ইন্দোরে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে বাংলা বনাম মধ্যপ্রদেশের রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ। প্রথম দিনে বাংলার শুরুটা ভালো না হলেও শেষ পর্যন্ত স্কোর বোর্ডে ২২৮ রান তুলেছিল। তবে সকলের চোখ ছিল মহম্মদ শামির দিকে। ♌দীর্ঘ দিন প🥂রে মাঠে ফিরেছিলেন তিনি। আর মাঠে ফিরেই চমক দেখালেন শামি। এক বা দুই নয়, ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে মধ্যপ্রদেশের চার উইকেট তুলে নিলেন তিনি। শুধু চার উইকেট তোলাই নয়, হ্যাটট্রিকের হাতছানিও রয়েছে তাঁর সামনে।
এই ম্যাচের প্রথম দিনে দুরন্ত বোলিং করেন মধ্ღযপ্রদেশের আরিয়ান পান্ডে এবং কুলবন্ত খেজরোলিয়া। দু’জনেই প্রথম ইনিংসে বাংলার ৪টি করে উইকেট নেন। এর ফলে, মাত🎶্র ২২৮ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভালোই শুরু করেছিল মধ্যপ্রদেশ। প্রথম দিনের শেষে তাদের স্কোর ছিল ১ উইকেটের বিনিময়ে ১০৩। এই সময়ে অপরাজিত ছিলেন শুভ্রাংশু সেনাপতি এবং রজত পতিদার।
দ্বিতীয় দিনের শুরুটা কেমন করেছিল বাংলা-
দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই শুরু হয় বাংলার বোলারদের আক্রমণ। রজত পতিদারকে ফেরান সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল। সেই সময়ে মধ্যপ্রদেশের রান ছিল ১০৬ রান। এরপরেই শুভ্রাংশু সেনাপতি সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল। এরপরে শুভম শর্মাকে বোল্ড করে উইকেটের খাতা খোলেন মহম্মদ শামি।ততক্ষণে ১২৩ রানে চার উইকেট হারিয়েছে মধ্যপ্♑রদেশ। এরপরে রোহিত কুমারের বলে আউট হন হরপ্রীত সিং ভাটিয়া। আরিয়ান পান্ডেকে রান আউট ক⭕রেন সুদীপ ঘরামি। এরপরে বেঙ্কটেশ আইয়ারকে সাজঘরের রাস্তা দেখান মহম্মদ কাইফ। ১৫০ রানে সাত উইকেট হারিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ।
কেমন ছিল মহম্মদ শামির পারফরমেন্স-
এরপরেই শুরু হয় মহম্মদ শামির গতির খেলা। মাত্র ১৭ রানের মধ্যেই বাকি তিন উইকেট নিয়ে নিলেন তিনি। প্রথমে সারাংশ জৈনকে বোল্ড করলেন। এরপরে কুমার কার্তিকেয়নকে আউট করেন। শেষে কুলবন্ত খেজরোলিয়াকে বোল্ড করে চার উইকেট সংগ্রহ করেন মহম্মদ শামি। তবে ইনিংসের শেষ দুই বলে দুটো উইকেট তুলেছিলেন শামি। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে হ্যাটট্রিক করার হাতছানি থাকবে মহম্মদ শামির সামনে। শামির এই পারফরমেন্সের ফলে মধ্যꦿপ্রদেশের প্রথম ইনিংস ১৬৭ রানেই শেষ হয়ে যায়। ফলে প্রথম ইনিংসে ৬১ রানে এগিয়ে ছিল বাংলা। ম্যাচের সরাসরি ফল পাওয়া না গেলে এই মুহূর্তে ৩ পয়েন্ট পাকা করেছে বাংলা দল।