ইরানি কাপ খ♎েলতে লখনউয়ে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় পড়লেন মুশির খান। ফলে অবশিষ্ট ভারত একাদশের বিরুদ্ধে হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে মাঠে নামা চূড়ান্ত অনিশ্চিত সরফরাজ খানের ভাইয়ের।
দুর্ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য এ🌳খনও জানা যায়নি। মুশিরের চোট কতটা গুরুতর, সেটাও এখনও স্পষ্ট নয়। তবে নিজের বাবা তথা কোচ নৌশাদের সঙ্গে কানপুর থেকে লখনউ যাওয়ার পথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন মুশির, এমনটাই খবর।
এক সূত্র টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে এই প্রসঙ্গে জানান যে, মুশির মুম্বই দলের সঙ্গে ইরানি কাপ খেলতে লখনউয়ে যাননি। বরং নিজের জন্মস্থান আজমগড় থেকে বাবার সঙ্গেই লখনউয়ের পথে রওনা হন। উল্লেখ্য, আগামী ১ অক্টোবর থেকে লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ইরানি কাপের ম্যাচ। দাদা সরফরাজের সঙ্গে ম🔜ুম্বইয়ের হয়ে এই ম্যাচে মাঠে নামার কথা মুশিরের।
১৯ বছরের তারকা এই মুহূর্তে যে রকম ফর্মে রয়েছেন, ইরানি কাপ থেকে ছিটকে গেলে তা বড় ধাক্কা হতে পারে মুম্বইয়ের কাছে। সম্প্রতি দলীপ ট্রফির ম্যাচে ১৮১ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেন মুশির। এখনও পর্য🍷ন্ত মোট ৯টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচে মাঠে নেমেছেন মুশির। ১৫টি ইনিংসে ব্যাট করে ৫১.১৪ গড়ে সংগ্রহ করেছেন ৭১৬ রান। সেঞ্চুরি করেছে🤪ন তিনটি এবং হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন ১টি। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস অপরাজিত ২০৩ রানের।
মুশিরের বলের হাতও নিতান্ত মন্দ নয়। তিনি ১৪টি ইনিংসে বল করে সংগ্রহ করেছেন ৮টি উইকেট। সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স ১১ রানে ২ উইকেট। মুম্বই বাঁ-হাতি স্পিন বিকল্প হিসে🧜বে মুশিরকে 🔥শুরু থেকেই ব্যবহার করে।
মুশির গত রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে বরোদার বিরুদ্ধে ডাবল সেঞ্চুরি করেন। প্রথম ইনিংসে ২০৩ রান করে অপরাজ🍨িত থাকেন তিনি। পরে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে রঞ্জির সেমিফাইনালে ৫৫ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন মুশির। বিদর্ভের বিরুদ্ধে রঞ্জি ফাইনালে ১৩৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে মুম্বইকে চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করেন মুশির। রঞ্জি ফাইনালের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন তিনি।
শুধু ইরানি কাপেই নয়, বরং এই দুর্ঘটনার জন্য রঞ্জি ট্রফির শুরুর দিকের কয়েকটা ম্যাচও মিস করতে পারেন মুশির খান। নতুন রঞ্জি মরশুম শুরু হবে আগামী ১১ অক্টোবর থেকে। এলিট-এ গ্রুপের প্রথম ম্যাচেই মুম্বইয়ে🌠র প্রতিপক্ষ বরোদা। ১৮ অক্টোবর থেকে রঞ্জির দ্বিতীয় ম্যাচে মুম্বই মাঠে 🦹নামবে মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে।