বৃষ্টিতে বারবার থমকেছ🅘ে খেলা। তাতে অবশ্য নিউজিল্যান্ডের ওপেনার উইল ইয়ং এবং চারে ব্যাট করতে নামা কিউয়ি অধিনায়ক টম লাথামের দাপট এতটুকু কমেনি। বরং বাংলাদেশের বোলারদের উপর যেন তাঁরা বজ্রপাত করে গিয়েছেন। এই জুটির দাপটেই নিউজিল্যান্ডের স্কোরলাইন তরতর করে এগি🦋য়েছে, অন্যদিকে ব্যাট করতে নেমে টাইগাররা একেবারে ল্যাজেগোবরে হয়েছে।
রবিবার নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ প্রথম ওডিআই ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট দেরিতে শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে ৫০ ওভারের ম্যাচ নেমে এসেছিল ৪৬ ওভারে। তবে বৃষ্টির ঝাপটা ওখানেই থামেনি। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের সময়ে আরও দু'বার খেলা থেমেছে বৃষ্টিতে। 𝔍ম্যাচটা সে কারণেই শেষ পর্যন্ত ৩০ ওভারে এসে দাঁড়ায়। আর ৩০ ওভারে নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান করে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য ডিএলএস পদ্ধতিতে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৪৫-এ। ৯২ রানে ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল টꦯাইগারদের। সেখান থেকে বাংলদেশ ২০০ রান করেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ৪৪ রানে ম্যাচটি জিতে মাঠ ছাড়ে নিউজিল্যান্ড।
আরও পড়ুন: শেষ চার ওভারে সাইক্লো📖ন বইয়ে ৭৯ রান করল উইন্ডিজ, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভাঙল তাদেরই রেকর্ড
টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আর প্রথমে ফিল্ডিং নিয়ে সেটা শুরুতে কাজেও লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের যখন ৫ রান, তখন তাদের ২ উইকেট ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। রাচিন রবীন্দ্র এবং হেনরি নিকোলাস খালি♊ হাতেই সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন। ২টি উইকেটই নিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। কিন্তু সেখানেই বাংলাদেশের বোলারদের জারিজুরি শেষ। এর পর উইল ইয়ং এবং টম লাথাম মিলে জুটি বাঁধেন। তাঁরা তৃতীয় উইকেটে ১৭১ রানের পার্টনারশিপ করেন। সেখানেই ঘুরে যায় ম্যাচের রং। ৭৭ বলে ৯২ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন লাথাম। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। তাঁর ইনিংস সাজানো ৯টি চার এবং তিনটি ছক্কায়।
আরও পড়ুন: BCC⛄I-এর ভুলে শেষ হয়ে যেতে বসেছিল চেতন সাকারিয়ার ক্যারিয়ার
উইল ইয়ং অবশ্য শতরান পূরণ করেন। ১৪টি চার এবং চারটি ছয়ের সৌজন্যে ৮৪ বলে ১০৫ করে রানআউট হয়ে যান তিনি। এছাড়া ১১ বলে ২০ রান করেছেন মার্ক চ্যাপম্যান। বাকিরা অবশ্য ১ রানের বেশি করে উঠতে পারেননি। ৩০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৩৯ করে নিউজিল্যান্ড। এই সাত উইকেটের মধ্যে চার জনই রানআউট হয়েছেন। শরিফুলের ২ উইকেট ছাড়া এক উইকেট নিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এদিকে ডিএ💞লএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৪৫ দাঁড়িয়েছিল। যেটা খুব সহজ লক্ষ্য ছিল না। আর রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটাররাও বেশ নড়বড় করছিল। বড় জুটি হয়নি। লম্বা ইনিংস খেলতে পারেননি বাংলাদেশের কোনও ব্যাটার।
১০৩ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর, টাইগারদের আশা কার্যত শেষ হয়ে 🦹গিয়েছিল। তবে ষষ্ঠ উইকেটে তৌহিদ হৃদয় আর আফিফ হোসেনের ৫৬ রানের জুটিতে ম্যাচের সময়টাই কেবল দীর্ঘﷺায়িত হয়েছে। ওপেন করতে নেমে সৌম্য সরকার খালি হাতে সাজঘরে ফেরেন। এর পর নাজমুল হোসেন শান্তও ১৩ বলে ১৫ করে আউট হয়ে যান। এনামুল হক কিছুটা হাল ধরেছিলেন। ৩৯ বলে ৪৩ করে আউট হয়ে যান এনামুল। বাংলাদেশের হয়ে এনামুলই সর্বোচ্চ স্কোর করেছেন। এছাড়া ১৯ বলে ২২ করেন লিটন দাস, ২৭ বলে ৩৩ করেন তৌহিদ হৃদয়। মুশফিকুর রহিম মাত্র ৪ করে আউট হন। ২৮ বলে ৩৮ করেন আফিফ হোসেন। মেহেদি হাসা মিরাজ ২১ বলে ২৮ করে অপরাজিত থাকেন। ৩০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২০০ রানে। ৪৪ রানে ম্যাচ জেতে নিউজিল্যান্ড। কিউয়িদের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম মিলনে, ইশ সোধি, জোশ ক্লার্কসন।