চলতি তামিলনাড়ু প্রিমিয়র লিগে নিজেকে ওপেনার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টায় কসুর করছেন না রবিচন্দ্রন অশ্বিন। আইপিএলের আঙিনায় টিকে থাকতে হলে যে ব্যাট হাতেও দলের পারফর্ম্যান্সে অবদান রাখতে হবে, সেটা ভালো মতোই বোঝেন অশ্বিন। তাই সম্ভবত সুনীল নারিনকে একক করে নিজের ব্য🍌াটিং স্কিলকে নতুন উচ্চতায় তুলে নিয়ে যেতে চাইছেন রবিচ🌞ন্দ্রন।
অশ্বিনের ব্যাটের হাত যে মন্দ নয়, সেটা এতদিনে সকলের জানা। টেস্টে ৫টিℱ সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর। আইপিএলেও রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে উপরের দিকে ব্যাট করতে দেখা গিয়েছে অশ্বিনকে। তবে ওপেনার হিসেবে একটানা ম্যাচ খেলতে এর আগে দেখা যায়নি তাঁকে।
এবারের টিএনপিএলে ডিন্ডিগুল ড্রাগনসের হয়ে প্রথম ২টি ম্যাচে ওপেন করতে নেমে য𝓡থাক্রমে ৫ ও ৬ রান করে আউট হন অশ্বিন। তবে তৃতীয় ম্যাচেই ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলেন রবিচন্দ্রন। যদিও দল হারায় ব্যর্থ হয় তাঁর একক লড়াই।
রবিবার কোয়েম্বাটরে ডিন্ডিগুল ড্রাগনসের ম্যাচ ছিল চিপক সুপার গিল্লিসের বিরুদ্ধে। বৃষ্টির জন্য ম্যাচ💙 ছোট হয়ে দাঁড়ায় মোটে ৭ ওভার প্রতি ইনিংসে। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ডিন্ডিগুল ড্রাগনস। তারা নির্ধারিত ৭ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৬৪ রান সংগ্রহ করে। ওপেন করতে নেমে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ২০ বলে ৪৫ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৩টি চার ও ꧟৪টি ছক্কা মারেন।
অশ্বিন একপ্রান্ত দিয়ে ঝড় তুললেও অপর প্রান্ত দিয়ে ক্রমাগত উইকেট হারায় ডিন🐈্ডিগুল। তাদের ৪ জন ব্যাটার শূন্য রানে আউট হন। খাতা খুলতে পারেননি শিবম সিং, ভূপতি কুমার, বাবা ইন্দ্রজিৎ ও শরৎ কুমার। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭ বলে ১২ রান করেন বিমল কুমার। চিপকের হয়ে ২ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ১৫ রানের🐓 বিনিময়ে ২টি উইকেট তুলে নেন অভিষেক তানওয়ার।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে চিপক সুপার গিল্লিস ৪.৫ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়ো🦹জনীয় ৬৫ রান সংগ্রহ করে নেয়। অর্থাৎ, ১৩ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটে ম্যাচ জেতে চিপক। ১৪ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন নায়ারণ জগদীশান। তিনি ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ১৪ বলে ৩১ রান করে নট-আউট থাকেন বাবা অপরাজিত। তিনি ৩টি ছক্কা মারেন।
১ ওভারে ১৫ রান খরচ করে ডিন্ডিগুলের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নেন সন্দীপ ওয়ারিয়র। অশ্বিন ১.৫ ওভারে ২৩ রান খরচ করেন। বরুণ চক্রবর্তী খরচ করেন ১ ওভারে ১৩ রান। ম্যাচের সেরা হন অভিষেক তানওয়া﷽র।