শুভব্রত মুখার্জি:- রাওয়ালপিন্ডিতে রবিবার অর্থাৎ ২৫ অগস্ট ইতিহাস রচনা করেছে বাংলাদেশ সিনিয়র পুরুষ ক্রিকেট দল। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার শাকিব আলܫ হাসান, মুশফিকুর রহিমরা পাকিস্তানের মাটিতে এসে প্রথমবার টেস্ট জয়ের স্বাদ পেলেন। দশ উইকেটের বিরাট ব্যবধানে টেস্💃টে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
তাদের এই জয়ের অন্যতম নায়ক তাদের অভিজ্ঞ কিপার ꦗব্যাটার মুশফিকুর রহিম। যিনি বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। বলা যায় তাঁর ব্যাটে দলের জয়ের ভিতটা গড়ে দেন। বাকি কাজটা পাকিস্তানের 🔯দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা।
ম্যাচে তাঁর এই ইনিংসের জন্য তিনি ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পেয়েছেন।ম্যাচ শেষে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘টেস্টে আমার খেলার সেরা ইনিংস।’ বিদেশের মাটিতে যে লাল বলের ফর্ম্যাটে বাংলাদেশের পারফরম𝓀্যান্স ভালো নয় তা মেনে নিয়েছেন তিনি।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাঁর দাবি, 'আমার কেরিয়ারে খেলা অন্যতম সেরা ইনিংস। কারণ বিদেশের মাটিতে আমাদের পারফরম্যান্স অতটা ভালো নয়। পাকিস্তানে এসে এই টেস্ট সিরিজের জন্য আমরা খুব ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। কঠোর পরিশ্রম করেছি। আর আজকে সেই পরিশ্রমের ফল আমরা পেয়েছি। ঘরের মাটিতেও আমরা প্রস্তুতি সেরেছি।এই টেস্ট সিরিজের আগে প্রায় আড়াই মাসের একটা বিরতি ছিল। সাদা বলের ফর্ম্যাটে যারা খেলে, তারা বিশ্বকাপে (টি-২০) খেলতে ব্যস্ত ছিল। টিম ম্যানেজমেন্টও সেখানে ব্যস্ত ছিল। আমি আমার কোচিং স্টাফ এবং ম্যানেজমেন্টের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি সবসময়ে দেশের হয়ে আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি দেশের হয়ে ভালো কিছু করতে পারলে তা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আমি একটাꦰ ঘোষণা করতেܫ চাই। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে বিভিন্ন প্রান্তে বন্যা হচ্ছে। আমি আমার এই ম্যাচ সেরার পুরস্কার মূল্য বন্যা কবলিত মানুষদের সাহায্যার্থে ব্যবহার করতে চাই।'
আরও পড়ুন:- County Cricket: ২২ থেকে ২৫ অগস্ট, কাউন্টি রাউন্ড কেমন কাটল ৫ ভারত🌳ীয় তারকার?
তিনি আরও যোগ করেন, ‘পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ভালো ব্যাট করেছে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আমরাও ব্যাট হাতে ভালো রিপ্লাই দিয়েছি। 🧸সাদমানের ৯৩ রান এবং মমিনুলের অর্ধশতরান আমাদের দলের হয়ে টোনটা সেট করে দিয়েছিল। লিটন খুব দ্রুত একটা অর্ধশতরান ক꧟রেছে। আমি এবং মেহেদি মিলে ১৯৬ রান যোগ করে দলকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাই।’
মুশফিক শেষে বলেন, ‘পাকিস্তা🍌নের দ্বিতীয় ইনিংসে আমাদের বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছে। সব মিলিয়ে একটা দলগত এফোর্ট আমরা দিয়েছি। যার ফল আম𒊎রা পেয়েছি।’
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১১৭ রানের লিড নেয়। যা তাদের এই জয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ 🔯ভূমিকা পালন করেছে। ২০০১ সালে পাকিস্তানের মাটিতে একেবারে কাছাকাছি পৌঁছেও টেস্ট জিততে না পারার দুঃখটা তারা মেটালো ২১ বছর বাদে।