আইপিএলের ম্যাচে মার্কাস স্টইনিসের দুরন্ত ইনিংসের সৌজন্যে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে দিয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। সকলে যখন ধরেই নিয়েছিল ম্যাচ প্রায় হাতছাড়া লখনউয়ের, তখনই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন মার্কাস। রাহুল, পুরানদের সঙ্গে নিয়ে একাই লড়াই দিয়ে যান। একে একে বাকিরা আউট হয়ে যাচ্ছিলেন। প্রতিপক্ষ দলে পাথিরানার মতো বোলার, সঙ্গে মাস্টার মাইন্ড মহেন্দ্র সিং ধোনি, কাজটা কঠিন হয়ে গেলেও হাল ছাড়েননি স্টইনিস। একাই লড়ছিলেন, শেষমেষ ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন তিনি। মুস্তাফিজুরের শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৭ রানের। কিন্তু সেই রান অস্ট্রেলিয়ান তারকা তুলে নেন মাত্র তিন বলের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১২৪ রানে। মাত্র ৬৩ বল খেলেই এই রান করেন স্টইনিস, ফলে টি২০ বিশ্বকাপের আগে তিনি যে অজি স্কোয়াডের দরজায় কড়া নাড়া শুরু করে দিলেন তা ব𓃲লাই বাহুল্য। অস্ট্রেলিয়া বোর্ডের কর্তাদেরই কার্যত ব্যাটেই উত্তর দিলেন কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়া এই অলরাউন্ডার।
আরও পড়ুন-IPL -শেষ♏ের♌ দিকে KKR আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেনি, রেগে লাল IPL জেতানো প্রাক্তন তারকা
এক মাস আগেই তিনি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলেন। চুক্তির তালিকায় থাকা ২৩ জনের মধ্যে স্থান পাননি তিনি। কিন্তু সামনে টি২০ বিশ্বকাপ আসছে। তাই চুক্তির থেকেও🌃 জাতীয় দলের জার্সিতে ফেরাকেই আরও বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন স্টইনিস। মে মাসের ১ তারিখের মধ্যেই আইসিসির কাছে সব দলই তাঁদের ১৫ জনের স্কোয়াড পাঠিয়ে দেবে, যারা টি২০ বিশ্বকাপে অংশ নেবে। সেই স্কোয়াডেই থাকার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী স্টইনিস।
আরও পড়ুন-IPL 2024-মানুষের মধ্যে ভগবান! SRH-র বিস্ফোরণের মধ্যেও 🍒বুমরাহের বোলিং দেখে মুগ্ধ স্টেইন
চেন্নাই ম্যাচের পর লখনউ দলের নায়ক বলছেন, ‘ আমার সঙ্গে দলের কোচের ဣসম্পর্ক খুবই ভাল๊ো। চুক্তি তালিকা থেকে বাদ পড়ার বিষয়টা আমি অনেক আগে থেকেই জানতাম। উঠতি প্রতিভাদের সুযোগ দেওয়া সব সময়ই উচিত, আমিও তাই করেছি। ওরা আমার জায়গাটা নিতে পারলে আমি খুশিই হব। কিন্তু খেলার কথা যদি বলি, তাহলে অবশ্যই আমি নিজে চাইবে নিজের সেরাটা দিয়ে খেলতে এবং দলের জন্য পারফর্ম করতে। ’
আরও পড়ুন-ক্যারাটে কমব্যাট লিগে ভারতের পতা𓄧কা হাতে পাকিস্তানের অ্যাথলিট, ভাইরাল ভিডিয়ো
চেন্নাইয়ের বিপক্ষে লখনউ শিবিরের দুরন্ত জয় নিয়ে স্টইনিস বলেন, ‘ ওপেনিংয়ে প্রচুর ভালো ব্যাটাররা রয়েছে আইপিএলে, ফলে ওপেনিং করার কথা এবারে🍃 ভাবছি না। তবে ম্যাচ জয়ের জন্য কিছু বোলারকে টার্গেট করতে হয়, আর কিছু বোলারের ওভার সাবধানে খেলতে হয়। একটা সময় এসেছিল যখন আমি বাউন্ডারি মারতে পারছিলাম না, তখন পুরান এসে কাজটা সহজ করে দেয়। একদিক থেকে পুরান শট খেলা শুরু করায় আমার ওপর থেকে চাপটা কেটে যায়। টি২০ ক্রিকেটে বদল আসছে, বড় টার্গেটও চেজ হয়ে যাচ্ছে ’।