সম্পন্ন হয়েছে IPL ২০২৫-এর মেগা অকশন। সৌদি আরবের জেড্ডায় ২৪ এবং ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় এই মেগা ইভেন্ট। এবারের নিলামে ঠিকানা পরিবর্তন হয়েছে অনেক ক্রিকেটারেরই। এই মুহূর্তে সব ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি নিজেদের দল গঠনের কাজ সম্পন্ন করেছে। এবারের অকশনে বেশ অবাক করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাদের একাধিক সিদ্ধান্ত ছিল চোখে লাগার মতো। তার মধ্যে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য শ্রেয়স আইয়ারকে রিটে🐭ন না করা এবং বেঙ্কটেশ আইয়ারকে বিপুল অর্থে কেনা। তবে এই সবের মাঝে এই মুহূর্তে চর্চায় উঠে এসেছে নীতীশ রানার জন্য বিড না করা। একটা সময় কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়কও হয়েছিলেন নীতীশ। তারপরেও তাঁর জন্য বিড না করাটা ভালো ভাবে নেননি অনেক সমর্থক। পাশাপাশি বিষয়টি হয়তো নিজেও ভাবতে পারেননি নীতীশ। অন্তত তাঁর স্ত্রীর একটি পোস্ট দেখে তেমনটাই মনে করা হচ্ছে।ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ
নীতীশ রানা KKR-এর সঙ্গে ২০১৮ সাল থেকে ছিলেন। দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ২০২৩ মরশুমে শ্রেয়স আইয়ার চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার কারণে তাঁকে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল KKR ম্যানেজমেন্ট। তবে এবার তাঁর জন্য কোনও আগ্রহ দেখালই না KKR। IPL ২০২৫-এর জনไ্য ঠিকানা পরিবর্তন হল নীতীশের, আগামী বছর তাঁকে খেলতে দেখা যাবে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে। আর এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করলেন তাঁর স্ত্রী সাচি মারওয়াহ। তিনি একটি ছবি পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন হ্যাশট্যাগ নীতীশ রানা। ছবিতে লেখা রয়েছে, ‘আনুগত্য খুবই মূল্যবান, সবাই তা অর্জন করার সামর্থ্য রাখে না।’ প্রসঙ্গত, ইনস্টাতেও কেকেআরকে আনফলো করে দিয়েছেন রানা দম্পতি।🔯
নেটিজেনরা মনে করছে এই পোস্টের মাধ্যমে KKR ম্যানেজমেন্টকেই নিশানা করা হয়েছে। রানাকে ২০১৮ সালে ৩.৪০ কোটি টাকার বিনিময় কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এরপর তাঁর ভালো পারফরম্যান্সের 𒈔কারণে ধীরে ধীরে মূল্য বাড়তে থেকে। সর্বশেষ ৮ কোটি টাকার বিনিময় রিটেন করেছিল KKR। তবে IPL ২০২৫-এর অকশনে তাঁর দর ওঠে মাত্র ৪.২০ কোটি টাকা, অর্থাৎ প্রায় ৫০ শতাংশ বেতন কমে গেল নীতীশের। আর হয়তো এই বিষয়টাকে মেনে নিতে পারছেন না নিজে। তবে গত মরশুমে KKR-এর হয়ে খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। চোটের জন্য মাত্র ২টি ম্যাচই খেলতে পেরেছিলেন। প্রসঙ্গত, IPL-এ এখনও পর্যন্ত নীতীশ রানা ১০৭টি ম্যাচ খেলেছেন। রান করেছেন ২৬৩৬, গড় ২৮.৬৫ এবং সর্বোচ্চ স্কোর ৮৭। ২০২৩ IP💫L-এ নীতীশ KKR-এর হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি সেই বছর ১৪টি ম্যাচ খেলেন। রান করেছিলেন ৪১৩, গড় ৩১.৭৭।