আফগানিস্তানের কাছে ওয়ান ডে সিরিজ হার। আয়ারল্যানꦛ্ডের কাছে টি-২০ ম্যাচ হার। এবার আইরিশদের কাছে সিরিজের তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে পরাজয়। ꦅদক্ষিণ আফ্রিকার দুঃস্বপ্ন যেন শেষ হতেই চাইছে না। প্রতিপক্ষকে খাটো করে দেখার বড়সড় মাশুল দিতে হল প্রোটিয়াদের।
আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩টি সীমিত ওভারের সিরিজের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমসারির ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়ার সিদ🌌্ধান্ত নেয়। তাদের সেই সিদ্ধান্তই বুমেরাং হয়ে দেখা দেয়। কেননা প্রোটিয়ারা প্রথমে আফগানিস্তানের কাছে ৩ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে ১-২ ব্যবধানে হেরে বসে। পরে আইরিশদের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ১-১ ড্র করে দক্ষিণ♍ আফ্রিকা।
এবার আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজের শেষ ম্যাচে হারের মুখ দে✨খতে হল প্রোটিয়াদের। যদিও সিরি𒅌জের প্রথম ২টি ম্যাচ জেতায় সিরিজ হাতছাড়া করতে হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
ไসোমবার আবু ধাবিতে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ওয়ান ডে ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা ও আয়ারল্যান্ড। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আইরিশরা। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৮৪ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন হ্যারি টেক্টর 💛ও ক্যাপ্টেন পল স্টার্লিং।
স্টার্লিং ৯২ বলে ৮৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ৪৮ বলে ৬০ রানের আগ্রাসী ইন꧃িংস খেলেন টেক্টর। এছাড়া অ্যান্ডি বলবির্নি ৪৫, কার্টিস ক্যাম্ফার ৩৪ ও লরকান টাকার ২৬ রানের যোগদান রাখেন। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে❀ ৫৬ রানে ৪টি উইকেট নেন লিজাড উইলিয়ামস। ২টি করে উইকেট দখল করেন ওটনেল বার্টম্যান ও অ্যান্ডিল ফেলুকওয়াও। উইকেট পাননি লুঙ্গি এনগিদি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা একসময় মাত্র ৭৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে। তারা শেষেমেশ ৪৬.১ ওভারে ২১৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৬৯ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে আয়ারল্যান্ড। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দক্ষিণ আফ্রিকাকে কোনও ওয়ান ডে ম্যাচে পরাজিত করে আইরিশ⭕রা।
প্রোটিয়াদের হয়ে নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন জেসন স্মিথ। তিনি ৯৩ বলে ৯১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মারেন ৯টি চার ও ৪টি ছক্কা। কাইল ভেরেইন ৩৮, ত্রিস্তান স্টাবস ২০ ও ফেলুকওয়াও ২৩ রানের যোগদান রাখেন। আইরিশদের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন গ্রাহাম হিউম🍬 ও ক্রেগ ইয়ং। ম্যাচের সেরা হন পল স্টার্লিং। সাকুল্যে ১১টি উইকেট নিয়ে 🥃সিরিজের সেরা হন লিজাড উইলিয়ামস।