২০১৩ সালের আইপিএলে পথ চলা শুরু। প্রথমদিকে ব্যাটে রান আসেনি। বিরাট কোহলির সঙ্গে আরসিবির ড্রেসিং রুম শেয়ার করে নেওয়া থেকে এখন নিজেই এক ফ্র্যাঞ্চাইজির অধিনায়ক। আইপিএলে নিজের কেরিয়ার শুরুর সময়ের গল্প শোনালেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। বিরাট কোহলির মতো বড় মাপের ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা ভাগ করতে গিয়ে রাহুল জানান, কিভাবে তাঁকে আরসিবির সঙ্গে চুক্তিপত্রে সই করতে বলেছিলেন কোহলি। লখনউ অধিনায়ক রঞ্জি ট্রফির থেকেও বেশি মার্কস দিয়েছেন আইপিএলকেই। তাঁর কথা উঠে এসেছে কম সময়ের মধ্যেও নিত্য নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের ▨কথা আইপিএলের মধ্যে দিয়ে।
আর ৩০ রান বেশি করতে পারলেই হয়ত বিশ্বকাপ জিততে পারত ভারত, আক্ষেপ লোকেশ রাহুলের। সম্প্রতি রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাহুল বললেন, ‘ফাইনাল ꦍম্যাচে মিচেল স্টার্কের বল সামলে খেলব না শট খেলব বুঝতে পারছিলাম না। শেষ পর্যন্ত যদি খেলতে পারতাম, তাহলে দলের ৩০ রান বেশি হতে পারত। সেটাই টার্নিং পয়🎐েন্ট হতে পারত’। দলের হাররে পর তাঁর ধীর গতির ইনিংস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। দেশের মাঠে ফেভারিট হিসেবে শুরু করেও জিততে পারেনি ভারত। ফাইনাল ম্যাচে ৩০-৪০ রান কম ওঠাই ভারতকে ব্যাকফুটে ফেলে দেয়, মনে করছেন জাতীয় দলের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
আরও পড়ুন- IPL 2024-স্নায়ুচাপের পরীক্ষা হয়েছে এই ম্যাচে, পঞ্জাব বধের পর বলল🌃েন হার্দিℱক পান্ডিয়া
২০১৩ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে যখন লোকেশ রাহুল যোগ দিয়📖েছিলেন তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে অভিষেক হয় তাঁর। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রাহুল বলছিলেন, কিভাবে বিরাট কোহলি তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিল আরস♈িবিতে। বৃহস্পতিবার জন্মদিন পালন করা রাহুল বলছেন, ‘ বিরাট তখন হোটেলে ছিল। কোচ রে জেনিংস আর বাকি কোচিং স্টাফরা ছিল। হঠাৎই বিরাট এসে বলে, তুমি আরসিবির চুক্তিতে সই করবে? আইপিএলে আরসিবির হয়ে খেলবে? আমি ভাবছিলাম আমার সঙ্গে কি মজা করছ নাকি, এটা তো আমার স্বপ্ন আরসিবিতে খেলা। এরপরই বিরাট বলে ওঠে, আমি মজা করছি। কোনও অপশন দিচ্ছি না তোমাকে। চুক্তটাই সই করে ফেল। আগামী কয়েকটা মাস তুমি খুব উপভোগ করবে দলের পরিবেশ এবং আইপিএলের অভিজ্ঞতা’।
আরও পড়ুন- IPL 2024-ভিডিয়ো- সল্টকে অন🐎বদ্য কট অ্যান্ড বোল্ড আবেশের, তারপরেই সঞ্জুর ওপর নিলেন প্রতি🧸শোধ!
২০১৩ সালে সৈয়দ মুস্তাক আলি 🐭টি২০ প্রতিযোগিতায় ভালো পারফরমেন্সের পর তাঁকে দলে নেয় আরসিবি। কিন্তু প্রথম সংস্করণে মাত্র ২০ রান করেন রাহুল। এর পরের বছর সই করেন হায়দরাবাদের হয়ে। সেবার করেন ১৬৬ রান। সেই বছরই টেস্টে অভিষেক হয় রাহুলের। এরপর ২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুর হ🎉য়ে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। তারপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুর জার্সিতে করেন ৩৯৭ রান। এরপর পঞ্জাব কিংসে চলে যান। ২০২০ সালে আইপিএলের ওরেঞ্জ ক্যাপ জেতেন রাহুল। তারপর ২০২২ সালে লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক হন।
আরও পড়ুন- ফের পাক জার্সিতে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জেল খাটা আমির, ভগবানকে ধন্যবাদ দিয়ে যাত্রা শ🎃ুরু
লোকেশ রাহুলের মনের মধ্যে অবশ্য এখনও রয়েছে আরসিবিই। অবসরটা পুরোনো দল থেকে নিতেই চান তিনি। অশ্♏বিনকে রাহুল নিজের সুপ্ত বাসনার কথা সেই সাক্ষাৎকারে বলেন, 'রঞ্জি খেলে সাত আট মরশুম সময় লাগত আমার পরিপূর্ণ ক্রিকেটার হয়ে উঠতে। কিন্তু আইপিএল খেলার সুবাদে আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলায় মাত্র ২ মাসেই প্রচুর অভিজ্ঞতা অর্জন করি। এত কিছু জানার সুযোগ পাই, যে মনে হচ্ছিল জীবন বোধহয় ফাস্ট ফরওয়ার্ড হয়ে গেছে। আমি ওখান থেকে শুরু করেছি, তাই মনের মধ্যে থাকে আরসিবির হয়েই কেরিয়ার শেষ করার কথা। আর সব থেকে বড় কথা আমি কর্ণাটকের ছেলে। ফলে হোম গ্রাউন্ড আর হোম গ্রাউন্ডের সমর্থকদের একটা বিষয় মাথা চলেই। কিন্তু আইপিএলের এটাই সৌন্দর্য যে তোমাকে বিভিন্ন দলে বিভিন্ন ক্রিকেটারদের সঙ্গেই মিলেমিশে খেলতে হয়'।