ভারত চাইবে প্রতিটি ম্যাচ জিতে WTC-র ফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করতে।