২০০১ সালের ২৯ অগস্ট প্রথমবার টেস্ট ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে পাকিস্তান ও বাংলꦓাদেশ। সেই থেকে চলতি সিরিজের আগে পর্যন্ত ২৩ বছরে মোট ꦬ১৩টি টেস্টে একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে নামে দু'দেশ। টেস্টে বংলাদেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আধিপত্য ছিল একতরফা। কেননা সেই ১৩টি টেস্টের মধ্যে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ১২টি টেস্ট জেতে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টে এতদিন বাংলাদেশের সব থেকে বড় সাফল্য ছিল ২০১৫ সালে খুলনায় একটি টেস্ট ড্র করা। দীর্ঘ দু'দশকে যে কৃতিত্ব কখনও অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ, দু'দেশ﷽ের ১৪তম টেস্টে ঠিক সেই কাজটাই করে দেখালেন শাকিব আল হাসানরা। পাকিস্তানকে প্রথমবার টেস্ট ক্রিকেটে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ। তাও আবার বাবরদের ঘরের মাঠে গিয়ে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ১০ উইকেটের বিরায় জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ৬ উইকেটে ৪৪৮𝓰 রান তুলে ব্যাট ছেড়ে দেয়। ১৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন মহম্মদ রিজওয়ান। ১৪১ রান করেন সউদ শাকিল। ৫৬ রান করেন সইম আয়ুব। শূন্য রানে আউট হন বাবর আজম। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। ১টি করে উইকেট নেন শাকিব আল হাসান ও মেহেদি🐟 হাসান মিরাজ।
পালটা ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ৫🔴৬৫ রান। ১৯১ রানে আউট হন মুশফিকুর রহিম। ৯৩ রান করেন শাদমান ইসলাম।🎐 ৭৭ রান করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৫৬ রান করেন লিটন দাস। ৫০ রান করেন মোমিনুল হক। শাকিব ১৫ রান করে আউট হন। পাকিস্তানের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৩টি উইকেট নেন নাসিম শাহ। ২টি করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি, খুররাম শেহজাদ ও মহম্মদ আলি।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১১৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তবে শাকিব ও মেহেদির ঘূর্ণির সামনে দ্বিতীয় ইনিংসে আত্মসমর্♋পণ করেন বাবররা। পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় মাত্র ১৪৬ রানে। সুতরাং, জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৩০ রানের।
আরও পড়ুন:- রাহুলের চ্যারিটি ন♔িলামে সব থেকে দামি কোহলির জার্সি, কতয় বিকোল রোহিতের ব্যাট?
দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের হয়ে ব্যাট হাতে একা লড়াই চালান মহম্মদ রিজওয়ান। তিনি ৫১ রান করে সা🐻জঘরে ফেরেন। ৩৭ রান করেন আবদুল্লা শফিক। ২২ রান করেন বাবর আজম। বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪টি উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৩টি উইকেট নেন শাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ শেষ ইনিংসে কোনও উইকেট না হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৩০ রান সংগ্রহ করে নে। সেই💯 সুবাদে টেস্টে ইতিহাস গড়েন নাজমুল হোসেন শান্তরা। ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন জাকির হাসান। ৯ রানে নট-আউট থাকেন𓂃 শাদমান ইসলাম। ম্যাচের সেরা হন মুশফিকুর।