শুভব্রত মুখার্জি:- আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট খেলার প্রসার ঘটাতে বিশেষভাবে উদ্যোগী বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসি🌼সি। ইতিমধ্যেই আমেরিকাতে শুরু হয়েছে মেজর লিগ ক্রিকেট। পাশাপাশি এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে আয়োজনের যৌথভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমেরিকাকে। ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক গেমসে অন্তর্꧑ভুক্ত হয়েছে ক্রিকেট খেলা। সে কথা মাথায় রেখেই আমেরিকাতে ক্রিকেটের প্রসার ঘটাতে উঠে পড়ে লেগেছে আইসিসি।
শেষ ৪-৫ বছর ধরে আমেরিকার ক্রিকেট দলক😼েও ঢেলে সাজানো হয়েছে। যার সুফল তারা পেয়েছে চলতি বিশ্বকাপে। ২০০৯ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন তথা ২০২২ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ রানার্স আপ পাকিস্তান দলকে হারিয়ে বড়সড় চমক দিয়েছে তারা। এমন আবহে আমেরিকা ক্রিকেটের অপারেশনাল প্রধানের স্পষ্ট স্বীকারোক্তি আমেরিকাতে ক্রিকেটের প্রসারে বিসিসিআইয়ের সাহায্য প্রয়োজন।
এই মু💫হূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের সবথেকে ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই।পরিকাঠামোগত বা প্রযুক্তিগতভাবে তারা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। এমন আবহে দাঁড়িয়ে আমেরিকা ক্রিকেটের অপারেশনাল হেডের স্পষ্ট বক্তব্য আমেরিকাতে ক্রিকেটের প্রসার ঘটাতে গেলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে সবরকম সাহায্যের প্রয়োজন তাদের রয়েছে। অপার♊েশনাল হেড মনোজের বক্তব্য শেষ ৪-৫ বছর ধরে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট দল অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। যার সুফল তারা পেয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে। প্রসঙ্গত বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবেই তারা একটি টি-২০ সিরিজও খেলেছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। সেই সিরিজেও জয় পেয়েছিল তারা।
আরও পড়ুন… IND vs PAK: এ কেমন পোশাক! ব🍬িরাট থেকে বাবর, গেইলের বিশেষ ব্লেজারে সই করলেন দুই দেশের ক্রিকেটাররা
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মনোজ জানিয়েছেন, ‘এই সফরটা আমাদের কাছে একেবারেই সহজ সফর ছিল না। বলা যায় আমাদের উন্নয়নের কাজ এখনও চলছে। আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশে এখনও ক্রিকেটের কোন পরিকাঠামোই নেই। এই সব জায়গাতেও পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ চলছে। এই দেশে ক্রিকেট এখনও সেইভাবে জনপ্রিয় নয়। সেই জায়গায় সবাইকে এক জায়গায় এনে উন্নয়নের কাজটা করাও বড়সড় চ্যালেঞ্জের। এই যে জয়টা (পাকিস্তানের বিরুদ্ধে) আমরা পেয়েছি তাﷺ আমাদের ছেলেদের শেষ ৪-৫ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল।’
তিনি আরও বলꦯেন, ‘আমেরিকাতে ক্রিকেট একেবারেই নতুন একটা খেলা। আমাদের পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে এটা মানতেই হবে। মানুষ এখনও ক্রিকেটটা নিয়ে জানছে, শিখছে। এই মুহূর্তে আমাদের হাতে অনুশীলনের জন্য সেই রকম টার্ফ উইকেটও নেই। আমাদের একটা বা দুটো স্টেডিয়াম রয়েছে যেখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা যায়। অন্যদꦿিকে ভারতে ক্রিকেটের অবস্থাটা সম্পূর্ণ রকম আলাদা। যেভাবে বিসিসিআই ওখানে কাজ করেছে তা দুর্দান্ত। ওদের থেকে শেখার রয়েছে যে কিভাবে একটা খেলাকে দেশে জনপ্রিয় করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে কাজটা করতে চাই। আমাদের মতন বড় দেশে যদি আমরা ক্রিকেটকে প্রোমোট করতে চাই তাহলে এখানে বিসিসিআইকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। ওদের সাহায্যের প্রযꦇ়োজন। ওঁরা এগিয়ে না এলে সেটা খুব চ্যালেঞ্জিং। ভারতীয় দল যদি জুনিয়র পর্যায়ে এমনকি মেয়েদের ক্রিকেটেও এখানে সিরিজ খেলতে আসে তাহলে প্রচুর মানুষ আসবে ম্যাচ দেখতে। যা আমেরিকাতে ক্রিকেটের প্রসারে সহায়ক হবে। বিসিসিআই যদি খেলাটাকে আমেরিকাতে প্রোমোট করার উদ্যোগ নেয় তাহলে জিনিসটা আমাদের কাছেও খুব সহায়ক হবে।’