ঘরের মাঠে আধা শক্তির নিউজিল্যান্ডকে সামনে পেয়ে রীতিমতো দাদাগিরি দেখালেন বাবর আজমরা। দ্বিতীয় 🍰টি-২০ ম্꧂যাচে কিউয়িদের খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজে ১-০ লিড নিল পাকিস্তান।
নিউজিল্যান্ডের প্রথম সারির ক্রিকেটাররা আইপিএলে ব্যস্ত। বাকিদের মধ্যে কেউ কেউ চোটের জন্য স্কোয়াডে নেই তো আবার কেউ কাউন্টি খেলতে ইংল্যান্ডে। এমন পরিস্থিতিতে কোনও রকমে কুড়িয়ে বাড়িয়ে খেলোয়াড় জড়ো করে পাকিস্তান সফরে টি-২০ সিরিজ খেলতে পাঠিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচ বৃষ্টির জন্য ভেস্তে যায়। খেলা হয় মাত্র ২টি বল। তবে নির্বিঘ্নে আয়োজিত দ্ไবিতীয় টি-২০ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড দল অসহায় আত্মসমর্পণ করে।
রাওয়ালপিন্ডির দ্বিতীয় টি-ꦕ২০ ম্যাচে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান পাকিস্তান দলনায়ক বাবর আজম। নিউজিল্যান্ডের তুলনায় দুর্বল ব্যাটিং লাইনআপকে সামনে পেয়ে হরির লুটের মতো উইকেট কুড়োতে থাকেন পাক বোলাররা। নিউজিল্যান্ড ১৮.১ ওভারেꦕ মাত্র ৯০ রানে অল-আউট হয়ে যায়।
﷽ টিম সেফার্ত ১২, টিম রবিনসন ৪, ডিন ফক্সক্রফট ১৩, মার্ক চাপম্যান ১৯, জেমস নিশাম ১, কোল ম্যাককঞ্চি ১৫ ও ক্যাপ্টেন মাইকেল ব্রেসওয়েল ৪ রান করে আউট হন। ইশ সোধি ৮, জেকব ডাফি অপরাজিত ৮, বেন সিয়ার্স ৩ ও বেন লিস্টার ১ রানের যোগদান রাখেন।
আরও পড়🍬ুন:- ভারতের T20 বিশ্বকাপ দলে কার্যত জায়গা পাকা এই ৭ জনের
পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি ৩.১ ওভার🦩ে ১৩ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। ৩ ওভারে ১৩ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন দীর্ঘদিন ൩পরে অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা মহম্মদ আমির। ৪ ওভারে ১৫ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন আবরার আহমেদ। ৩ ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে একজোড়া উইকেট নেন শাদব খান। ৪ ওভারে ২৭ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন নাসিম শাহ।
পালটা ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ১২.১ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৯২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় পাকিস্তান। অর্থাৎ, ৪৭ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। সইম আয়ুব ৪, বাবর আজম ১৪ ও উসমান খান ৭ রান করে আউট হন। মহম্মদ রিজওয়ান ৩৪ বলে ৪৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি🐬 ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৮ বলে ১৮ রান করে নট-আউট থাকেন ই🦩রফান খান।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন বেন লিস্টার, মাইকেল ব্রেসওয়েল ও ইশ সোধি। ম্যাচের সেরা হন শাহিন আফ্রিদি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বাবর আজমের 𒊎নেতৃত্বে পাকিস্তান এই নিয়ে মোট ৭৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে জয় তুলে নেয়। পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন হিসেবে সব থেকে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ জয়ের নিরিখে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে চলে আসেন বাবর। সামনে রয়েছেন কেবল ইমরান খান। বিশ্বকাপজয়ী দলনায়কের অধীনে পাকিস্তান মোট ৮৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ জিতেছে।